আমাদের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই মাধ্যমে প্রিয়জনদের সঙ্গে যেমন নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা যায় আবার প্রিয়জনকে ঠকাতেও এই মাধ্যমই ব্যবহার করছেন অনেকে। দাম্পত্য সম্পর্কে থাকার পরেও কাউকে ইঙ্গিতপূর্ণ মেসেজ দেওয়া বা কারও সঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ করাকে মাইক্রো চিটিং বলে। মোট কথা , শারীরিক ও মানসিক ভাবে কারও সঙ্গে জড়িয়ে না পড়েও  ক্রমাগত কারও সঙ্গে ফ্লার্ট করা বা ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলা হলো ‘মাইক্রো-চিটিং’। 

যদিও বেশিরভাগ সম্পর্কেই এই ধরনের ছোট ছোট আচরণকে এড়িয়ে যাওয়া হয়। এই ধরনের বিষয়গুলোকে  গুরুত্বপূর্ণও মনে করেন না। যতক্ষণ না সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠছে, কিংবা শারীরিক ও মানসিকভাবে অন্য মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে, ততদিন পর্যন্ত এই বিষয়গুলো এড়িয়ে যান। কিন্তু এই ‘মাইক্রো-চিটিং’ মোটেও এড়িয়ে যাওয়ার বিষয় নয়। 

আরো পড়ুন:

মানুষকে গোসল করিয়ে শুকিয়ে দেবে মেশিন

ব্যস্ত দম্পতিদের কাছে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ‘মাইক্রো-ডেটিং’

সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘ওপেন রিলেশনশিপে থাকলে ‘মাইক্রো-চিটিং’ খুব সাধারণ। কিন্তু আপনি যদি ওপেন রিলেশনশিপে না থাকেন কিংবা ক্যাজুয়াল ডেটিং না করেন, সে ক্ষেত্রে ‘মাইক্রো-চিটিং’ গ্রহণযোগ্য নয়। ’’

সঙ্গী যদি কারও সঙ্গে ফ্লার্ট করেন আর আপনাকে মিথ্যে কথা বলেন, কোনও বিষয় যদি আপনার থেকে লুকিয়ে রাখেন, সে ক্ষেত্রেও সঙ্গী আপনাকে ঠকাচ্ছেন। আর এই ছোট ছোট বিষয়গুলো এড়িয়ে গেলে ভবিষ্যতে সমস্যার মুখে পড়তে পারেন।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