দেহের শক্তি বাড়ায়
খেয়াল করে দেখবেন, খেলোয়াড়েরা খেলার বিরতিতে কলা খান। কারণ, কলায় আছে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট আর ভিটামিন বি। আমাদের শরীরের প্রধান জ্বালানি হলো এই কার্বোহাইড্রেট। ফলে কলা খেলে দেহে বাড়তি শক্তি পাওয়া যায়।
তবে শুধু কলা খেলেই চলবে না। এর সঙ্গে খেতে হবে প্রোটিন বা স্বাস্থ্যকর চর্বি। তাহলে শক্তি দীর্ঘস্থায়ী হবে। তা না হলে রক্তে সুগারের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে গিয়ে আবার কমে যেতে পারে। এতে আগের চেয়েও দুর্বল লাগতে পারে।
হজমশক্তি ভালো করেহজম সমস্যায় কলার মতো উপকারী ফল খুঁজে পাওয়া কঠিন। কলায় আছে প্রচুর ফাইবার বা আঁশ। এই ফাইবার হজমপ্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফাইবার খাবারকে পরিপাকতন্ত্রের মধ্য দিয়ে সহজে চলাচল করতে সাহায্য করে। এতে মল নরম হয় এবং পেট পরিষ্কার হয় সহজে।
এ ছাড়া কলায় আছে প্রিবায়োটিকস। এসব হজমতন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। তাই তো চিকিৎসকেরা বমি, পেট খারাপ কিংবা অস্ত্রোপচারের পর রোগীদের কলা খেতে বলেন।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করেকলা খেলে হুট করে রক্তে শর্করা বেড়ে যায় না। কারণ, কলায় যে ফাইবার আছে, তা শরীর পুরোপুরি ভাঙতে পারে না। তাই শর্করা ধীরে ধীরে রক্তে মেশে।
কলায় দুই ধরনের ফাইবার আছে—দ্রবণীয় ফাইবার আর রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ। এই দুইয়ে মিলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
আরও পড়ুনআপনার শরীরের জন্য কোনটা ভালো? সরল শর্করা, না জটিল শর্করা ২৫ জানুয়ারি ২০২৩অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট বাড়ায়সব ফলেই অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে। কলাও তার ব্যতিক্রম নয়। অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের কারণে দেহের কোষ কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর কারণেই বয়সের ছাপ বোঝা যায় না এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকিও কমে।
প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, কলা প্যানকিয়াট্রিক বা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার এবং ট্রিপল-নেগেটিভ ব্রেস্ট ক্যানসারের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে। তবে এ বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়কলায় আছে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি আর ম্যাগনেশিয়ামের মতো জরুরি উপাদান। এসব দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। শরীরে এসবের ঘাটতি হলে নানা রোগ দেহে সহজেই আক্রান্ত করে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, পেট ভালো থাকলে সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও ভালো থাকে।
কলায় আছে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি আর ম্যাগনেশিয়ামের মতো জরুরি উপাদান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে