সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাসহ দুর্ঘটনা রোধে সব রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছা অপরিহার্য বলে মনে করে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)।

জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিসচার পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়। অনুষ্ঠানে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। সড়ক নিরাপত্তায় সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা বলেন, শুধু সরকারের উদ্যোগে নয়; বরং সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছাড়া দেশের সড়ক নিরাপদ করা সম্ভব নয়।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে কানাডা থেকে ভার্চু৵য়ালি বক্তব্য দেন নিসচার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনের ছেলে মিরাজুল মইন জয়। তিনি তাঁর বাবার চিকিৎসার হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরে দেশবাসীর কাছে তাঁর সুস্থতার জন্য দোয়া চান। একই সঙ্গে ১ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মাসব্যাপী কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নে গণমাধ্যমসহ দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

সড়কে মানুষের জীবন রক্ষার দাবি যে সর্বস্তরের জনগণের সে কথা সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন নিসচার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য লিটন এরশাদ। তিনি বলেন, সম্মিলিত উদ্যোগ ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়। তাই তাঁরা চান, আগামী নির্বাচনী ইশতেহারে রাজনৈতিক দলগুলো সড়ক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিক।

দুর্ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতির বহুমাত্রিকতা এত বেশি যে সরকারের একার পক্ষে তা নিরসন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন লিটন এরশাদ। তিনি বলেন, এ জন্য প্রয়োজন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন সংস্থাসহ বিশেষজ্ঞদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর স্বতন্ত্র সড়ক নিরাপত্তা আইন দ্রুত প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।

উন্নত দেশগুলোর মতো নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে ‘সেফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ’ গ্রহণ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন লিটন এরশাদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে ভুল করলেও যেন পথচারী বা চালক মৃত্যুর শিকার না হন, সেই ব্যবস্থা রাখা হয়। বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় নেওয়া রোড সেফটি প্রকল্প পুরোপুরি এ কাজে ব্যবহার করার দাবি জানায় নিসচা।

লিটন এরশাদ বলেন, প্রতিদিন দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। অথচ বর্তমান আইন বা নীতিমালায় তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষিত। তাই নতুন ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ দ্রুত বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।

জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৫ উপলক্ষে নিসচা কেন্দ্রীয় ও শাখা পর্যায়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—
• প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সড়ক নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ।
• চালকদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ।
• স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ।
• ট্রাফিক আইন মানতে রোড ক্যাম্পেইন।
• সংবাদ সম্মেলন, র‍্যালি, পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ।
• সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ।
• বিপজ্জনক বাঁক ও লেভেল ক্রসিংয়ে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড স্থাপন।
• মোটরসাইকেল চালকদের স্ট্যান্ডার্ড হেলমেট বিতরণ।
• রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
• পরিবহনমালিক ও শ্রমিকদের করণীয় বিষয়ে মতবিনিময়।
• তথ্যচিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভা।
• প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময়।
• নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।

সংবাদ সম্মেলনে শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করেন নিসচার কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৫ উদ্‌যাপনে নিসচার কমিটির সদস্যসচিব আইনজীবী তৌফিক আহসান টিটু। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নিসচার মহাসচিব এস এম আজাদ হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নিসচার ভাইস চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন খান নান্টু, সাদেক হোসেন বাবুল, বিল্লাল হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মো.

গনি মিয়া বাবুল, একে আজাদ, অর্থ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র পদ সড়ক র জন ত ক দ র ঘটন সড়ক দ

এছাড়াও পড়ুন:

২০২৬ সালে ব্যাংক বন্ধের তালিকা প্রকাশ

২০২৬ সালে ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।  আগামী বছর ব্যাংকগুলোর জন্য ২৮ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। 

রবিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। 

নতুন তালিকা অনুযায়ী, আগামী বছর প্রথম সরকারি ছুটির দিন হবে শবে-বরাত উপলক্ষ্যে। ৪ ফেব্রুয়ারি একদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ওই মাসে ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর শবে কদর উপলক্ষে ১৭ মার্চ ব্যাংক বন্ধ থাকবে। জুমাতুল বিদা ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৯ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত পাঁচদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ ব্যাংক বন্ধ থাকবে।

চৈত্র সংক্রান্তি (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দারবান পার্বত্য জেলার জন্য প্রযোজ্য) ১৩ এপ্রিল ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এরপর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ১৪ এপ্রিল, মে দিবস ও বৌদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ১ মে, ২৬ থেকে ৩১ মে পাঁচদিন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ব্যাংক বন্ধ থাকবে। 

এদিকে, আশুরা উপলক্ষ্যে ২৬ জুন, ১ জুলাই ব্যাংক হলিডে উপলক্ষ্যে একদিন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ৫ আগস্ট, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে ২৬ আগস্ট, জন্মাষ্টমী ৪ সেপ্টেম্বর, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ২০ ও ২১ অক্টোবর, বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর, বড়দিন উপলক্ষ্যে ২৫ ডিসেম্বর ও ব্যাংক হলিডে উপলক্ষ্যে ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চলতি বছরের ৯ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সব তফসিলি ব্যাংকের জন্য এ ছুটি কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকায় দেখা গেছে, চলতি বছর দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর জন্য ছুটি ছিল ২৭ দিন, আগের বছর ব্যাংকগুলোর জন্য ছুটি ছিল ২৪ দিন।

ঢাকা/নাজমুল// 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ মাওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী
  • ২০২৬ সালে ব্যাংকের ছুটির তালিকা প্রকাশ, চাকরিজীবীরা ছুটি পাবেন ২৮ দিন
  • ২০২৬ সালে ব্যাংক বন্ধের তালিকা প্রকাশ
  • বগুড়া লেখক চক্রের কবি সম্মেলন ও পুরস্কার ঘোষণা
  • ৮৩ ইনিংস পর বাবরের সেঞ্চুরি, জয়ে সিরিজ নিশ্চিত পাকিস্তানের
  • ডায়াবেটিস দিবসে ধানমন্ডি সোসাইটির আয়োজনে আলোচনা সভা ও মেডিকেল ক্যাম্প
  • ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে বিনা মূল্যে সেবা মিলবে বারডেমসহ ৩ কেন্দ্রে
  • আমরা একটা ভীষণ জাতীয় সংকটের মধ্যে আছি: জোনায়েদ সাকি