আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মাওলানা মামুনুল হকের আফগানিস্তান ফেরত সাক্ষাৎকার পড়লাম প্রথম আলোতে। বেশ সমৃদ্ধ ও তথ্যবহুল সাক্ষাৎকার নিশ্চয়ই। এবং এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে আমাদের দেশের মানুষদের আফগান শাসনব্যবস্থা বিষয়ে বিস্তারিত জানা ও বোঝার সুযোগ হয়েছে।

তালেবান সরকারের শাসনের বেশ কয়েকটি সুবিধা ও একটি অসুবিধা দেখিয়েছেন মামুন সাহেব তাঁর সাক্ষাৎকারে। সুবিধাগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও বিচারব্যবস্থার কথা বলেছেন। আর অসুবিধার কথা দেখিয়েছেন নারী শিক্ষাকে। এত অধিক সংখ্যক মানুষের হাতে অস্ত্র থাকা সত্ত্বেও কোথাও আইনশৃঙ্খলার অবনতি নেই, সেটা নিশ্চয়ই খুবই বড় অর্জন। উন্নয়নের ক্ষেত্রে সঠিক ও নির্দিষ্ট করে কোনো একক না বললেও জানিয়েছেন, আফগান সরকার আট লাখ মানুষকে নানা ভাতা দেয়, যাঁরা যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এমনকি তালেবানের বিপক্ষে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদের ভুক্তভোগী পরিবারের অনেকে সে ভাতা পায়।

বিচারব্যবস্থা প্রসঙ্গেও আফগানের উদাহরণ বেশ ভালো ও অনুসরণযোগ্য, সেখানে অল্পদিনের মধ্যেই বিচার সমাধা করে ফেলতে হয়, আমাদের দেশে যা সম্ভব নয় ঔপনিবেশিক আইন কাঠামোর জন্য। আমাদের নিজেদেরই একটা জমির মামলা ত্রিশ বছর ধরে ঝুলছে কোর্টে। ফলে অবশ্যই আফগানের উদাহরণ আমাদের জন্য একটা ভালো সবক হতে পারে।

নারী শিক্ষা বিষয়ে মামুন হক উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, সেই উদ্বেগ বিষয়ে আফগানরাও জানেন, এবং অল্পদিনেই নারীদের পড়াশোনা সমস্যার সমাধান করবেন।

সাক্ষাৎকার শেষে মামুনুল হক বলেছেন, ‘তালেবানি রাষ্ট্রের তো আমাদের এখানে কোনো প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান। আপনারা জানেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন বিষয়ে জরিপ চালানো হয়েছিল। সেখানে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ শরিয়াহ শাসন চেয়েছে। দেশের মানুষ তো শরিয়াহ আইন চাইছে। এটাকে কেন জোর করে তালেবানি শাসন বলে শরিয়াহ আইন চাওয়ার গণ-অভিপ্রায়কে গলা টিপে হত্যা করা হবে। এটাকে আমরা খুব খারাপ মনে করি। মুসলমান মাত্রই তার মধ্যে শরিয়াহ আইনে শাসিত হওয়ার একটা অভিপ্রায় আছে। কারণ, মানুষের পূর্ণাঙ্গ অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে শরিয়াহর বিকল্প কোনো ব্যবস্থা পরিপূর্ণ হতে পারে না।’

যদিও এর প্রতিক্রিয়ায় ঐকমত্য কমিশন জানিয়েছে, কমিশনের পক্ষ থেকে যে জরিপ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছিল, সেখানে শরিয়াহ আইন বা শরিয়াহ শাসনসংক্রান্ত কোনো প্রশ্নই অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ফলে উক্ত জরিপ থেকে এ ধরনের মতামত বা ফলাফল পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ প্রেক্ষিতে মামুনুল হক বলেছেন, ২০১৭ সালে ‘রিজলভ নেটওয়ার্ক’ পরিচালিত একটি জরিপকে তিনি অসতর্কতাবশত ঐকমত্য কমিশনের জরিপ বলে উল্লেখ করেছেন।

২.

সাক্ষাৎকারটি নিয়ে আমার বেশ কয়টি চিন্তার জায়গা আছে, যেই চিন্তাগুলো আলাপে আসা দরকার মনে করেই এই লেখাটা লেখছি। শেষ থেকেই শুরু করি। মামুনুল হক জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ‘তালেবানি রাষ্ট্রের প্রয়োজন নেই, তবে শরিয়াহ আইনে শাসিত হবার অভিপ্রায় আছে মানুষের।’ সমস্যার জায়গা হচ্ছে, শরিয়াহটা আসলে কীভাবে নির্ধারণ করবেন মামুনুল হকরা। কারণ, আফগানরা যা করছে, তা তো শরিয়াহর নামেই করছে। ফলে, তালেবানি রাষ্ট্র না হয় না-ই হলো। শরিয়াহ রাষ্ট্র হলেই, এর ধরন কেমন হবে? তালেবানি শরিয়াহর সঙ্গে বাংলাদেশি শরিয়াহর কতটা তফাৎ হবে?

