কয়েক দশক আগে আফগানিস্তানের শিখ ও হিন্দু জনগোষ্ঠীল সংখ্যা ছিলো প্রায় আড়াই লাখ। বর্তমেন তা কমতে কমতে সাতশো-এর নিচে নেমে এসেছে। তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের  প্রার্থনালয়ে হামলার ঘটনা বেড়েছে। ফলে নিরাপত্তারহীনতা থেকে শিখ ও হিন্দু ধর্মের লোকেরা আফগানিস্তান ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। 

হামদর্দ নামের একজন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা আফগানিস্তানে থাকতে পারছেন না। ২০২২ সালের মার্চ মাসে শিখ মন্দিরে ইসলামিক স্টেটের হামলায় হামদর্দের বোন, ভাতিজা এবং শ্যালকসহ অন্তত ২৫ জন শিখ ধর্মাবলম্বী মারা গিয়েছেন৷

আরো পড়ুন:

সঙ্গী ‘মাইক্রো-চিটিং’ করছে না তো?

মানুষকে গোসল করিয়ে শুকিয়ে দেবে মেশিন

হামদর্দ মনে করেন, নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে যাওয়া নিজের মাকে ছেড়ে যাওয়ার মতোই। তারপরেও অনেকে মাতৃভূমির মায়া ত্যাগ করে অন্যান্য দেশে চয়ে যাচ্ছেন। এমনকি তারও পরিকল্পনা রয়েছে আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার। 

শিখ এবং হিন্দু আলাদা ধর্ম। তাদের পবিত্র বই ও মন্দিরও আলাদা৷ কিন্তু ছোট সম্প্রদায় এবং সমানভাবে আক্রমণের শিকার হওয়ার কারণে আফগানিস্তানে শিখ ও হিন্দুরা নিজেদের মধ্যে এক ধরনের ভ্রাতৃত্ব খুঁজে পান৷ যার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই আফগান শিখ ও হিন্দুরা একই মন্দিরে নিজেদের প্রার্থনা শেষ করেন। বর্তমান অবস্থার জন্য অতীতের সব সরকারকেই দায়ী করেন হামদর্দ৷ 

২০০১ সালে মার্কিন আগ্রাসনের পর স্থানীয় যোদ্ধারা শিখ ও হিন্দুদের বাড়ি-ঘর দখল করে নেয়৷ এরপর থেকে তাকে কাবুলের একটি শিখ মন্দিরে আশ্রয় নিতে হয়েছে৷

১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে শিখ ও হিন্দুদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করার জন্য হাতে হলুদ ফিতা পরার নির্দেশ দিয়েছিলো তালেবান৷  তবে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরবর্তীতে এ নির্দেশ আর কার্যকর হয়নি৷ এরপর গত কয়েক দশকে নানা সময়ে অবৈধভাবে দখল হওয়া বাড়ি-ঘর, ব্যবসা এবং মন্দির আর ফিরে পাননি শিখরা৷

কাবুলের হিন্দু মন্দিরগুলো ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬-এর মধ্যে বিভিন্ন গোত্রের লড়াইয়ের সময় ধ্বংস হয়৷ এই লড়াই থেকে বাঁচতে তখন অনেকেই আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়েছিলেন৷২০১৮ সালেও জালালাবাদ শহরে আইএসের এক আত্মঘাতী হামলায় ১৯ জন প্রাণ হারান, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন শিখ ধর্মাবলম্বী৷ 

আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়া বেশিরভাগ শিখ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। এমন অবস্থায় দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া আফগান সংখ্যালঘুদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ তাদের বেশিরভাগই পার্শ্ববর্তী হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন৷ ভারতে বিশাল সংখ্যক শিখ জনগোষ্ঠীরও বসবাস৷

কেবল আগস্টেই ১৭৬ জন আফগান শিখ ও হিন্দু বিশেষ ভিসায় ভারতে আসেন৷ শিখ এবং হিন্দুরা মাতৃভূমি ছেড়ে যাওয়ার বেদনা নিয়ে বলছেন, ‘‘আফগানিস্তান আমাদের আর চায় না৷’’

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন আফগ ন স ত ন ছ হ মদর দ মন দ র

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