সরকারি কেনাকাটায় অনলাইনে দরপত্র বাধ্যতামূলক
Published: 1st, October 2025 GMT
সরকারি কেনাকাটায় সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সরকারি ক্রয়নীতিতে (পিপিএ) বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন ক্রয়নীতিতে সব ধরনের সরকারি কেনাকাটায় অনলাইনে দরপত্র আবেদন (ই–জিপি) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গত রোববার নতুন এই বিধিমালা গেজেট হিসেবে প্রকাশ করে কার্যকর করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সরকারি ক্রয় কর্তৃপক্ষ বা পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৬ সালে প্রকাশিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্টে (পিপিএ) আনা সংশোধনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে নতুন পিপিআর ২০২৫ তৈরি করা হয়। এখন থেকে সরকারি কেনাকাটায় সংশোধিত পিপিএ ২০০৬ ও নতুন পিপিআর ২০২৫ দুটিই কার্যকর হবে।
আরও কী কী পরিবর্তন এসেছে
নতুন সরকারি ক্রয়নীতিতে ১৫৪টি বিধি ও ২১টি তফসিল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন বিধিমালায় অভ্যন্তরীণ কেনাকাটায় ১০ শতাংশ মূল্যসীমা বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া চুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রকৃত উপকারভোগীর (বেনিফিশিয়ারি ওনারশিপ) তথ্য প্রকাশ বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারি ক্রয়ে টেকসই কেনাকাটা করতে হবে। সরকারি প্রতিটি কেনাকাটায় কৌশলগত পরিকল্পনা প্রস্তুত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
নতুন বিধিমালায় আরও বলা হয়, ভৌত সেবাকে স্বতন্ত্র প্রকিউরমেন্ট ক্যাটাগরি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এ ছাড়া কাঠামো চুক্তি (ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট) দর–কষাকষির ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করতে হবে। যেকোনো কেনাকাটার পরিকল্পনা বাতিলের জন্য একটি ডেবারমেন্ট বোর্ড (বাতিল করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত বোর্ড) প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ ছাড়া সম্পদ নিষ্পত্তিসংক্রান্ত স্পষ্ট বিধান তৈরি করতে হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন বিধিমালা তৈরি করতে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) এ খাতের অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ ও আলোচনা করে। আলোচনায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বড় ক্রয়কারী সংস্থা, দরদাতা, সাংবাদিক, নারী উদ্যোক্তা ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে ১২টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অধিকাংশ অংশগ্রহণকারী পুরোনো বিধিমালায় সংশোধন না এনে সম্পূর্ণ নতুন পিপিআর করার মত দেন।
বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির (বিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মঈন উদ্দীন আহম্মেদ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলেন, নতুন বিধিমালা দেশের সরকারি কেনাকাটা সংস্কারের ইতিহাসে মাইলফলক।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নত ন ব ধ ম ল সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
একাদশে বিশেষ কোটায় ভর্তির সুযোগ পেলেন ৬০ শিক্ষার্থী
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে ৬০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী কোটায় ৫৪ জন, জাতীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক কোটায় ২ জন এবং প্রবাসী কোটায় ৪ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা ও প্রবাসী কোটায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে ছুটি কমিয়ে ৬০ দিন হচ্ছে: মহাপরিচালক নূর মো. শামসুজ্জামান২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিবন্ধী কোটায় ৫৪ জন শিক্ষার্থী, জাতীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক কোটায় ২ জন এবং প্রবাসী কোটায় ৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট কলেজগুলোকে এ তালিকা অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী ১০ (দশ) কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এবারও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে সম্পন্ন করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী ৯৩ শতাংশ আসন উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ বাকি ৭ শতাংশ আসন সংরক্ষিত। সমান জিপিএপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে নম্বর বিবেচনায় মেধাক্রম ঠিক করা হয়েছে। নিজ কলেজে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
আরও পড়ুনদক্ষিণ কোরিয়ায় জিআইএসটি স্কলারশিপ: পূর্ণাঙ্গ বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ৩ ঘণ্টা আগে