তা ছাড়া শরিয়াহ তো ব্যাখ্যার বিষয় পুরোটাই, আর ইসলামের ব্যাখ্যা তো অনেক বিস্তর, তাতে নানা গ্রুপ, নানা দল, নানা মত আছে। আর ব্যাখ্যাও নানা ক্ষেত্রে রাজনৈতিক হয়ে ওঠে, সেই রাজনীতির পেছনে নানা অর্থনৈতিক কারণ থাকে। মানে, ধর্ম যখন সমাজের মধ্যে আসে, তা তো একবারে সরলরৈখিক থাকে না, অর্থনীতি আর ক্ষমতার নানা মাত্রা তাতে যুক্ত হয়, বাংলাদেশের শরিয়াহতে সেই যুক্ততার ধরন আর বোঝাপড়া কেমন হবে? সেই প্রশ্নটা নিয়েও ভাবার আছে। তালেবানরা মোটাদাগে দেওবন্দি ভাবধারার, মামুনুল হকরাও তাই। ফলে তালেবানের শরিয়াহ বোঝাপড়া আর মামুনুল হকদের বোঝাপড়াতে যে খুব একটা তফাৎ হবে না, তার নিশ্চয়তাই বা কী?

আরও পড়ুনইসলামপন্থীদের আনুকূল্য নিয়েই বিএনপিকে চলতে হবে২০ আগস্ট ২০২৫৩.

মামুনুল হকদের আফগানিস্তানে যাওয়ার এবং আফগানিস্তানে বেশ কয়েকজন লেখকের লেখা নিষিদ্ধ করার সংবাদ আমরা একই দিনে পেয়েছি। লেখা নিষিদ্ধ করার এই রাজনীতিটা ভয়াবহ, যেই রাজনীতির মাধ্যমে আপনি আপনার উদ্দিষ্ট মানুষদের একটা নির্দিষ্ট পন্থার বাইরে যেতে দেবেন না বলে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন, সেই সিদ্ধান্ত যদিও নানা মোড়কে আসে, কিন্তু তার পেছনের পলিটিকসটা আদর্শিক। তালেবান যেমন ধর্ম রক্ষার বর্ম পরিয়েছে এই নিষিদ্ধের পেছনে।

আমি জানি না, আমার শিক্ষক এই রাজনীতিটাকে কতটা ভয়াবহ বিবেচনা করেন বা করবেন। কারণ, আমি একটা দীর্ঘ সময়ে কওমি মাদ্রাসায় পড়েছি, কওমি মাদ্রাসাতেও এই পাঠ নিষিদ্ধের রাজনীতিটা আছে, সেখানে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা থেকে মন সরে যাওয়ার কথা বলে পাঠ্যতালিকা ছোট করে দেওয়া হয়, এবং দেওবন্দ মতাদর্শের বাইরে অন্য পড়াশোনাকে নানাভাবেই নিরুৎসাহিত করা হতো। এখন অবশ্য মাদ্রাসাগুলোর পাঠাগারে অনেক ধরনের বই-ই থাকে। শিক্ষার্থীরা পড়েও হয়তো। নিরুৎসাহের ব্যাপারটা বর্তমানরাই বলতে পারবেন। আমাদের দেশীয় শরিয়াহ রিডিং রাজনীতি কেমন করে করবে?

৪.

পাঠের রাজনীতি তো কেবল পাঠেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা ভিন্নমত দমনকেই ইঙ্গিত করে। ভিন্ন চিন্তা গড়ে উঠতে না দেওয়ার ইচ্ছা। আফগানে ভিন্নমতের কোনো জায়গা নেই। বাংলাদেশের শরিয়াহতে ভিন্নমত কি জায়গা পাবে? ধরে নেওয়া যাক, দেওবন্দ ব্যাখ্যার শরিয়াহ কায়েম হলো, সেই ব্যাখ্যার বাইরে ধর্মের অন্য কোনো চিন্তা, চর্চা, বোঝাপড়া কি সেই শরিয়াহ শাসনে জায়গা পাবে? যদি পায়, কোন মর্মে পাবে, কারণ ব্যাখ্যার ওপরে গিয়ে শরিয়াহ যখন প্রতিষ্ঠা পাবে, সেটা তো ধ্রুব হয়ে উঠতে হবে। নতুবা অন্য কোনো ধ্রুব তার জায়গা দখল করে নেবে। ফলে, অভ্যন্তরীণ নানা শরিয়াহ চিন্তাকেই আগে রদ করতে হবে। সেই রদটা কি করবে বাংলাদেশের শরিয়াহ?

