2025-10-16@15:39:31 GMT
إجمالي نتائج البحث: 6
«ন জ র নফস র»:
ইসলাম মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক সম্পর্কের একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করে। এই সম্পর্কের মূলে রয়েছে মুসলিমদের একে অপরের প্রতি দায়িত্ব ও অধিকার। এ বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে রাসুল (সা.)-এর একটি বাণীতে, যেখানেতিনি বলেছেন, ‘মুসলিম সেই, যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমরা নিরাপদ থাকে। আর মুহাজির সেই, যে আল্লাহ যা নিষেধ করেছেন, তা পরিত্যাগ করে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১০)হাদিসের তাৎপর্য ও ব্যাখ্যা এই হাদিসে রাসুল (সা.) মুসলিম, মুমিন, মুজাহিদ ও মুহাজিরের সংজ্ঞা দিয়েছেন। এটি কেবল পরিচয়ের সংজ্ঞা নয়; বরং ইমানের পূর্ণতা ও উত্তম চরিত্রের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে। হাদিসের প্রথম অংশে বলা হয়েছে, ‘মুসলিম সেই, যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমরা নিরাপদ থাকে।’এর অর্থ, একজন প্রকৃত মুসলিম তার কথা ও কাজের মাধ্যমে অন্য মুসলিমদের কোনো ক্ষতি করেন না। এটি ইসলামের পূর্ণতার...
আমরা এমন এক যুগে বাস করছি যেখানে সবকিছুই দ্রুতগতির। নতুন ফোন, ফ্যাশনেবল জুতা বা ব্যাগ—ইচ্ছা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেতে চাই। ‘ইনস্ট্যান্ট গ্র্যাটিফিকেশন’ বা তাৎক্ষণিক তৃপ্তির এই সংস্কৃতি আমাদের সমাজে গভীরভাবে প্রোথিত। অ্যামাজন প্রাইমের এক ক্লিকে পণ্য বাড়িতে চলে আসে, নাইকির স্লোগান ‘জাস্ট ডু ইট’ নিয়ত তাড়া দিতে থাকে। তাড়াহুড়োয় ভুলে যাই ধৈর্য ও সংযমের গুরুত্ব। অথচ মুসলিম হিসেবে এই দুটি গুণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।নফস শব্দটির আক্ষরিক অর্থ ‘আত্মা’ বা ‘সত্তা’। একে ‘প্রবৃত্তি’ও বলা যায়। নফস আমাদের মন্দ কাজের দিকে প্ররোচিত করে। কোরআনে নবী ইউসুফের (আ.) বক্তব্য রয়েছে, ‘আমি আমার নফসকে পবিত্র মনে করি না, নিশ্চয়ই নাফস মন্দ কাজ প্রবণ।’ (সুরা ইউসুফ, আয়াত: ৫৩)নফসকে তার ইচ্ছানুযায়ী চলতে দেওয়া বিপজ্জনক, কারণ এটি তাকে আরও শক্তিশালী করে এবং আমাদের সংযমের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ইসলামে নফসকে নিয়ন্ত্রণ করার শিক্ষা রয়েছে।...
আমরা প্রায়ই নিজেদের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে উঠি। নেতিবাচক চিন্তা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই ‘তুমি অবশ্যই সফল হবে’, এমন উক্তি আমাদের মধ্যে উৎসাহ জাগায়। কিন্তু এই বিশ্বাস আমাদের সীমাবদ্ধ করে ফেলতে পারে।‘আমি মহান কিছুর জন্য নির্ধারিত’, এই চিন্তা আমাদের মধ্যে অহংকার জাগিয়ে তুলতে পারে, যা আমাদের জীবনের বরকত নষ্ট করে।অহংকারের ক্ষতিআমাদের সম্ভাবনা কী? সাফল্যের রূপ কেমন? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর না থাকায় আমরা নিজেরাই সাফল্যের সংজ্ঞা তৈরি করি। আমি ভাবি, আমি একটি বড় কোম্পানির সিইও হতে পারি এবং এটি না হওয়া পর্যন্ত আমি থামব না। অথবা আমার কোনো বন্ধু, যাকে আমি নিজের চেয়ে কম প্রতিভাবান মনে করি, একটি বিশাল ব্যবসা শুরু করেছে। তাই আমি ভাবি, আমি তার চেয়ে ভালো করতে পারি।অহংকার আত্মবিশ্বাস নয়, অহংকার একটি অস্বাস্থ্যকর বিশ্বাস,...
