নির্বাচন সফল করতে কার্যকর পুলিশ এখনই লাগবে
Published: 23rd, October 2025 GMT
প্রথম আলোয় আইজিপি বাহারুল আলমের একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার ছাপা হয়েছে (২০ অক্টোবর ২০২৫)। তার আগের দিন টেলিভিশনে দেখেছিলাম, উনি বলছেন, ‘সরকারের বা প্রশাসনের প্রভাবমুক্ত পুলিশ প্রশাসন চলতে দিন।’
সাক্ষাৎকারটি খুব যে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত, তা মনে হলো না। দেশের এই বিশেষ সংকটের সময় একজন চৌকস ও বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে যে আস্থা-বিশ্বাস রেখে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেটা বোধ হয় উনি যথাযথভাবে পালন করতে পারেননি।
না, তাঁর দোষের কথা বলছি না। তাঁর যোগ্যতার অভাব বলছি না। সবকিছু মিলিয়ে একটা প্রত্যাশা তাঁর ওপর বোধ হয় করা হয়েছিল যে অভ্যুত্থান–পরবর্তী পুলিশ বাহিনীকে তিনি পুনর্গঠন করতে পারবেন। সেটা উপ্ত কিংবা অনুপ্ত, যা–ই হোক। এত বড় একটা গণ-অভ্যুত্থানের পরে যখন পুলিশ-প্রশাসন সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে, সেই পুলিশ-প্রশাসনকে আবার নতুন করে, বর্তমান সময়ের উপযোগী করে ফ্যাসিবাদ থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে গড়ে তোলার কাজটি তিনি করতে পারেননি।
আরও পড়ুনপুলিশ কি ক্ষমতাসীনদের লাঠিয়াল হয়েই থাকবে২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫আমি মানি, এটি খুব সহজ কাজ নয়। মানি, এটি প্রধানত সরকারের কাজ। এ–ও মানি, সরকার যদি বিশেষভাবে উদ্যোগী না হয়, তাহলে পুলিশের কোনো আইজিপি বা কর্মকর্তা নিজে নিজে এগুলো করতে পারবেন না। কিন্তু তারপরও যে প্রশাসন বা সরকার আছে, আমি যে ধারণার কথা বললাম, তার বিপরীতে তো নয় তারা। এটা করার মতো অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই তাদের নেই। কিন্তু আইজিপি বাহারুল আলম বা অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার তো তা থাকতে পারে।
এই যে নির্বাচন আসছে, সেটি একটি গুণমানসম্পন্ন, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, যেকোনো ধরনের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত করে সম্পাদনের জন্য যে পুলিশ বাহিনী দরকার, সেটা গড়ে তুলতে তাঁদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন। কিন্তু সে রকম কিছু আমরা দেখলাম না। পুলিশ আগের মতোই আছে; কিংবা আরও নিষ্ক্রিয় হয়েছে।
আমরা ফ্যাসিবাদ থেকে গণতন্ত্রে পা দিতে চাইছি। সেই গণতান্ত্রিক দেশের উপযোগী একটি পুলিশ বাহিনী করা দরকার। এখন কি সে রকম হবে? সে সময় কি আমাদের হাতে আছে? পুলিশের কি কোনো সংস্কার হয়েছে? আমরা জানি না। সাধারণভাবে মানুষ যা দেখছে, তাতে পুলিশের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। এ কথা আইজিপি বাহারুল আলম নিজেও স্বীকার করেছেন।গত বছরের আন্দোলনের সময় অনেক বড় ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অনেক বাড়াবাড়ি করেছে। প্রায় মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। নির্বিচার গুলি চালিয়ে হাজারখানেক লোক হত্যা করেছে। তার ফলে জনগণের ক্রোধ পুলিশের ওপর আছড়ে পড়েছে।
পুলিশের মধ্যে একটা ট্রমা তৈরি হয়েছে। তারা ডিউটি করতে ভয় পাচ্ছে। কিন্তু এ অবস্থা তো অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে না। তার ওপর তিন থেকে সাড়ে তিন মাস পর নির্বাচন। পুলিশ তো আমাদের লাগবে।
