জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৫ উপলক্ষে রূপগঞ্জে নিসচা’র সংবাদ সম্মেলন
Published: 1st, October 2025 GMT
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৫ উপলক্ষে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)'র মাস ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন ও সড়ক নিরাপত্তায় সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে নিরাপদ সড়ক চাই নিসচা এর নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকালে জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার গাউসিয়া এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জামান মিয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মোমেন মিয়া, মোহাম্মদ গোলাম সাদেক, যুগ্ম সম্পাদক ও সাংবাদিক সোহেল কিরণ, দপ্তর সম্পাদক হাফিজুর রহমান, প্রকাশনা সম্পাদক রমজান মৃধা, কার্যকরী সদস্য নাজমুল হক রনি, হাবিবুল্লাহ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠানর পর থেকে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের ন্যায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করবে।
সে গুলো হলো, সড়কে শৃঃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ক্যাম্পেইন, জনসচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ, ফুটপাত ব্যবহারে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করণ, চালক-হেলপারদের সাথে মতবিনিময় সভা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সড়ক বিষয়ে আলোচনা সভা, প্রশাসনের সাথে সড়ক বিষয়ে আলোচনা সভা, জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে বর্ণাঢ্য র্যালী সহ বিভিন্ন জনসচেতনতা মূলক নানাবিধ কর্মকাণ্ড।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন শুরু, সদরঘাটে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা
শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীতে রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকার বীণা স্মৃতি স্নানঘাটে ধানমন্ডি থানার দুর্গামন্দিরের প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিসর্জন কার্যক্রম শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা মহানগর পূজা উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগে সদরঘাট টার্মিনালের পাশে বীণা স্মৃতি স্নানঘাটে অস্থায়ী বিসর্জন মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। পাশে পুলিশের কন্ট্রোল রুম। ঘাট এলাকা ও বুড়িগঙ্গার তীরজুড়ে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ঘাট ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি নদীতে নৌ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ট্রলার ও স্পিডবোটে টহল দিচ্ছেন। প্রতিমা বিসর্জন দেখতে বিকেল থেকেই ভক্ত ও দর্শনার্থীরা ঘাট এলাকায় ভিড় করছেন।
প্রতিমা বিসর্জন কেন্দ্রীয় ঘাট কমিটির কর্মকর্তা রজত কুমার সুর প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা বিকেল নাগাদ বীণা স্মৃতি ঘাটে এসে পৌঁছাবে। এ উপলক্ষে ঘাটকেন্দ্রিক সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
পুরান ঢাকার হাজারীবাগ থেকে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে এসেছেন সবিতা রানী। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর পরিবারের সঙ্গে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে বীণা স্মৃতি ঘাটে আসি। এবারও স্বামী ও ছেলেমেয়েকে নিয়ে এসেছি। এটি আমাদের কাছে এক বিশেষ মুহূর্তের দিন।’
নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোহাগ প্রথম আলোকে বলেন, বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঘাট ও আশপাশের প্রতিটি পয়েন্টে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও আনসার মোতায়েন আছে। একই সঙ্গে একাধিক ট্রলার ও স্পিডবোটে টহল জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, বেলা তিনটায় শুরু হওয়া বিসর্জন কার্যক্রম চলবে মধ্যরাত পর্যন্ত।
এদিকে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর ইউনিয়নের নাগরমহল ঘাট এলাকায় আরেকটি বিসর্জন মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি অনুপ কুমার বর্মণ প্রথম আলোকে বলেন, কেরানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রতিমা বুড়িগঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়। মূলত সন্ধ্যা ছয়টার পর থেকে কেরানীগঞ্জের প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আনা হয়। প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে তাঁদের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।