বাংলাদেশ–পাকিস্তান ম্যাচও বৃষ্টিতে ভেসে যাবে না তো
Published: 26th, February 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টসও হতে পারেনি। কাল ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। এই রাওয়ালপিন্ডিতেই আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। যেটি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ।
শুধু বাংলাদেশ নয়, স্বাগতিক পাকিস্তানেরও এটিই শেষ ম্যাচ। দুই দলের জন্যই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জয় পাওয়ার শেষ সুযোগ আগামীকাল। এই ম্যাচেও কি আছে বৃষ্টির সম্ভাবনা?
হ্যাঁ! এই ম্যাচেও বৃষ্টির ভালো সম্ভাবনা আছে। আগামীকাল রাওয়ালপিন্ডিতে বিকেলের দিকে বৃষ্টি হতে পারে। অ্যাকুওয়েদার অনুযায়ী, এই দিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ। বিবিসি ওয়েদার বলছে, স্থানীয় সময় বেলা দুইটায় ম্যাচ শুরুর সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬৪ শতাংশ, যা পরে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
আজ দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসা পেয়ে বনে ফিরল বন্য হাতি
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কাটাবাড়ি সীমান্তের পাহাড়ি জঙ্গলে তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিল একটি দলছুট ও অসুস্থ বন্য হাতি। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে হাতিটির সন্ধান মেলে। চিকিৎসা দেওয়ার পর দুপুরে হাতিটি বনে ফিরে যায়।
গাজীপুর বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বন্য প্রাণী বিভাগের একটি বিশেষজ্ঞ দল প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে অসুস্থ হাতিটিকে চিকিৎসা দেয়। হাতিটির সামনের ডান পায়ে ধারালো অস্ত্রের পুরোনো ক্ষত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ১০-১২ দিন আগে কেউ সেটিকে বল্লমজাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করে থাকতে পারেন। ক্ষতটি পরিষ্কার করে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয় এবং ব্যান্ডেজ করা হয়। পরে বিশেষ ইনজেকশন দিয়ে হাতিটিকে জাগিয়ে তোলা হয়। ২০-২৫ মিনিট পর হাতিটি ধীরে ধীরে জঙ্গলের ভেতরে হেঁটে চলে যায়।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, হাতিটির বয়স আনুমানিক ১০ থেকে ১২ বছর। এক সপ্তাহ ধরে দলছুট হয়ে জঙ্গলে একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছিল। গত মঙ্গলবার থেকে শেরপুর বন বিভাগ, মধুটিলা ইকোপার্ক রেঞ্জ ও স্থানীয় লোকজন হাতিটির খোঁজে জঙ্গলে অভিযান চালান। বুধবার বিকেলে সীমান্তবর্তী দাওধারা-কাটাবাড়ি এলাকার জঙ্গলে হাতিটির অবস্থান শনাক্ত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে হাতিটিকে জঙ্গলের পাশে একটি জলাশয়ের ধারে ঝিমোতে দেখা যায়। তখনই শুরু হয় তার চিকিৎসা।
বন্য হাতির চিকিৎসা অভিযানে আরও অংশ নেন গাজীপুর সাফারি পার্কের ল্যাব টেকনিশিয়ান আতিকুর রহমান ভূঁইয়া, ভেটেরিনারি সার্জন সাকিব হোসেন, সহকারী মোস্তফা কামাল, শেরপুর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. শাহিন কবির, বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মো. আবদুল্লাহ আল আমিন, মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. দেওয়ান আলী ও সমশ্চড়া বিট কর্মকর্তা মো. কাউসার হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাটাবাড়ি, বুরুঙ্গা ও কালাপানি এলাকায় এক সপ্তাহ ধরে ৩০-৩৫টি বন্য হাতির একটি দল পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। আহত হাতিটি দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ছিল।
প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শেরপুর কার্যালয় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. শাহিন কবির প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন আগে অসুস্থ হাতিটির খবর পান। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। গত মঙ্গলবার থেকে হাতিটির খোঁজ নিতে শুরু করেন। বুধবার বিকেলে সীমান্তবর্তী ধাওদারা-কাটাবাড়ি এলাকায় হাতিটির সন্ধান মেলে। বৃহস্পতিবার সকালে একটি জলাশয়ের কাছে হাতিটি দাঁড়িয়ে ঝিমাচ্ছিল। এ সময় চেতানাশক দিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে হাতিটি জঙ্গলে হেঁটে চলে গেছে। হাতিটি পর্যবেক্ষণ করতে বন বিভাগকে বলা হয়েছে।
মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. দেওয়ান আলী প্রথম আলোকে বলেন, হাতিটির সামনের ডান পায়ে বল্লম দিয়ে হয়তো ১০-১২ দিন আগে কেউ আঘাত করেছেন। হাতিটি অসুস্থ থাকায় দলছুট ছিল। খুঁডিয়ে খুঁডিয়ে জঙ্গলে একাই চলাফেরা করত। এখন থেকে হাতিটির ওপর নজরদারি থাকবে এবং প্রয়োজনে আবারও চিকিৎসা দেওয়া হবে।