আমরা একটি পুলিশ বাহিনী তো আমদানি করতে পারব না, রাতারাতি গজিয়েও ফেলতে পারব না। যা আছে, তা দিয়েই আমাদের সামনে যেতে হবে। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, যারা গুপ্তহত্যার মতো, ক্রসফায়ারের মতো ঘটনায় যুক্ত ছিল, মানবিক অপরাধ করেছে, তাদের বিচার হবে; বাকি সবাইকে সরকার আশ্বস্ত করবে যে তোমরা তোমাদের ডিউটি করতে পারবে, নির্ভয়ে। তোমাদের সিকিউরিটির দায়িত্ব আমাদের।
আরও পড়ুনপুলিশকে কেন আমরা চায়নিজ রাইফেল দিলাম৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪সে রকম করে কেউ কোনো বক্তব্য দেয়নি। সে রকম কিছু হয়েছে, তা–ও দেখিনি। অথচ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো পুলিশ বাহিনীর পুনর্গঠন। বর্তমান সময় বলতে আমি ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে যে সময়, তার কথা বলছি না। বরং গত বছর আমরা যখন অভ্যুত্থানে বিজয়ী হয়েছিলাম, তার পর থেকেই এই দায়িত্বটা ছিল। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা দু-একবার বলেছেন। তাঁর অগ্রাধিকার হচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ সংস্কারের ব্যাপারে আমরা বেশ কিছু কথাবার্তা শুনেছিলাম। আইজিপি বাহারুল আলম এখানে উল্লেখ করেছেন, তা প্রায় এক দশক হয়ে গেছে এবং কমিশনের একটা প্রতিবেদনও সম্ভবত প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু এবার যে সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম চলল, পরে এটাকে ঐকমত্য কমিশন বলা হলো, সেখানে পুলিশ সংস্কারের বিষয় আলোচনায় আসেনি।
চব্বিশের জুলাই–আগস্টে ছাত্র জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় পুলিশ। এর ফলে পুলিশের ওপর জনতার ক্রোধ আছড়ে পড়ে।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব হ র ল আলম প রব ন আম দ র হয় ছ ল সরক র আইজ প র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
একটি চিকেন রোল কেনা কীভাবে ইবাদত হতে পারে
দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট কাজগুলো কি শুধুই যান্ত্রিক অভ্যাস, নাকি এর মাধ্যমেও স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব? ইসলামে একটি গভীর নীতি রয়েছে, যা সাধারণ জাগতিক কাজকেও পুণ্যের পথে রূপান্তরিত করতে পারে—আর তা হল ‘নিয়ত’ বা অভিপ্রায়।
অধিকাংশ মানুষ জীবন যাপন করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে, তাদের কাজের পেছনের উদ্দেশ্য নিয়ে ভাবে না বললেই চলে। কিন্তু একজন বিশ্বাসী হিসেবে আমরা প্রতিটি কর্মকে বরকতপূর্ণ এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম হিসেবে দেখতে পারি।
প্রতিটি কাজের আগে একটু থামুন এবং নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, ‘এই কাজের মাধ্যমে আমি কীভাবে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি?’মুহাম্মাদ ফারিস, প্রডাক্টিভ মুসলিমের প্রতিষ্ঠাতাপ্রখ্যাত লেখক ও প্রডাক্টিভ মুসলিমের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মাদ ফারিস তাঁর বারাকাহ ইফেক্ট কোর্সের শিক্ষার্থীদের একটি সহজ অনুশীলনের কথা বলেছেন, “প্রতিটি কাজের আগে একটু থামুন এবং নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, ‘এই কাজের মাধ্যমে আমি কীভাবে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি?’”
