চট্টগ্রামে ২৯২টি পূজামণ্ডপে অঞ্জলী নিয়ে শত শত ভক্তের ভিড়
Published: 1st, October 2025 GMT
চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রঘট পূজামণ্ডপসহ ২৯২টি মণ্ডপে আনন্দ উৎসবের মধ্যে দিয়ে আজ বুধবার (১ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গোৎসবের মহানবমীর পূজা উদযাপন হচ্ছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে শত শত ভক্ত নবমীর অঞ্জলী নিয়ে ভিড় করছেন।
চট্টগ্রাম মহানগরীতে জেএম সেন হলসহ ১৬টি থানায় ব্যক্তিগত, ঘটপূজাসহ এবার পূজামণ্ডপের সংখ্যা ২৯২টি। চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ২ হাজার ২০২টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রতিমা মণ্ডপের সংখ্যা ১ হাজার ৫৮৫টি এবং ঘটপূজার সংখ্যা ৬১৭টি।
আরো পড়ুন:
ঢাকা জেলা প্রশাসকের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন
ছুটিতে প্রিয়জনের কাছে ফিরছে মানুষ
আজ বুধবার (১ অক্টোবর) মহানবমী তিথিতে মা দুর্গা পূজিত হয়েছেন দেবী সিদ্ধিদাত্রী রূপে। শাস্ত্রে আছে, দেবী এই রূপে ভক্তদের পার্থিব আকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং অজ্ঞানতা দূর করে জ্ঞান দান করেন। নবরাত্রির নবম বা শেষ তিথি এই মহানবমী। এই দিনে আনন্দের মধ্যেও বিষাদের ছায়া নেমে আসে ভক্তদের মনে। কারণ, দেবী দুর্গা আর একদিন পরে কৈলাসে ফিরে যাবেন।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটের মধ্যে দুর্গা দেবীর মহানবমীর কল্পারম্ভ ও মহানবমী বিহিত পূজার পর মাতৃদেবী দেবী দুর্গার চরণে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করেন পূজার্থীরা। শেষে মহাষ্টমী ব্রত পালনকারীরা পারণ (নৈবেদ্য আস্বাদন) করেন।
সনাতন ধর্মালম্বীদের গ্রন্থ পুরাণ মতে, বিভূতি লাভের জন্য নবমী তিথিতে যথাবিধি বলিদান এবং জপ ও হোম করা কর্তব্য। এক্ষেত্রে ষড়ঋপুর প্রতীক হিসেবে যেকোনো ফল কাটা হয়, চণ্ডীপাঠ করা হয়। ১০৮টি বেল পাতা, আম কাঠ, ঘি দিয়ে যজ্ঞের মাধ্যমে দেবীদুর্গার উদ্দেশ্যে আহুতি দেওয়া হয়। এই পূজার ৭টি কল্প বিহিত আছে। সামর্থ্যানুসারে যে কোনো কল্পে পূজা করা হয়। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণানবমী হতে আশ্বিন মাসের মহানবমী পর্যন্ত যে পূজা করা হয়, তাকে নবম্যাদি কল্প বলে।
চট্টগ্রাম রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম, চট্টেশ্বরী কালী মন্দির, জেএম সেন হল পূজামণ্ডপ, কৈবল্যধামসহ পারিবারিক আয়োজনে শাস্ত্রীয় বিধি মেনে মহানবমী পূজা সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে, চট্টগ্রামে দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন করতে মণ্ডপে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উপজেলায় অধিক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা/রেজাউল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রীবেশে উঠে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টা, চালককে গলা কেটে খুন
ফেনীর সোনাগাজীতে গলা কেটে এক অটোরিকশাচালককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের পশ্চিম চরদরবেশ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মনোরঞ্জন ভূঞা (৬৫)। তিনি চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ভূঞা বাজার-সংলগ্ন কলাবাগান এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
পুলিশ ও নিহত মনোরঞ্জনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার রাত ৯টার দিকে সোনাগাজী পৌর শহর থেকে ছোট ফেনী নদীর সাহেবের ঘাট সেতুর ওপর যাওয়ার কথা বলে কয়েকজন যুবক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি ভাড়া করেন। অটোরিকশা সাহেবের ঘাট সেতু পার হলে রিকশায় থাকা যুবকেরা গাড়ি থামিয়ে চালককে মারধর করে গাড়িটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। এতে চালক মনোরঞ্জন ছিনতাইকারীদের বাধা দিলে তাঁকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে খালের পাশে গাড়িসহ ফেলে পালিয়ে যান তাঁরা।
রাতে স্থানীয় লোকজন খালের পাশে রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী মহিন উদ্দিন বলেন, মনোরঞ্জন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সপ্তাহখানেক আগে কিস্তিতে নতুন একটি অটোরিকশা কেনেন। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন অটোরিকশাটি ছিনতাই করতে ব্যর্থ হয়ে তাঁকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, মরদেহটি ফেনীর সোনাগাজী-কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তের খালের মধ্যে পাওয়া যাওয়ায় দুই থানার পুলিশ যৌথভাবে ঘটনাস্থলে কাজ করছে। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।