নোয়াখালীতে জামায়াতের প্রার্থীর জনসংযোগে যুবদল–ছাত্রদলের হামলার অভিযোগ
Published: 13th, November 2025 GMT
নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. সাইফুল্লাহর নির্বাচনী জনসংযোগে যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মীদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে জামায়াতের ইউনিয়ন পর্যায়ের এক নেতাসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দলটি।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের ইটপুকুরিয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে মো.
হামলায় রামনারায়ণপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি আবদুল মান্নান ও ছাত্রশিবিরের কর্মী মো. নাহিদসহ পাঁচ–ছয়জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আবদুল মান্নান ও নাহিদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা এ সময় জনসংযোগে থাকা সাংবাদিকদের কাছ থেকেও মুঠোফোন ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে জনসংযোগ করছিলাম। খিলপাড়া এলাকায় পৌঁছালে যুবদল ও ছাত্রদলের একদল নেতা–কর্মী ধানের শীষের স্লোগান দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ছয়জন নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে খিলপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমির হোসেন খোকন প্রথম আলোকে বলেন, জামায়াতের নেতারা জনসংযোগকালে বিএনপির বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। তখন উপস্থিত ছাত্রদল ও যুবদলের কর্মীরা প্রতিবাদ জানালে দুপক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। তবে এতে কেউ আহত হয়েছে কি না তা তিনি জানেন না।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় কেউ এখনো থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র জনস য গ য বদল
এছাড়াও পড়ুন:
নগরকান্দায় ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম, মামলার চার দিনেও গ্রেপ্তার নেই
ফরিদপুরের নগরকান্দায় পূর্বশত্রুতার জেরে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। এক সপ্তাহ আগের এ ঘটনায় ৯ নভেম্বর ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম মো. রেজাউল হক মোল্লা (৫৬)। তিনি নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের দুলালী গ্রামের বাসিন্দা। ৬ নভেম্বর উপজেলার ঘোনাপাড়া কালীখোলায় এলাকায় তাঁর ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে সাতজনের বিরুদ্ধে ৯ নভেম্বর থানায় মামলা করেন তিনি।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৬ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে উপজেলার লস্করদিয়া এলাকায় সভা করে মাইক্রোবাসে তিনি বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। বেলা তিনটার দিকে তিনি নগরকান্দার ঘোনাপাড়া কালীখোলা এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা পূর্বশত্রুতার জেরে লাঠিসোঁটা, কাঠের বাটাম, চাকু, রামদা, চায়নিজ কুড়াল, হাতুড়িসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে মাইক্রোবাসের গতিরোধ করেন। তাঁরা তাঁকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করেন। এ সময় হামলাকারীরা তাঁর কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেন এবং মাইক্রোবাসের কাচ ভাঙচুর করেন।
ভুক্তভোগী রেজাউলের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার বলেন, এলাকাবাসীর সহায়তায় তাঁর বাবাকে উদ্ধার করে প্রথমে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল বুধবার তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর মোহাম্মদ আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলানো হয়েছে। তবে পলাতক থাকায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।