আরও পড়ুনপাকিস্তান-আফগানিস্তান সম্পর্কের অবনতি যেসব কারণে২৭ মার্চ ২০২৪৫.

শরিয়াহ চিন্তার বৃত্তের বাইরে গিয়ে আমরা যদি মুক্তচিন্তার আলাপ তুলি, যদিও বাংলাদেশে মুক্তচিন্তা একটা নেতিবাচক পরিভাষা হিসেবে প্রচার পেয়েছে, তবু ব্যক্তির উৎকর্ষের জন্য মুক্তচিন্তা করতে পারাটা জরুরি। আফগানিস্তানে মুক্তচিন্তার বালাই নেই। বাংলাদেশের শরিয়াহ কি মুক্তচিন্তা করতে দেবে? কেউ যদি সমাজকে ধর্মের চিন্তাপদ্ধতির বাইরে গিয়ে সমাজবিজ্ঞানের চিন্তাপদ্ধতি দিয়ে চিন্তা করতে চায়। কেউ যদি কার্ল মার্ক্সকে বুঝতে চায়, কিংবা ফ্রয়েডকে বা ধরে নেওয়া যাক অর্থনীতির কোনো তাত্ত্বিকের আলাপ দিয়ে, বাংলাদেশের শরিয়াহ কি সেই সুযোগ দেবে? কারণ শরিয়াহর তো এই সবকিছু নিয়েই একটা ব্যাখ্যা আছে, এবং সেটা ‘ধ্রুব’।

ধরেই নিলাম বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে শরিয়াহ কোনো ধরনের বাধা দেবে না, কিন্তু বিজ্ঞানের এমন অনেক দিক আছে, যা শরিয়াহর সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে, সেই সংঘর্ষের বোঝাপড়া কেমন করে করবে বাংলাদেশের শরিয়াহ?  

আরও পড়ুনভারত–আফগানিস্তান: ‘হিন্দুবাদী’ ও ‘ইসলামি’ দুটি দেশের সম্পর্কের রসায়ন১১ জানুয়ারি ২০২৫৬.

নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও বিচারব্যবস্থা মানুষের জন্য খুবই জরুরি বিষয়। যা মানুষকে শান্তিতে বসবাস করতে দেয়। আফগানিস্তানের উদাহরণ আমাদের দেশের মানুষকে শরিয়াহর ব্যাপারে ইতিবাচকভাবে ভাবতে শেখাবে, আশান্বিত করবে শরিয়াহতে। কিন্তু আফগানিস্তানের যেই ব্যাপারগুলো নিয়ে আলাপ করা জরুরি তা হচ্ছে, ফ্রিডম হাউসের ফ্রিডম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড সূচক একটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড, যা কোনো দেশের রাজনৈতিক অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতার অবস্থা পরিমাপ করে। এখানে মোট স্কোর ১০০-এর মধ্যে দেওয়া হয়, যার মধ্যে রাজনৈতিক অধিকার (পলিটিক্যাল রাইটস) সর্বোচ্চ ৪০ এবং নাগরিক স্বাধীনতা (সিভিল রাইটস) সর্বোচ্চ ৬০ পয়েন্ট।

রাজনৈতিক অধিকারের প্রশ্নমালা তিন ভাগে বিভক্ত: ১. ইলেকটোরাল প্রসেস—নির্বাচন কতটা অবাধ ও সুষ্ঠু, ভোটার ও প্রার্থীরা সমান সুযোগ পাচ্ছে কি না (১২ পয়েন্ট), ২. পলিটিক্যাল প্লুরালিজম অ্যান্ড পার্টিসিপেশন—একাধিক দল কার্যকরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে কি না এবং সংখ্যালঘু ও নারীরা রাজনীতিতে অংশ নিতে পারে কি না (১৬ পয়েন্ট), ৩. ফাংশনিং অব গভর্নমেন্ট—নির্বাচিত সরকার আসলেই ক্ষমতা প্রয়োগ করছে কি না, নাকি অন্য শক্তি (যেমন সেনা বা সশস্ত্র গোষ্ঠী) নিয়ন্ত্রণ করছে, এবং দুর্নীতি ও দায়বদ্ধতা কেমন (১২ পয়েন্ট)।

