মাস্ক পরে বাড়িঘরে হামলা, ভিডিও ভাইরাল
Published: 12th, February 2025 GMT
ময়মনসিংহ নগরীতে রাতে মাস্ক পরে বাড়িঘরে হামলা চালানো হচ্ছে। ভাঙা হচ্ছে মোটরসাইকেল। নগরের হরিকিশোর রায় সড়কের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বলা হচ্ছে, অন্তত ১৫টি বাড়িতে হামলা হয়েছে। তবে হামলার কারণ অজানা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, কতিপয় তরুণ মাস্ক পরে বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছে। একটি মোটরসাইকেলেও ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। এ ঘটনার সময় হরিকিশোর রায় সড়কে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
হরিকিশোর রায় আরজু মনি বলেন, ‘আমার দেবর টুটনের ছেলে উমর ফাহাদের বন্ধুদের বাগবিতণ্ডা হয় বাগানবাড়ির ছেলেদের সঙ্গে। এ নিয়ে আমাদের এলাকার অন্তত ১৫-২০টি বাড়িতে হামলা হয়েছে।’
মালতি ঘোষ জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে হামলা শুরু হয়। কমপক্ষে ৫০টি ছেলে হামলা চালায় বেশ কয়েকবার। তাদের বাসায় পুরুষ ছিল না।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এ হামলা কোনো রাজনৈতিক কারণে নয়। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটছে। হরিকিশোর রায় সড়কে দুটি পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। সে বিরোধপূর্ণ জমিতে বিয়ের অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল তৈরির বিষয় নিয়ে এ ধরণের হামলার ঘটনা ঘটেছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ তদন্ত করছে। দ্রুতই জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ময়মনস হ
এছাড়াও পড়ুন:
যে কারণে ইরানের তেল ও গ্যাস স্থাপনায় হামলা
ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তেল ও গ্যাস স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যের এ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে বৈরিতা চলছে। তবে এবারই প্রথম ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর পর দুই পক্ষ সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি হামলা তীব্র হতে থাকায় বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত শনিবার গভীর রাতে ইরানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েল একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ডিপোতে হামলা চালিয়েছে। একই সঙ্গে রাজধানী তেহরানে একটি তেল শোধনাগারেও আগুন ধরে যায়। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
বিশ্বের অন্যতম বড় গ্যাসক্ষেত্র ‘সাউথ পার্স’-এ ইসরায়েলের হামলায় আগুন লাগার পর ইরান আংশিকভাবে এ ক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। ইরান কাতারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করে থাকে।
ইসরায়েল নজিরবিহীনভাবে ইরানের জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানোয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম আরও বাড়তে পারে। দুই দেশই একে অন্যের ভূখণ্ডে আরও বড় ধরনের হামলার হুমকি দিচ্ছে।
ইরান বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস ও তৃতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল মজুতের অধিকারী– এই তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের (ইআইএ) দেওয়া। ফলে দেশটির জ্বালানি অবকাঠামো দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তু ছিল। তবে এতদিন ইসরায়েল ইরানের জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে হামলা এড়িয়ে চলছিল, বিশেষ করে তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের চাপ ছিল। কিন্তু এবার তা বদলে গেছে।
গত শনিবার রাতে তেহরানের উত্তর-পশ্চিমে শাররান জ্বালানি ডিপো ও শহরের দক্ষিণে শার-রে অঞ্চলে অবস্থিত দেশের অন্যতম বৃহৎ তেল শোধনাগারে বড় ধরনের আগুন লাগে। এ ছাড়া ইরানের দক্ষিণ বুশেহর প্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র সাউথ পার্স লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
হামলায় সাউথ পার্সের ‘ফেইজ ১৪’ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে আগুন লাগে। ফলে এখানে দৈনিক ১ দশমিক ২ কোটি ঘনমিটার গ্যাস উৎপাদনকারী একটি অফশোর প্ল্যাটফর্ম বন্ধ হয়ে গেছে।
ইসরায়েলের হামলার প্রথম দিনে তেল ও গ্যাস স্থাপনা বাদ পড়লেও বাজারে তেলের দাম প্রায় ৯ শতাংশ বেড়ে যায়। সোমবার বিশ্ববাজারে তেলের দামে আরও বড় উল্লম্ফন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্য ইনস্টিটিউটের গবেষক অ্যালান এয়ার বলেন, ইসরায়েল চায়, ইরানের ওপর হামলায় যুক্তরাষ্ট্রও জড়িয়ে পড়ুক। তাদের লক্ষ্য, ইরানের এই সরকারের পতন ঘটানো। ইরানের সামরিক প্রতিক্রিয়া ছাড়া উপায় নেই। কারণ, দেশের অভ্যন্তরে সম্মান রক্ষার বিষয় আছে। কিন্তু ইসরায়েলে বড় ধরনের ক্ষতি করার মতো ক্ষমতা ইরানের নেই। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানের বন্ধুর সংখ্যা কম। আর থাকলেও ইসরায়েল পরিষ্কারভাবে দেখিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক মতামতকে পাত্তা দেয় না– বলেন তিনি।