ইন্দোনেশিয়ায় একটি স্কুল ভবন ধসে পড়ার পর ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অন্তত ৯১ জন চাপা পড়ে রয়েছেন বলে সরকারি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনপিবি) মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজের সংখ্যা ৩৮ বলে জানিয়েছিল। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সর্বশেষ আপটেডে ধ্বংস্তুপের নিচে ৯১ জন আটকা রয়েছেন বলে উল্লেখ করেছে। 

আরো পড়ুন:

ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ভবন ধসে নিহত ৩, নিখোঁজ ৩৮

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে আহত ১২

সংস্থাটি জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে কমপক্ষে ছয়জন এখনও জীবিত আছেন, যেখানে তারা প্রায় দুই দিন ধরে আটকা পড়ে আছেন।

বিএনপিবি ফেসবুকে এক বিবৃতিতে বলেছে, “জীবিতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য গর্ত ও খোলা জায়গা খনন করে ম্যানুয়ালি উদ্ধার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে আরো ধস নামতে পারে।”

সংস্থাটি জানিয়েছে, “যৌথ (অনুসন্ধান ও উদ্ধার) দল ধসের একটি অংশে এখনও ছয়জনের জীবিত থাকার চিহ্ন সনাক্ত করেছে। তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য উদ্ধারকারীরা কংক্রিটের ফাঁক দিয়ে খাবার ও পানি সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে।”

সরকারি তথ্যানুযায়ী, স্কুল ভবন ধসের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ১০০ জন। এই পরিসংখ্যানে এখনও আটকে থাকা লোকদের গণনা করা হয়নি।

আহতদের মধ্যে ৭০ জনকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৬ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের সিদোয়ারজো এলাকায় অবস্থিত আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের নামাজঘর গত সোমবার বিকেলে হঠাৎ ভেঙে পড়লে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সময় সপ্তম থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আসরের নামাজ পড়ছিল।

প্রায় কয়েকশো উদ্ধারকর্মী, পুলিশ ও সেনা সদস্য উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন। বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারণে উদ্ধার অভিযানে এখনও ভারী যন্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। 

বিএনপিবি জানিয়েছে, “যদি মূল্যায়নে দেখা যায় যে আর কেউ বেঁচে নেই, তাহলে পরবর্তী ধাপে আটকে থাকা মরদেহ উদ্ধারের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে।” 

প্রাদেশিক পুলিশ জানিয়েছে, যে পুরোনো ভবনটিতে শিক্ষার্থীরা নামাজ পড়ছিল সেটি মূলত দুই তলা ছিল। তবে বেআইনিভাবে আরো দুটি তলা যোগ করার কাজ চলছিল। সেই বাড়তি কংক্রিটের চাপ সামলাতে না পেরে ভবনটি ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় স্কুল প্রশাসনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্প্রসারণের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে।

এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় এটি দ্বিতীয় ভবন ধসের ঘটনা। কর্মকর্তাদের মতে, এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর পশ্চিম জাভার বোগোর জেলায় একটি ইসলামিক কমিউনিটি হল ধসে কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভবন ধস ইন দ ন শ য উদ ধ র র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

পূজার ছুটির পর গকসুর অভিষেক

৭ বছরের বিরতির পর গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনুষ্ঠিত হলো চতুর্থ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নতুন নেতৃত্ব।

তবে পূজার ছুটি শেষ না হওয়ায় এখনও হয়নি অভিষেক ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। ফলে দায়িত্বভার নিতে পারছেন না নবনির্বাচিতরা।

আরো পড়ুন:

গকসুর জিএস, এজিএসের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আপত্তি, পুনর্নির্বাচন দাবি

চাকসু নির্বাচন: দুই নারী প্রার্থীকে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপূজার পর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের অভিষেক। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও নির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি। এতে নির্বাচনের পর যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তা এখন রূপ নিয়েছে অপেক্ষার আবহে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ২৫ সেপ্টেম্বর দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ৭ বছরের ব্যবধান ঘুচিয়ে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব বেছে নেন। ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, প্রার্থীদের প্রচারণা আর ভোটের দিন ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসে ভরিয়ে তোলে।

ভোট শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হলেও আনুষ্ঠানিক অভিষেক না হওয়ায় এখনো কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি তারা।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেশমা আক্তার বলেন, “গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হলেও নির্বাচিত সদস্যরা এখনও শপথ গ্রহণ করেননি। এই বিলম্বের সুযোগে কিছু মহল নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এই গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে সফল করতে এবং অপপ্রচার রোধে নির্বাচিত সদস্যদের দ্রুত শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করা জরুরি। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্ব পালন শুরু করতে পারেন।”

সদ্য নির্বাচিত সহ-সভাপতি ইয়াছিন আল মৃদুল দেওয়ান বলেন, “নির্বাচনের পরের দিনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল এবং দুর্গাপূজার ছুটির কারণে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। উপাচার্য স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন পূজার ছুটির পর যতদ্রুত সম্ভব অভিষেক ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, “ছুটি শেষে শপথ গ্রহণ ও অভিষেক অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এখন পর্যন্ত কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি।”

২০১৩ সালে প্রথমবার গকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২৫ সেপ্টেম্বর চতুর্থ নির্বাচনে সম্পাদকীয় ও অনুষদ প্রতিনিধি মিলিয়ে মোট ১২টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৫৮ জন প্রার্থী। ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৭৬১ জন।

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাজেট বিল নিয়ে অচলাবস্থা, শাটডাউনের পথে যুক্তরাষ্ট্র
  • পূজার ছুটির পর গকসুর অভিষেক