তিন বছর ধরে অবৈধভাবে বগুড়ায় কঙ্গোর নাগরিক, জিম্মি-প্রতারণার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
Published: 30th, September 2025 GMT
তিন বছর ধরে অবৈধভাবে বগুড়ায় অবস্থান করছেন কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের নাগরিক ভিটো বলি বোঙ্গেঙ্গে। তাঁর অভিযোগ, ব্যবসায়িক লেনদেনের জেরে বগুড়ার এক ব্যবসায়ী তাঁর পাসপোর্ট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কেড়ে নিয়ে তাঁকে তিন বছর ধরে জিম্মি করে রেখেছেন।
তবে পুলিশ বলছে, কঙ্গোর ওই নাগরিককে কেউ জিম্মি করেনি। টাকাপয়সা লেনদেনের জেরে তাঁর পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় করণীয় জানতে চেয়ে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) জরুরি বার্তা পাঠিয়েছে জেলা পুলিশ।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর বগুড়া সদরের গোকুল এলাকার শৌখিন পাখি ব্যবসায়ী আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে তাঁকে জিম্মি করে রাখার অভিযোগ তোলেন ভিটো বলি বোঙ্গেঙ্গে।
বগুড়া সদর থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে ভিটো বলি বোঙ্গেঙ্গে উল্লেখ করেন, তিনি পাখি রপ্তানি করেন। ২০২২ সালে অনলাইনে আতিকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। আতিকুর তাঁর কাছ থেকে পাখি কেনার আগ্রহের কথা জানালে ওই বছরের ১ নভেম্বর তিনি ভ্রমণ ভিসায় বগুড়ায় আতিকুরের বাড়িতে আসেন। এক মাস পর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় আতিকুর তাঁর পাসপোর্ট ও ভিসার কাগজপত্র কেড়ে নেন। এর পর থেকে তিনি বাধ্য হয়ে আতিকুরের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
ভিটো বলি বোঙ্গেঙ্গের অভিযোগ, জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে আতিকুর অর্থ দাবি করায় তাঁর স্ত্রী গ্লোরিয়া এনটাঙ্গা মুটোম্বো কঙ্গোতে বাড়ি বিক্রি করে বিপুল অঙ্কের টাকা পাঠিয়েছেন। কিন্তু তারপরও তাঁর মুক্তি মেলেনি। এখন দেশে ফিরে যেতে তিনি পুলিশের সহযোগিতা চান।
অভিযোগের বিষয়ে ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক মাসের ট্যুরিস্ট ভিসায় ২০২২ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশে আসেন ভিটো বলি। ভিসার শর্ত ভঙ্গ করে তিনি আমার বাড়িতে থেকে পাখির ব্যবসা শুরু করেন। বিদেশ থেকে পাখি আমদানির চুক্তি হয় আমার সঙ্গে। চুক্তি অনুযায়ী কঙ্গোর প্রতিষ্ঠান ইটিএস এমবয়ো অ্যান্ড ফ্রেরেসেতে ১০ হাজার ডলার পাঠানোর বিনিময়ে ২০০ বিদেশি পাখি বাংলাদেশে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে মাত্র ৬০টি জার্ডিন প্যারোট ও ১৫টি গ্রেড বুল টরাকো বুঝিয়ে দেন। পরের দফায় ২০২৩ সালের জুনে আরও ২০০ পাখি আমদানির জন্য ভিটোর মাধ্যমে আরও ১৫ হাজার ডলার পাঠানো হয়। কিন্তু শর্ত ভঙ্গ করে মাত্র ৯০টি পাখি বুঝিয়ে দেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নতুন করে ২০০ পাখি আমদানির জন্য তাঁর মাধ্যমে আরও ১২ হাজার ডলার পাঠানো হয়। কিন্তু একটি পাখিও বুঝিয়ে দেননি তিনি। এখন ভিসা ও পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় দেশে ফেরার কৌশল হিসেবে নিজেকে আটকে রাখার দাবি করে তিনি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।’
জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির প্রথম আলোকে বলেন, ভিটো বলি ২০২২ সাল থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তাঁর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। বাংলাদেশি কোনো ব্যবসায়ীর কাছে টাকাপয়সা পাওয়ার বৈধ কোনো প্রমাণ তিনি দেখাতে পারেননি। উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন টাকাপয়সা পাওয়ার দাবি করেছেন। তাঁকে কেউ জিম্মি করে রাখেনি। তবে টাকাপয়সা লেনদেনের জেরে পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে জেনেছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ট ক পয়স ব যবস য় ল নদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
লোপেজ বললেন, ‘বিচ্ছেদ জীবনের সেরা ঘটনা’
তাঁদের জীবনের গল্প সিনেমার চিত্রনাট্যের মতোই। তুমুল প্রেম, বাগ্দানের পর সবাই যখন বিয়ের অপেক্ষায়; তখন হঠাৎই আসে বিচ্ছেদের ঘোষণা। এরপর দীর্ঘ সময় গড়িয়েছে, দুজনই ভিন্ন সম্পর্কে থিতু হয়েছেন। তবে নিয়তি বোধ হয় চেয়েছিল তাঁদের পুনর্মিলন, শেষ পর্যন্ত সেটাও হয়। কিন্তু দুই বছর গড়াতেই সম্পর্ক ভাঙে, সম্পর্কের দ্বিতীয় সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি হলিউডের তারকা দম্পতি বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার লোপেজ। বিচ্ছেদের পর বছর পার হয়েছে কিন্তু এ বিষয়ে দুই তারকার কেউই তেমন কথা বলেননি। এবার সিবিএস নিউজ সানডে মর্নিং অনুষ্ঠানে এসে বিচ্ছেদ নিয়ে প্রথমবার সবিস্তার কথা বললেন লোপেজ।
একনজরে বেন-লোপেজের সম্পর্কপ্রথম পরিচয়: ১৯৯৮ সালে, ‘আর্মাগেডন’ ছবির প্রিমিয়ারে।
প্রেম: ২০০২ সালে, ‘গিগলি’ সিনেমার সেটে।
প্রথম বাগ্দান: ২০০২ সালে, ২০০৩ সালে বিয়ে করার ঘোষণা।
প্রথম বিচ্ছেদ: ২০০৪ সালে বাগ্দান ভেঙে দিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা।
পুনর্মিলন: ২০২১ সালে আবার প্রেম শুরু করেন বেন ও লোপেজ।
দ্বিতীয় বাগ্দান: ২০২২ সালে এপ্রিলে দ্বিতীয়বার বাগ্দান সারেন।
অবশেষে বিয়ে: ২০২২ সালের ১৬ জুলাই বিয়ে করেন এই তারকা জুটি।
বিচ্ছেদের আবেদন: ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট বিচ্ছেদের আবেদন করেন লোপেজ।
২৮ সেপ্টেম্বর প্রচারিত অনুষ্ঠানে লোপেজ বলেন, বেনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর পর তাঁর উপলব্ধি ছিল, এটা তাঁর জীবনের ঘটে যাওয়া সেরা ঘটনা। বিচ্ছেদকে ‘সেরা ঘটনা’ বলার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করে এই গায়িকা-অভিনেত্রী বলেন, ‘এটা আমাকে বদলে দিয়েছে। এটা আমাকে এমনভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছে, যেটা আমার জন্য দরকার ছিল।’
অ্যাফ্লেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা
২০২৪ সালের আগস্টে লোপেজ বিচ্ছেদের আবেদন করেন; চূড়ান্ত হয় ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে। ডিভোর্সের সময়ে লোপেজ শুটিং করছিলেন নতুন ছবি ‘কিস অব দ্য স্পাইডার ওমেন’-এর। এ সিনেমায় তাঁর সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন দিয়েগো লুনা ও টোনাটিউ। এটি ১৯৯৩ সালের ব্রডওয়ে মিউজিক্যাল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি, যা মানুয়েল পুইগের ১৯৭৬ সালের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই গল্প আগেও ১৯৮৫ সালে সিনেমার পর্দায় এসেছে, যেখানে অভিনয় করেছিলেন উইলিয়াম হার্ট, রাউল জুলিয়া ও সোনিয়া ব্রাগা। নতুন সংস্করণে জেনিফার লোপেজ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা তাঁর প্রথম মিউজিক্যাল চলচ্চিত্রও বটে।