ছবি: ট্রাস্ট ব্যাংক

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে অনলাইনে বিক্রির পরও কীভাবে ট্রেনের টিকিটের কালোবাজারি হয়, তদন্তের আশ্বাস ডিসির

অনলাইনে বিক্রির পরও কীভাবে ট্রেনের টিকিটের কালোবাজারি হয়, সেটি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, অনলাইনে দুই মিনিটের মধ্যে ট্রেনের টিকিট শেষ, এটা তো কোনো সিস্টেম হতে পারে না। স্টেশনের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী এ ধরনের অনিয়মে জড়িত কি না—সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, যাঁরা টিকিট কালোবাজারি করছেন, তাঁরা অনলাইনে একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলে মুহূর্তের মধ্যে অনেকগুলো টিকিট সংগ্রহ করছেন, এটি একধরনের কারসাজি। এমন অনৈতিক কার্যক্রম চলতে দেওয়া যায় না। এ বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সারওয়ার আলম আরও বলেন, ‘অনলাইনে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গা থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা যাচ্ছে। আজ সকালবেলার যে ট্রেনটা ছিল, সেটির টিকিট কিন্তু কাউন্টার থেকে মাত্র ১টি কাটা হয়েছে, আর অনলাইনে বিভিন্ন জায়গা থেকে কাটা হয়েছে প্রায় ২০০টি টিকিট। অনলাইনে টিকিট আসামাত্র দ্রুত শেষ হয়ে যাবে—সেটি তো কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। অথচ যাত্রীরা ঠিকমতো টিকিট পাচ্ছেন না। সমস্যাটা কোন জায়গায় সৃষ্টি হচ্ছে, সেটি আমরা বের করব।’

জেলা প্রশাসক জানান, যাত্রীসেবার মান বাড়াতে বিশেষ কোচ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে স্টেশনের নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে, যাতে যাত্রীসাধারণ ছিনতাই বা অন্য কোনো অপরাধের শিকার না হন।

রেলস্টেশন পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক স্টেশনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, যাত্রীসেবার মান, নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ সার্বিক কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি একাধিক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যা ও পরামর্শ শোনেন। পরে জেলা প্রশাসক রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যাত্রীসেবা আরও উন্নত করা, স্টেশনের শৃঙ্খলা বজায় রাখা, ভ্রাম্যমাণ দোকান ও অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ রাখতে এবং টিকিট বিক্রিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে নির্দেশনা দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