বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে দুই ম্যাচেই জিতেছে ফরচুন বরিশাল। পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে উঠেছে তামিম ইকবালের দল। রোববার স্বাগতিক দল চট্টগ্রাম কিংসকে হারিয়েছে বরিশাল। মাঠে চট্টগ্রামের চেয়েও যেন বেশি দর্শক ছিল বরিশালের। এমনকি বিপিএলের ঢাকা এবং সিলেট পর্বেও নিজেদের অনেক দর্শক পেয়েছে গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা। 

বিষয়টি নিয়ে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ফরচুন বরিশালের ডানহাতি পেসার রিপন মন্ডল জানান, তাদের দলে অনেক তারকা ক্রিকেটার আছেন। যাদের খেলা দেখে অনেকে বড় হয়েছেন। যে কারণে তাদের খেলা দেখতে ও সমর্থন দিতে মাঠে আসছেন দর্শকরা। 

বল হাতে তিন উইকেট নেওয়া রিপন মন্ডল বলেন, ‘চাপ অনুভব হয়নি। সাধারণত হোম টিম সুবিধা পায়, নিজেদের দর্শক থাকে। তবে আমাদেরও অনেক দর্শকও ছিল। আমার তো মনে হয় আমাদের দর্শক বেশি ছিল।’ 

বরিশালের দর্শক বেশি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ডানহাতি এই তরুণ পেসার বলেন, ‘আমাদের দলে অনেক তারকা ক্রিকেটার আছেন। যাদের খেলা দেখে অনেকে বড় হয়েছে। তামিম ভাই, মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই খেলছেন। আমার মনে হয় তাদের জন্য আমাদের এতো দর্শক।’ 

বিপিএলের ঢাকা ও সিলেট পর্বে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয় বরিশালের টপ অর্ডার ইংলিশ ব্যাটার ডেভিড মালানকে। সুযোগ পেয়েই ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি করা মালান সম্পর্কে রিপন জানান, মালানকে দল থেকে পরিষ্কার বার্তা দেওয়া হয়েছিল, ‘মালান টি-২০’র এক নম্বর ব্যাটার ছিলেন। দলের সমন্বয়নের কারণে শুরুতে তিনি খেলেননি। তবে তাকে পরিষ্কার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। উনারা বড় খেলোয়াড়, জানেন কীভাবে পারফর্ম করতে হয়। সুযোগ পেলে সেরাটা দিতে কীভাবে দিতে হয়।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ত ম ম ইকব ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