আমরা যাকে প্রবৃত্তি বলি, আরবিতে তাকে বলে নফস। নফস শব্দের মূল অর্থ আত্ম বা অহং। তবে মানুষের কামনা, বাসনা, চাহিদা ইত্যাদিকে সাধারণত নফস বা প্রবৃত্তি বলা হয়। অর্থাৎ, নফস হলো মানুষের ইন্দ্রিয়জ বাসনার নাম। প্রবৃত্তির প্রকারভেদঅবস্থানের দিক দিয়ে নফস বা প্রবৃত্তি তিন প্রকার। ১. নফসে আম্মারাহ ২. নফসে লাওয়্যামাহ ও ৩. নফসে মুত্বমায়িন্নাহ।নফসে আম্মারাহ (প্রতারক প্রবৃত্তি): যে নফস মানুষকে জৈবিক কামনার দিকে আকৃষ্ট করে, সব সময় মন্দ চিন্তা-ভাবনা পোষণ করিয়ে রাখে, মন্দ কাজে উৎসাহিত করে, পাপের কাজের নির্দেশ দেয়, সেটি নফসে আম্মারা। কোরআনে আছে, ইউসুফ (আ.) বলেছেন, ‘আমি নিজেকে নির্দোষ মনে করি না, মানুষের মন তো মন্দকর্মপ্রবণ।’ (সুরা ইউসুফ, আয়াত: ৫৩)আরও পড়ুনঅতিথিপরায়ণ সাহাবি উম্মু শুরাইক (রা.)০১ এপ্রিল ২০২৫নফসে লাওয়্যামাহ (অনুশোচনাকারী প্রবৃত্তি): যে নফস, অন্যায় বা গুনাহ করার পর হৃদয়ে অনুশোচনার উদ্রেক...
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র রমজান। নাজাত মানে মুক্তি। রমজানের নাজাতের অর্থ হলো, এই মাসে মানুষ পাপ-তাপ থেকে মুক্ত হবে, পাপের আকর্ষণ থেকে মুক্ত হবে, জাহান্নাম থেকে মুক্ত হবে। মানুষের সফলতার পথে তিনটি প্রধান বাধাস্বরূপ অপশক্তি রয়েছে—জিন শয়তান, মানুষ শয়তান ও নফস শয়তান। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি বলো “আমি আশ্রয় গ্রহণ করি মানুষের প্রতিপালক, মানুষের মালিক, মানুষের মাবুদ (আল্লাহ) এর নিকট, প্ররোচনাদাতা খন্নাস (শয়তান) এর অনিষ্ট থেকে; যে মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়। সে জিন হতে এবং মনুষ্য হতে।”’ (সুরা নাস, আয়াত: ১-৬)‘আর অবশ্যই আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং আমি জানি তাকে তার নফস যে বিষয়ে প্ররোচনা দেয়।’ (সুরা কাফ, আয়াত: ১৬) ‘নিশ্চয়ই নফস মন্দের প্রতি নির্দেশ করে।’ (সুরা ইউসুফ, আয়াত: ৫৩)রমজানে জিন শয়তান বন্দী থাকলেও মানুষ শয়তান ও নফস শয়তান সক্রিয়...
তাকওয়া অর্থ আল্লাহভীতি, আত্মসংযম ও সৎপথ অনুসরণ করা। ইসলামি পরিভাষায় তাকওয়া হলো আল্লাহকে ভয় করে তাঁর আদেশ মেনে চলা এবং তাঁর নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাকা। এটি একজন মানুষের অন্তরের একটি অবস্থা, যা তাকে ন্যায়পরায়ণতা, সংযম ও ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে।‘তাকওয়া’ শব্দের মূল অর্থের মধ্যে সতর্কতা, সাবধানতা ও আত্মরক্ষাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি মূলত ‘ওয়াক্বা’ ধাতু থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ ‘রক্ষা করা’ বা ‘বাঁচানো’। তাই তাকওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আল্লাহর শাস্তি থেকে আত্মরক্ষা করা এবং গুনাহ থেকে সাবধান থাকা।কলব বা অন্তরের রোজা হলো তাকওয়া। পবিত্র রমজানে রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় রোজাদার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সব ধরনের বৈধ পানাহার ও যৌনসম্ভোগ থেকে বিরত থাকেন। নির্জন নিরালায়, দরজা–জানালা বন্ধ ঘরে, গোপন স্থানে ও পানাহার তথা রোজার বিপরীত কোনো কাজ করেন...