ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ভবন ধস: ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও আটকা ৯১ জন
Published: 1st, October 2025 GMT
ইন্দোনেশিয়ায় একটি স্কুল ভবন ধসে পড়ার পর ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অন্তত ৯১ জন চাপা পড়ে রয়েছেন বলে সরকারি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনপিবি) মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজের সংখ্যা ৩৮ বলে জানিয়েছিল। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সর্বশেষ আপটেডে ধ্বংস্তুপের নিচে ৯১ জন আটকা রয়েছেন বলে উল্লেখ করেছে।
আরো পড়ুন:
ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ভবন ধসে নিহত ৩, নিখোঁজ ৩৮
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে আহত ১২
সংস্থাটি জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে কমপক্ষে ছয়জন এখনও জীবিত আছেন, যেখানে তারা প্রায় দুই দিন ধরে আটকা পড়ে আছেন।
বিএনপিবি ফেসবুকে এক বিবৃতিতে বলেছে, “জীবিতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য গর্ত ও খোলা জায়গা খনন করে ম্যানুয়ালি উদ্ধার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে আরো ধস নামতে পারে।”
সংস্থাটি জানিয়েছে, “যৌথ (অনুসন্ধান ও উদ্ধার) দল ধসের একটি অংশে এখনও ছয়জনের জীবিত থাকার চিহ্ন সনাক্ত করেছে। তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য উদ্ধারকারীরা কংক্রিটের ফাঁক দিয়ে খাবার ও পানি সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে।”
সরকারি তথ্যানুযায়ী, স্কুল ভবন ধসের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ১০০ জন। এই পরিসংখ্যানে এখনও আটকে থাকা লোকদের গণনা করা হয়নি।
আহতদের মধ্যে ৭০ জনকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৬ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের সিদোয়ারজো এলাকায় অবস্থিত আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের নামাজঘর গত সোমবার বিকেলে হঠাৎ ভেঙে পড়লে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সময় সপ্তম থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আসরের নামাজ পড়ছিল।
প্রায় কয়েকশো উদ্ধারকর্মী, পুলিশ ও সেনা সদস্য উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন। বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারণে উদ্ধার অভিযানে এখনও ভারী যন্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।
বিএনপিবি জানিয়েছে, “যদি মূল্যায়নে দেখা যায় যে আর কেউ বেঁচে নেই, তাহলে পরবর্তী ধাপে আটকে থাকা মরদেহ উদ্ধারের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে।”
প্রাদেশিক পুলিশ জানিয়েছে, যে পুরোনো ভবনটিতে শিক্ষার্থীরা নামাজ পড়ছিল সেটি মূলত দুই তলা ছিল। তবে বেআইনিভাবে আরো দুটি তলা যোগ করার কাজ চলছিল। সেই বাড়তি কংক্রিটের চাপ সামলাতে না পেরে ভবনটি ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় স্কুল প্রশাসনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্প্রসারণের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় এটি দ্বিতীয় ভবন ধসের ঘটনা। কর্মকর্তাদের মতে, এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর পশ্চিম জাভার বোগোর জেলায় একটি ইসলামিক কমিউনিটি হল ধসে কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভবন ধস ইন দ ন শ য উদ ধ র র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ভয়াবহ আগুন কলকাতার বড়বাজারে, ঘটনাস্থলে দমকলের ২০ ইঞ্জিন
কলকাতার পুলিশ হেডকোয়ার্টার লালবাজারের কাছে বড়বাজারের এজরা স্ট্রিটের একটি গুদামে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। শনিবার ভোর রাতে আগুন লাগলেও সেই আগুন সকাল পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। বরং দ্রুত আগুন ছড়াচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের অন্তত ২০টি ইঞ্জিন। ল্যাডারের সাহায্য নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ইঞ্জিনের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ গুদামে আগুন লেগে যায়। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং প্রচুর বৈদ্যুতিক তার ছিল গুদামে। মজুত করা ছিল অনেক দাহ্য পদার্থ। ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ভালো করে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে আকাশ। চারদিক ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। কীভাবে এই আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বৈদ্যুতিক সামগ্রী থেকেই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। কেউ কেউ শর্ট সার্কিটের সম্ভাবনার কথা বলছেন।
আরো পড়ুন:
ভারত যাচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
চীন সীমান্তের পাশে নতুন বিমানঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত
যদিও ফায়ার সার্ভিসের তরফে সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও কিছু নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি, তারা আগুন নেভাতেই এখনো পর্যন্ত ব্যস্ত। পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, ভোরে ওই গুদাম থেকে কালো ধোঁয়া বার হতে দেখে স্থানীয়রাই দমকলকে জানান। ঘনবসতি এলাকা হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। গুদাম থেকে পাশের আবাসনেও ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। একাধিক বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর। ভিতরে কেউ আটকে পড়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে দমকলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাদের অভিযোগ, দমকলে খবর দেওয়া হলেও তারা দেরিতে এসেছে। ফলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