ফরিদপুরে মানব পাচার মামলার ১৫ বছর পর এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
Published: 30th, September 2025 GMT
ফরিদপুরে মানব পাচার মামলার ১৫ বছর পর এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাঁকে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। আজ মঙ্গলবার ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো.
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৫ আগস্ট এক তরুণীকে (১৯) নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন শাহীনুর। এর পর থেকে তাঁরা দুজনই নিখোঁজ ছিলেন। একই বছরের ২৪ নভেম্বর পরিবারের কাছে খবর আসে, ওই তরুণী ভারতের কলকাতার দমদম সেন্ট্রাল জেলে আটক আছেন। তাঁকে একটি যৌনপল্লি থেকে উদ্ধার করেছে সেখানকার পুলিশ। এ খবর শুনে সে সময় তাঁর পরিবার বুঝতে পারে, শাহীনুর তাঁদের মেয়েকে ভারতে পাচার করেছেন। পরে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই জেলে আত্মহত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে মধুখালী থানা মানব পাচার আইনে মামলা না নেওয়ায় ভুক্তভোগীর বাবা ২০১০ সালের ২৪ ডিসেম্বর ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মানব পাচার আইনে মামলা করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মধুখালী থানাকে নির্দেশ দেন। মধুখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহীনুর রহমান মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১৫ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম নব প চ র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে মানব পাচার মামলার ১৫ বছর পর এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ফরিদপুরে মানব পাচার মামলার ১৫ বছর পর এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাঁকে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। আজ মঙ্গলবার ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. শাহীনুর রহমান ওরফে সবুজ শেখ (৩৭) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বন্দিগাঁ গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি পলাতক ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৫ আগস্ট এক তরুণীকে (১৯) নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন শাহীনুর। এর পর থেকে তাঁরা দুজনই নিখোঁজ ছিলেন। একই বছরের ২৪ নভেম্বর পরিবারের কাছে খবর আসে, ওই তরুণী ভারতের কলকাতার দমদম সেন্ট্রাল জেলে আটক আছেন। তাঁকে একটি যৌনপল্লি থেকে উদ্ধার করেছে সেখানকার পুলিশ। এ খবর শুনে সে সময় তাঁর পরিবার বুঝতে পারে, শাহীনুর তাঁদের মেয়েকে ভারতে পাচার করেছেন। পরে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই জেলে আত্মহত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে মধুখালী থানা মানব পাচার আইনে মামলা না নেওয়ায় ভুক্তভোগীর বাবা ২০১০ সালের ২৪ ডিসেম্বর ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মানব পাচার আইনে মামলা করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মধুখালী থানাকে নির্দেশ দেন। মধুখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহীনুর রহমান মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১৫ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া।