চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রঘট পূজামণ্ডপসহ ২৯২টি মণ্ডপে আনন্দ উৎসবের মধ্যে দিয়ে আজ বুধবার (১ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গোৎসবের মহানবমীর পূজা উদযাপন হচ্ছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে শত শত ভক্ত নবমীর অঞ্জলী নিয়ে ভিড় করছেন।

চট্টগ্রাম মহানগরীতে জেএম সেন হলসহ ১৬টি থানায় ব্যক্তিগত, ঘটপূজাসহ এবার পূজামণ্ডপের সংখ্যা ২৯২টি। চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ২ হাজার ২০২টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রতিমা মণ্ডপের সংখ্যা ১ হাজার ৫৮৫টি এবং ঘটপূজার সংখ্যা ৬১৭টি।

আরো পড়ুন:

ঢাকা জেলা প্রশাসকের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন

ছুটিতে প্রিয়জনের কাছে ফিরছে মানুষ

আজ বুধবার (১ অক্টোবর) মহানবমী তিথিতে মা দুর্গা পূজিত হয়েছেন দেবী সিদ্ধিদাত্রী রূপে। শাস্ত্রে আছে, দেবী এই রূপে ভক্তদের পার্থিব আকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং অজ্ঞানতা দূর করে জ্ঞান দান করেন। নবরাত্রির নবম বা শেষ তিথি এই মহানবমী। এই দিনে আনন্দের মধ্যেও বিষাদের ছায়া নেমে আসে ভক্তদের মনে। কারণ, দেবী দুর্গা আর একদিন পরে কৈলাসে ফিরে যাবেন।

বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটের মধ্যে দুর্গা দেবীর মহানবমীর কল্পারম্ভ ও মহানবমী বিহিত পূজার পর মাতৃদেবী দেবী দুর্গার চরণে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করেন পূজার্থীরা। শেষে মহাষ্টমী ব্রত পালনকারীরা পারণ (নৈবেদ্য আস্বাদন) করেন।

সনাতন ধর্মালম্বীদের গ্রন্থ পুরাণ মতে, বিভূতি লাভের জন্য নবমী তিথিতে যথাবিধি বলিদান এবং জপ ও হোম করা কর্তব্য। এক্ষেত্রে ষড়ঋপুর প্রতীক হিসেবে যেকোনো ফল কাটা হয়, চণ্ডীপাঠ করা হয়। ১০৮টি বেল পাতা, আম কাঠ, ঘি দিয়ে যজ্ঞের মাধ্যমে দেবীদুর্গার উদ্দেশ্যে আহুতি দেওয়া হয়। এই পূজার ৭টি কল্প বিহিত আছে। সামর্থ্যানুসারে যে কোনো কল্পে পূজা করা হয়। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণানবমী হতে আশ্বিন মাসের মহানবমী পর্যন্ত যে পূজা করা হয়, তাকে নবম্যাদি কল্প বলে।

চট্টগ্রাম রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম, চট্টেশ্বরী কালী মন্দির, জেএম সেন হল পূজামণ্ডপ, কৈবল্যধামসহ পারিবারিক আয়োজনে শাস্ত্রীয় বিধি মেনে মহানবমী পূজা সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে, চট্টগ্রামে দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন করতে মণ্ডপে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উপজেলায় অধিক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  

ঢাকা/রেজাউল/বকুল   

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে ২৯২টি পূজামণ্ডপে অঞ্জলী নিয়ে শত শত ভক্তের ভিড়

চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রঘট পূজামণ্ডপসহ ২৯২টি মণ্ডপে আনন্দ উৎসবের মধ্যে দিয়ে আজ বুধবার (১ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গোৎসবের মহানবমীর পূজা উদযাপন হচ্ছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে শত শত ভক্ত নবমীর অঞ্জলী নিয়ে ভিড় করছেন।

চট্টগ্রাম মহানগরীতে জেএম সেন হলসহ ১৬টি থানায় ব্যক্তিগত, ঘটপূজাসহ এবার পূজামণ্ডপের সংখ্যা ২৯২টি। চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ২ হাজার ২০২টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রতিমা মণ্ডপের সংখ্যা ১ হাজার ৫৮৫টি এবং ঘটপূজার সংখ্যা ৬১৭টি।

আরো পড়ুন:

ঢাকা জেলা প্রশাসকের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন

ছুটিতে প্রিয়জনের কাছে ফিরছে মানুষ

আজ বুধবার (১ অক্টোবর) মহানবমী তিথিতে মা দুর্গা পূজিত হয়েছেন দেবী সিদ্ধিদাত্রী রূপে। শাস্ত্রে আছে, দেবী এই রূপে ভক্তদের পার্থিব আকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং অজ্ঞানতা দূর করে জ্ঞান দান করেন। নবরাত্রির নবম বা শেষ তিথি এই মহানবমী। এই দিনে আনন্দের মধ্যেও বিষাদের ছায়া নেমে আসে ভক্তদের মনে। কারণ, দেবী দুর্গা আর একদিন পরে কৈলাসে ফিরে যাবেন।

বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটের মধ্যে দুর্গা দেবীর মহানবমীর কল্পারম্ভ ও মহানবমী বিহিত পূজার পর মাতৃদেবী দেবী দুর্গার চরণে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করেন পূজার্থীরা। শেষে মহাষ্টমী ব্রত পালনকারীরা পারণ (নৈবেদ্য আস্বাদন) করেন।

সনাতন ধর্মালম্বীদের গ্রন্থ পুরাণ মতে, বিভূতি লাভের জন্য নবমী তিথিতে যথাবিধি বলিদান এবং জপ ও হোম করা কর্তব্য। এক্ষেত্রে ষড়ঋপুর প্রতীক হিসেবে যেকোনো ফল কাটা হয়, চণ্ডীপাঠ করা হয়। ১০৮টি বেল পাতা, আম কাঠ, ঘি দিয়ে যজ্ঞের মাধ্যমে দেবীদুর্গার উদ্দেশ্যে আহুতি দেওয়া হয়। এই পূজার ৭টি কল্প বিহিত আছে। সামর্থ্যানুসারে যে কোনো কল্পে পূজা করা হয়। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণানবমী হতে আশ্বিন মাসের মহানবমী পর্যন্ত যে পূজা করা হয়, তাকে নবম্যাদি কল্প বলে।

চট্টগ্রাম রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম, চট্টেশ্বরী কালী মন্দির, জেএম সেন হল পূজামণ্ডপ, কৈবল্যধামসহ পারিবারিক আয়োজনে শাস্ত্রীয় বিধি মেনে মহানবমী পূজা সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে, চট্টগ্রামে দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন করতে মণ্ডপে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উপজেলায় অধিক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  

ঢাকা/রেজাউল/বকুল   

সম্পর্কিত নিবন্ধ