আফগানিস্তানের শিখ ও হিন্দুদের সংখ্যা কমেই চলেছে
Published: 1st, October 2025 GMT
কয়েক দশক আগে আফগানিস্তানের শিখ ও হিন্দু জনগোষ্ঠীল সংখ্যা ছিলো প্রায় আড়াই লাখ। বর্তমেন তা কমতে কমতে সাতশো-এর নিচে নেমে এসেছে। তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনালয়ে হামলার ঘটনা বেড়েছে। ফলে নিরাপত্তারহীনতা থেকে শিখ ও হিন্দু ধর্মের লোকেরা আফগানিস্তান ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।
হামদর্দ নামের একজন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা আফগানিস্তানে থাকতে পারছেন না। ২০২২ সালের মার্চ মাসে শিখ মন্দিরে ইসলামিক স্টেটের হামলায় হামদর্দের বোন, ভাতিজা এবং শ্যালকসহ অন্তত ২৫ জন শিখ ধর্মাবলম্বী মারা গিয়েছেন৷
আরো পড়ুন:
সঙ্গী ‘মাইক্রো-চিটিং’ করছে না তো?
মানুষকে গোসল করিয়ে শুকিয়ে দেবে মেশিন
হামদর্দ মনে করেন, নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে যাওয়া নিজের মাকে ছেড়ে যাওয়ার মতোই। তারপরেও অনেকে মাতৃভূমির মায়া ত্যাগ করে অন্যান্য দেশে চয়ে যাচ্ছেন। এমনকি তারও পরিকল্পনা রয়েছে আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার।
শিখ এবং হিন্দু আলাদা ধর্ম। তাদের পবিত্র বই ও মন্দিরও আলাদা৷ কিন্তু ছোট সম্প্রদায় এবং সমানভাবে আক্রমণের শিকার হওয়ার কারণে আফগানিস্তানে শিখ ও হিন্দুরা নিজেদের মধ্যে এক ধরনের ভ্রাতৃত্ব খুঁজে পান৷ যার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই আফগান শিখ ও হিন্দুরা একই মন্দিরে নিজেদের প্রার্থনা শেষ করেন। বর্তমান অবস্থার জন্য অতীতের সব সরকারকেই দায়ী করেন হামদর্দ৷
২০০১ সালে মার্কিন আগ্রাসনের পর স্থানীয় যোদ্ধারা শিখ ও হিন্দুদের বাড়ি-ঘর দখল করে নেয়৷ এরপর থেকে তাকে কাবুলের একটি শিখ মন্দিরে আশ্রয় নিতে হয়েছে৷
১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে শিখ ও হিন্দুদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করার জন্য হাতে হলুদ ফিতা পরার নির্দেশ দিয়েছিলো তালেবান৷ তবে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরবর্তীতে এ নির্দেশ আর কার্যকর হয়নি৷ এরপর গত কয়েক দশকে নানা সময়ে অবৈধভাবে দখল হওয়া বাড়ি-ঘর, ব্যবসা এবং মন্দির আর ফিরে পাননি শিখরা৷
কাবুলের হিন্দু মন্দিরগুলো ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬-এর মধ্যে বিভিন্ন গোত্রের লড়াইয়ের সময় ধ্বংস হয়৷ এই লড়াই থেকে বাঁচতে তখন অনেকেই আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়েছিলেন৷২০১৮ সালেও জালালাবাদ শহরে আইএসের এক আত্মঘাতী হামলায় ১৯ জন প্রাণ হারান, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন শিখ ধর্মাবলম্বী৷
আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়া বেশিরভাগ শিখ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। এমন অবস্থায় দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া আফগান সংখ্যালঘুদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ তাদের বেশিরভাগই পার্শ্ববর্তী হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন৷ ভারতে বিশাল সংখ্যক শিখ জনগোষ্ঠীরও বসবাস৷
কেবল আগস্টেই ১৭৬ জন আফগান শিখ ও হিন্দু বিশেষ ভিসায় ভারতে আসেন৷ শিখ এবং হিন্দুরা মাতৃভূমি ছেড়ে যাওয়ার বেদনা নিয়ে বলছেন, ‘‘আফগানিস্তান আমাদের আর চায় না৷’’
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন আফগ ন স ত ন ছ হ মদর দ মন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
৩২ নম্বরের দিকে যাওয়া ২টি বুলডোজার আটকে দিল সেনাবাহিনী
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দিকে যাওয়া দুটি বুলডোজার আটকে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় ছাত্র-জনতার সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
সূত্র জানায়, দুটি বুলডোজার ট্রাকে করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বুলডোজারের ওপরে কিছু তরুণকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভেঙে ফেলার ঘোষণা দিচ্ছিল। পরে সেনাবাহিনী ও বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ৩২ নম্বরে প্রবেশের রাস্তায় বুলডোজার দুটি আটকে দেন। ছাত্র-জনতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা চলছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।
গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাড়িটিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও বুলডোজার এনে বাড়িটির কিছু অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ঢাকা/এমআর/মাসুদ