বন্দরে মহাসড়কে চলন্ত সিএনজিতে ছুরিকাঘাতের ভিডিও ভাইরাল (ভিডিও)
Published: 24th, October 2025 GMT
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের বন্দরে চলন্ত একটি সিএনজিতে ছুরিকাঘাতের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজারগামী যাত্রী নাজির উদ্দিন শাহ নামের এক ব্যক্তি নিজের ফেসবুক আইডিতে ভিডিওটি পোস্ট করেন। ক্যাপশনে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনাটি ঘটেছে রাত ১২টা ২০ মিনিটে, মদনপুর এলাকায়। ভিডিওটি পোস্ট করার পরপরই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, চলন্ত একটি সিএনজির পেছনে এক যুবক ঝুলছেন। এ সময় সিএনজির ডান পাশের দরজা খুলে ভেতরে থাকা একজন তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করছেন। কিছুক্ষণ পর বাম পাশের দরজা খুলে আরেকজন একইভাবে ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করেন।
এ সময় সিএনজির পেছনে ঝুলে থাকা যুবক দিক পরিবর্তন করে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন। ঘটনাটি ছিনতাই নাকি অন্য কিছু এ নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, ভিডিওটি আমরা দেখেছি। ঘটনাস্থল শনাক্ত ও সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
ভিডিও ধারণের পর নাজির উদ্দিন মদনপুর অতিক্রম করলে আর সিএনজিটিকে দেখতে পাননি। আমরা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছি।
বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত হোসেন বলেন, ভিডিও দেখে সঠিক স্থান নির্ধারণ কিছুটা কঠিন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনাটি মদনপুর থেকে লাঙ্গলবন্দের মাঝামাঝি কোথাও ঘটেছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সিএনজির ভেতরে ও বাইরে থাকা দুই ব্যক্তির হাতেই ছুরি ছিল। তারা ছিনতাইকারী, নাকি নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ছ নত ই স এনজ র মদনপ র ঘটন ট
এছাড়াও পড়ুন:
অর্থ আত্মসাতের মামলায় হামেশা ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার
অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ‘হামেশা ফুড লিমিটেডের’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে রাজধানীর গুলশান থেকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট তাঁকে গ্রেপ্তার করে সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
রাশেদুল হাসান খান বলেন, সোনারগাঁয়ের বারদী এলাকায় ‘হামেশা ফুড লিমিটেড’ নামে আসাদুলের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে। ব্যবসার নাম করে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার অর্থঋণ আদালতে করা তিনটি মামলায় তিনি বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় আজ ভোরে গুলশান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসাদুল ইসলাম সোনারগাঁয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চর কামালদী এলাকার বাসিন্দা। বিগত সরকারের সময় আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে তিনি এলাকায় প্রভাব বিস্তারের পাশাপাশি ব্যবসার নামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সময় পাওনাদারদের টাকা ফেরত না দিয়ে মারধর ও হুমকি দিয়েছেন। এসব ঘটনায় সোনারগাঁ থানাসহ বিভিন্ন স্থানে তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত তিনটি মামলা ও একাধিক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রয়েছে।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকার ‘তানভীর ফ্লাওয়ার অ্যান্ড ডাল মিলসের’ কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হোসাইন সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এতে বলা হয়, হামেশা ফুডের সঙ্গে তানভীর ফ্লাওয়ারের ব্যবসা ছিল। তানভীর ফ্লাওয়ার মিলের অন্তত ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার মালামাল আত্মসাৎ করেছেন আসাদুল। সেই টাকা ফেরত চাইতে গেলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা মাহমুদ হোসাইনকে মারধর ও হুমকি দেন তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান খান বলেন, ‘আসাদুল খুবই চতুর। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে করা অন্যান্য অভিযোগের বিষয়েও তদন্ত শুরু করেছি।’