এক ভাইয়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি দেখান, এই অনুশীলন প্রথমে বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হতে পারে। যেমন, যখন স্ত্রীকে খুশি করতে বা সন্তানের আবদার মেটাতে চিকেন রোল কিনতে যাওয়া হয়, তখন এই কাজকে ‘ইবাদত’ ভাবা বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে। কিন্তু এই সাধারণ কাজটিকেই আধ্যাত্মিক উচ্চতায় উন্নীত করার একটি কাঠামো রয়েছে, যাকে বলা হয় ‘নিয়তের স্তরভেদ’।
আরও পড়ুনজীবিকার জন্য পরিশ্রম করা ইবাদত১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫নিয়তের স্তরভেদ: জাগতিক উদ্দেশ্যমুহাম্মাদ ফারিস তাঁর বারাকাহ ইফেক্ট গ্রন্থে যে নিয়তের স্তরভেদের কাঠামোটি আলোচনা করেছেন, তা অনুসরণ করে আমরা একটি চিকেন রোল কেনার কাজটিকে কীভাবে ধাপে ধাপে ইবাদতে পরিণত করতে পারি, তা দেখা যাক।
স্তর ১: ‘আমার কী লাভ?’
এই স্তরে কাজটি করার উদ্দেশ্য থাকে পুরোপুরি ব্যক্তিগত সুবিধা বা স্বার্থ।
উদ্দেশ্য: আমি চিকেন রোলটি কিনে আনছি, যেন আমার স্ত্রী/মেয়ে খুশি থাকে (এবং আমাকে বিরক্ত না করে, বা বাড়িতে শান্তি বজায় থাকে)।
বিশ্লেষণ: এটি আত্মকেন্দ্রিক চিন্তা। এখানে মূল উদ্দেশ্য কাজ শেষ করা বা ঝামেলা এড়ানো। এই ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে ৯০% মানুষই তাদের জীবন যাপন করে।
জাগতিক উদ্দেশ্য অতিক্রম করে যখন আমরা পরকালের দৃষ্টিকোণ যোগ করি, তখনই কাজটি ইবাদতে রূপান্তরিত হয়।স্তর ২: ‘মানুষ আমাকে কী ভাববে’
এই স্তরের উদ্দেশ্য হলো সামাজিক সম্মান বা খ্যাতি রক্ষা করা।
উদ্দেশ্য: আমি চিকেন রোলটি কিনে আনছি, যেন আমার স্ত্রী/মেয়ে আমাকে একজন ভালো স্বামী/বাবা মনে করে।
বিশ্লেষণ: এটি এক ধরনের ‘খ্যাতি ব্যবস্থাপনা’ (Reputation Management)। এখানে কাজটি করা হয় নিজের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নয়।
স্তর ৩: ‘এই কাজটি করতে আমার কেমন লাগবে’
এই স্তরের উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিগত সন্তুষ্টি বা মনস্তাত্ত্বিক প্রেরণা। এটিকে সাধারণত অভ্যন্তরীণ প্রেরণা (Intrinsic Motivation) বলা হয়।
উদ্দেশ্য: আমি চিকেন রোলটি কিনে আনছি, কারণ পরিবারের জন্য জোগান দেওয়াটা আমার কাছে ভালো লাগে। আমি একজন ভালো বাবা/জোগানদাতা হতে চাই, তারা এর প্রশংসা করল কি না—তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
বিশ্লেষণ: বেশিরভাগ ব্যক্তিগত উন্নয়ন গুরুরা এই স্তরে এসেই থেমে যান। তারা এটিকে সর্বোচ্চ পর্যায় বলে মনে করেন।
আরও পড়ুনসুন্দর আচরণ ও উত্তম ব্যবহার ইবাদত০৮ আগস্ট ২০২৫আধ্যাত্মিক স্তর: পরকালের বিনিয়োগএকজন বিশ্বাসী হিসেবে, আমরা বরকত (ঐশী কল্যাণ) এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির সন্ধান করি। তাই জাগতিক উদ্দেশ্য অতিক্রম করে যখন আমরা পরকালের দৃষ্টিকোণ যোগ করি, তখনই কাজটি ইবাদতে রূপান্তরিত হয়।
স্তর ৪: সুন্নাহর অনুসরণ
এই স্তরে চিকেন রোল কেনা আর কেবল খাবার সংগ্রহ থাকে না, বরং এটি একটি সদকা (দান) এবং উত্তম আদর্শের অনুসরণে পরিণত হয়।
পরিবারের সাথে উত্তম আচরণ: মহানবী (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন, “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই শ্রেষ্ঠ, যে তার পরিবারের কাছে শ্রেষ্ঠ।” (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস: ৪১৭৭; সুনান তিরমিজি, হাদিস: ৩৮৯৫)
