থাইল্যান্ডের কেঁচো থেকে শুরু, বিষমুক্ত কৃষিতে সফল উদ্যোক্তা মামুনুর
Published: 2nd, October 2025 GMT
থাইল্যান্ড থেকে কেঁচো এনে জৈব সার (ভার্মি কম্পোস্ট) উৎপাদন শুরু করেন মামুনুর রশিদ। পাশাপাশি তিনি ট্রাইক্রো কম্পোস্ট, মাশরুম চাষ, কেঁচো বিক্রি এবং আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করেন। প্রতি মাসে প্রায় এক লাখ টাকার জৈব সার বিক্রি করেন তিনি। এলাকায় তাঁর পরিচয় সফল কৃষক ও উদ্যোক্তা হিসেবে। তাঁর এই উদ্যোগ অন্য কৃষকদের মধ্যেও জৈব সারের চর্চা বাড়িয়েছে।
মামুনুর রশিদের বাড়ি রংপুরের কাউনিয়ার উপজেলার টেপা মধুপুর ইউনিয়নের নিজদর্পা গ্রামে। এইচএসসি পাসের পর তাঁর আর লেখাপড়া হয়নি। ২০১০ সালে বিয়ে করার পর সংসারের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে আসে। মামুনুর পৈতৃক জমি দেখাশোনার মাধ্যমে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিত হন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণের পর ২০১১ সালে কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে থাইল্যান্ড থেকে ৪০০টি লুমব্রিকাস রুবেলা জাতের কেঁচো এনে জৈব সারের উৎপাদন শুরু করেন।
প্রথম দিকে মামুনুর নিজ জমিতে বোরো ও আমন ধানের বীজ উৎপাদনের জন্য নিজের তৈরি সার ব্যবহার করেন। ২০১৩ সালে এলাকার অন্যান্য জমিতে ধানের শিষ সাদা হয়ে নষ্ট হলেও মামুনুরের দুই একর জমিতে কোনো প্রভাব পড়েনি। কারণ, তিনি জৈব সার ব্যবহার করেছিলেন। সেই অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে মামুনুর বলেন, তখন স্থানীয় কৃষকেরা তাঁর কাছে জানতে চান, কী সার ব্যবহার করেছেন। মামুনুর তাঁর তৈরি করা জৈব সারের কথা বলেন। স্থানীয় কৃষকেরাও তাঁর কাছ থেকে জৈব সার নিয়ে ফসলি জমিতে ব্যবহার করেন। মামুনুরের তৈরি সারে আস্থা পেয়ে স্থানীয় কৃষকেরা এর নাম দেন ‘ম্যাজিক’ সার।
২০১৪ সালে চাহিদা বেড়ে গেলে মামুনুর জৈব সারের উৎপাদন বৃদ্ধি করেন। ৬টি থেকে ৪০টি সিমেন্টের রিং স্থাপন করা হয় এবং ২০টি হাউস নির্মাণ করা হয়। প্রতি মাসে পাঁচ–ছয় টন সার উৎপাদিত হয়। প্রতি কেজি জৈব সার বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। শ্রমিক দুজন এবং গোবর ব্যবহারের খরচ মাসে ৫০ হাজার টাকা, বাকি টাকা তাঁর লাভ।
নিজের বাড়ির সামনে মামুনুর রশিদ। সম্প্রতি তোলা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর র ব যবহ র উৎপ দ
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।