অন্যদিকে নাগরিক স্বাধীনতা (৬০ পয়েন্ট) চার ভাগে বিভক্ত: ১. ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন অ্যান্ড বিলিভ—মতপ্রকাশ, সংবাদমাধ্যম, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও একাডেমিক স্বাধীনতা (১৬ পয়েন্ট), ২. অ্যাসোসিয়েশনাল অ্যান্ড অরগানাইজেশনাল রাইটস—সমাবেশ, সংগঠন, ইউনিয়ন ও সিভিল সোসাইটির কার্যক্রমের সুযোগ (১২ পয়েন্ট), ৩. রুল অব ল—স্বাধীন বিচারব্যবস্থা, আইনের শাসন, মানবাধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনীর দায়বদ্ধতা (১৬ পয়েন্ট), ৪. পারসোনাল অটোনমি অ্যান্ড ইন্ডিভিজ্যুয়াল রাইটস—চলাফেরার স্বাধীনতা, পারিবারিক অধিকার, সম্পত্তি ও অর্থনৈতিক সুযোগ (১৬ পয়েন্ট)।

আরও পড়ুনভারত কি পাকিস্তান–তালেবান দ্বন্দ্বের সুযোগ নিচ্ছে১৫ জানুয়ারি ২০২৫

প্রতিটি উপপ্রশ্নের জন্য ০ থেকে ৪ পয়েন্ট দেওয়া হয়; এগুলো যোগ করে চূড়ান্ত স্কোর দাঁড়ায়। এই স্কোরের ভিত্তিতে দেশগুলোকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়: ৭০ থেকে ১০০ হলে ‘ফ্রি’, ৩০ থেকে ৬৯ হলে ‘পার্টলি ফ্রি’ এবং ০ থেকে ২৯ হলে ‘নট ফ্রি’।

২০২৫ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, আফগানিস্তানের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে—দেশটির মোট স্কোর মাত্র ৬/১০০, যেখানে রাজনৈতিক অধিকার ১/৪০ এবং নাগরিক স্বাধীনতা ৫/৬০। অর্থাৎ নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই, বহুদলীয় প্রতিযোগিতা কার্যত বন্ধ, এবং সরকার তালেবান নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর হাতে একচ্ছত্রভাবে কেন্দ্রীভূত। একইভাবে সংবাদমাধ্যম ও মতপ্রকাশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত, সমাবেশ বা সিভিল সোসাইটির স্বাধীনতা নেই, বিচারব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণাধীন, এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রায় সব ক্ষেত্রেই—বিশেষ করে নারী ও সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে—অত্যন্ত সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে আফগানিস্তানকে ফ্রিডম হাউস সরাসরি ‘নট ফ্রি’ ক্যাটাগরিতে রেখেছে, যা দেখায় দেশটিতে মৌলিক রাজনৈতিক অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতার প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি।

আমাদের শরিয়াহ ব্যবস্থাতে এই সূচকগুলোর অবস্থা কী হবে, সেই বিষয়টাও উল্লেখ করা প্রয়োজন বলেই আমি মনে করি, যদি তা তালেবানি রাষ্ট্র আদতেই না হয়। নারী শিক্ষার বিষয়টি আলাদা করে না-ই বললাম। তা নিয়ে বলতে গেলেও আরও অনেক কথা এসে যাবে।

আরও পড়ুনতালেবান কার ভয়ে এবং কেন রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করে রাখছে২৬ আগস্ট ২০২৩৭ .

ক্ষমতায় যাওয়ার ইচ্ছা স্বাভাবিক সবার জন্যই। মনোবিজ্ঞানে ক্ষমতার বাসনাকে মৌলিক মানবিক প্রেরণা হিসেবে দেখা হয়। সমাজবিজ্ঞানী মাসলো বলেন, ক্ষমতা মানুষকে ‘ব্যক্তি’ হয়ে ওঠার সর্বোত্তম সোপানে নিয়ে যায়। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পেছনে অর্থনৈতিক কারণটাই নানাভাবে মুখ্য হয়ে ওঠে আমাদের জানায়, কিংবা অজানায়; চেতনে কিংবা অবচেতনে।

কিন্তু মনে রাখা উচিত আমাদের ক্ষমতার মোহ যেন আমাদের আদর্শ, পয়সার ওপরে গিয়ে মানুষের বিকাশের জন্য সহজতর হয়। নতুবা নানাভাবে ক্ষমতাচ্যুতিই পৃথিবীর ইতিহাস।

মীর হুযাইফা আল মামদূহ লেখক ও গবেষক।


*মতামত লেখকের নিজস্ব

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন আম দ র দ শ ম ম ন ল হক ই র জন ত ল র ইটস ব যবস থ দ ধ কর র জন য ন র উদ বল ছ ন ক ষমত সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