এই হাদিসের আলোকে, স্ত্রীর অনুরোধ রাখা ও সন্তানের আবদার পূরণের মাধ্যমে আপনি শ্রেষ্ঠ মানুষের কাতারে শামিল হওয়ার নিয়তে কাজটি করতে পারেন।
তুমি যা-ই খরচ করো না কেন, এর প্রতিদান দেওয়া হবে—এমনকি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দেওয়া খাবারের লোকমাটির জন্যও।সহিহ বুখারি, হাদিস: ১২৯৬সদকা হিসেবে গণ্য হওয়া: অন্য একটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, “তুমি যা-ই খরচ করো না কেন, এর প্রতিদান দেওয়া হবে—এমনকি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দেওয়া খাবারের লোকমাটির জন্যও।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১২৯৬)
এই হাদিসের ব্যাপকতা অনুসারে, পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়া, তা চিকেন রোলই হোক না কেন—তা সদকা হিসেবে পরিগণিত হয়। (মুহাম্মাদ ফারিস, দ্য বারাকাহ ইফেক্ট, পৃষ্ঠা: ৮০, গার্ডেন অফ জান্নাহ পাবলিশিং, লন্ডন, ২০২৪)
এভাবে একটি সাধারণ কাজকে আপনি পরকালের জন্য বিনিয়োগে পরিণত করতে পারেন।
স্তর ৫: আল্লাহর সন্তুষ্টি ও কৃতজ্ঞতা
এই স্তরটি সর্বোচ্চ। এখানে কাজটি করা হয় জাগতিক কোনো উপকার বা পরকালের পুরস্কারের লোভ ছাড়াই—শুধুমাত্র আল্লাহর ভালোবাসায় ও তাঁর নির্দেশ পালনের নিয়তে।
রিজিকদাতার প্রতিনিধি: আপনি আল্লাহকে আল-রাযযাক (রিজিকদাতা) হিসেবে স্বীকার করেন এবং নিজেকে তাঁর দেওয়া রিজিক আপনার সন্তানের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে দেখেন। এটি একটি পরম সৌভাগ্যের কাজ।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ: আপনি এই ছোট্ট কাজটির মাধ্যমে প্রাপ্ত অসংখ্য নেয়ামতের (শান্তি, দারিদ্র্যের ভয় থেকে মুক্তি, খাদ্যের সহজলভ্যতা, যুদ্ধ না থাকা) জন্য আল্লাহর প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এই কৃতজ্ঞতা নিজেই একটি ইবাদতে পরিণত হয়। (আল-গাজ্জালি, ইহইয়া উলুম আল-দীন, ৪/৭৬, দারুল মা'রিফা, বৈরুত, ২০০৫)
আপনি যখন উচ্চ স্তরের নিয়ত করেন, তখন একটি তুচ্ছ কেনাকাটাও বরকতপূর্ণ অভিজ্ঞতায় রূপান্তরিত হয়, যা আপনাকে আপনার সৃষ্টিকর্তার সাথে সংযুক্ত করে এবং আপনার আধ্যাত্মিক অবস্থাকে উন্নত করে।
অভ্যাসকে ইবাদতে রূপান্তরপ্রথমদিকে হয়তো মনে হবে, এত কিছু ভাবাটা একটু বেশিই হয়ে যায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এটি বছরের পর বছর ধরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে থাকা জাগতিক অভ্যাসকে পুনরায় তারে সংযুক্ত করার একটি প্রক্রিয়া। এই অভ্যাস আসলে এমন একটি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াই, যা সাধারণ জাগতিক কাজগুলো থেকে আধ্যাত্মিক দিকটিকে মুছে ফেলেছে।
প্রতিটি কাজের আগে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য নিজের নিয়তকে যাচাই করা একজন মুমিনের জীবনকে আমূল পরিবর্তন করতে পারে। আপনি যখন নিজের নিয়তকে শুধু স্ত্রী বা সন্তানের খুশি থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টির দিকে উন্নীত করবেন, তখন প্রতিটি পদক্ষেপই হবে পুণ্যের পথে যাত্রা।
আরও পড়ুননিজের যত্নও একটি ইবাদত১১ আগস্ট ২০২৫