শিক্ষার্থীকে পুলিশে দিল রাবি প্রশাসন
Published: 26th, February 2025 GMT
হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি-সংক্রান্ত ফেসবুক পোস্ট নিজের টাইমলাইনে শেয়ারের অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী সাগর হোসেনকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তাঁকে মতিহার থানা পুলিশে দেন। পরে সাগরের সিটও বাতিল করে হল প্রশাসন।
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর মাদার বখশ হলের আবাসিক ছাত্র। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘আমি শুধু ভিডিও দেখে শেয়ার দিয়েছি। ক্যাপশনের লেখা খেয়াল করিনি। বুঝলে কখনও এমন পোস্ট শেয়ার করতাম না। বুঝতে পেরেই পোস্টটি আমি ডিলিট করেছি।’
জানা যায়, আসাদ নূর নামে ব্লগার তাঁর ফেসবুকে রাসূল (সা.
প্রাধ্যক্ষ জানান, বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হওয়ার আগেই প্রক্টরিয়াল টিমের সহযোগিতায় তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। তাৎক্ষণিকভাবে সাগরের সিট বাতিল করা হয়।
প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মব এড়াতে অভিযুক্তকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। তদন্তে পুলিশ তাঁর সম্পৃক্ততা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। ভুলে এমন করে থাকলে শিক্ষার্থীর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
মতিহার থানার ডিউটি অফিসার আব্বাস আলী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মঙ্গলবার রাতে এক শিক্ষার্থীকে থানায় হস্তান্তর করে। মামলা হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন তারা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হলেন অধ্যাপক হযরত আলী
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এই পদে নিযুক্ত করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন উপাচার্য নিয়োগের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য ড. মো. হযরত আলীকে কুয়েটের উপাচার্য পদের রুটিন দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতা প্রাপ্য হবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।