ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে কেরানীগঞ্জের আগানগর ও কালীগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, আজ সন্ধ্যার পর থেকে শতাধিক ব্যক্তি আগানগর এলাকায় নিউ গুলশান সিনেমা হলের সামনে জড়ো হতো থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা ওই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে ভাঙচুর চালান। রাত আটটার দিকে কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় আগানগর ইউনিয়ন আওয়মাী লীগের সভাপতি মীর আসাদ হোসেন টিটুর বাড়ি, একই এলাকায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি মাহমুদ আলমের বাড়ি, আগানগর ছোট মসজিদপাড় এলাকায় আগানগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেমের মালিকানাধীন বি প্লাস শাড়ির শোরুম, আগানগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর শাহ খুশির বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া রাত সাড়ে আটটার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের কালীগঞ্জ এলাকায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

মুজিবুর রহমানের বাড়িতে থাকা গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের কালীগঞ্জ এলাকায়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এল ক য় আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