Prothomalo:
2025-05-01@00:19:46 GMT

যেদিন আমি মারা যাব

Published: 9th, March 2025 GMT

ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল (রহ.) অত্যাচারিত হয়ে একবার বলেছিলেন, ‘আমাদের এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য প্রকাশ পাবে আমাদের জানাজায়।’ এখানে ‘তারা’ ছিলেন তার অত্যাচারীরা। তারা তার ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিল। ইমাম আহমাদ কথাটি বলেছিলেন এই ভেবে যে, অন্ধকার কারাগারেই তার মৃত্যু হবে এবং তারপর সত্য প্রকাশিত হলে বিপুল মানুষ তার জানাজায় আসবে, ফলে অত্যাচারী বিচারক আহমাদ ইবন আবি দুআদও শ্রদ্ধা নিবেদন করতে বাধ্য হবেন। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় ইমাম আহমাদ সেই যাত্রায় টিকে যান এবং অপরাধীর অপবাদ থেকে মুক্ত হন। জনগণের কাছে তিনি পুনরায় ব্যাপক সমাদর লাভ করেন। এবং সত্যি সত্যি তার যখন মৃত্যু হয়, আল্লাহ তাকে এমন সম্মানিত জানাজা দান করেন, যা আরব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম ও বৃহৎ জানাজা হিসেবে পরিচিত। বিপরীতে, সেই বিচারক আহমাদ ইবন আবি দুআদ এতটা ঘৃণার পাত্র হন যে, তার জানাজায় কেউ আসে নি।

হ্যাঁ, কখনো কখনো সত্যিকারের ধার্মিকদেরও নিঃসঙ্গ মৃত্যু হয় এবং মন্দ লোকেরা পায় রাজকীয় বিদায়। যেমন তৃতীয় খলিফা উসমান ইবন আফফান (রা.

)-এর জানাজা সম্পন্ন করতে হয় রাতের অন্ধকারে গোপনে, যেন উপস্থিত জনসমুদ্র হত্যাকারীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে পরিস্থিতি আরও জটিল করে না তোলে। হতে পারে ইমাম আহমাদের বেলায় আল্লাহ চেয়েছেন তাকে বিজয়ী দেখাতে, পৃথিবীতে তাকে অভাবনীয় সম্মান দিতে।

আরও পড়ুনযে কারণে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়া হয়০৫ মার্চ ২০২৫

জনৈক জ্ঞানী ব্যক্তি একবার আমাকে বলেছিলেন, ‘তোমার জানাজা সামনে রেখে জীবন গঠন করো এবং সেভাবেই পথ চলার সিদ্ধান্ত নাও।’

যখন জীবনের যেই মুহূর্ত অতিবাহিত করি, মনে রাখতে হবে, শেষ দিনটি কেমন হবে, তা যেন আমাদের ভাবনা থেকে ছুটে না যায়। আমাদের যাবতীয় কাজ, আচরণ, সিদ্ধান্ত একটু একটু করে সেই জানাজার দিকে পরিচালিত করছে-যে জানাজা হবে হয় চিরস্থায়ী মুছিবতের নয় সুখের প্রতীক। মৃত্যু অবধি এক মহা সফরে চলেছি আমরা; যে-জীবন বয়ে যাব, শেষ ক্ষণটির সজ্জা হবে সেভাবেই। তারপর, মৃত্যুর পর অপেক্ষা করছে আরেক জীবন।

অনেক ধর্মপ্রাণ আছেন, মৃত্যুর আগে তার সামাজিক অবদানের কথা লোকজন জানতে পারে না, অনুভবও করতে পারে না যে, তিনি কতটা মহৎ ছিলেন। যেমন, ইমাম জাইনুল আবিদিন আলী ইবনে হোসেইন (রহ.)-এর কথা বলা যায়। তিনি ছিলেন মহানবীর (সা.) নাতি হোসাইন (রা.)-এর ছেলে। তার মৃত্যু হলে দেখা যায় কাঁধে একটা প্রচণ্ড চাপের দাগ। উদ্‌ঘাটিত হয় যে, এটা ব্যাগের চিহ্ন, যা তিনি রাতে অভাবীদের দরজায় রেখে আসতেন। কেউ তার এ-অবদানের কথা জানত না। পরে জানা যায়, মদিনার বহু লোকের জীবিকা নির্বাহ হতো তার দানের অর্থ দিয়ে; যদিও তারা জানত না, সেই দানের উৎস কোথায়।

আরও পড়ুনমহানবী (সা.) এবং এক ইহুদি ছেলের গল্প০৫ মার্চ ২০২৫

ভাবুন তো, আপনার মৃত্যুর পর কতজন আপনাকে মিস করবে, কতজনের জীবন আপনি আনন্দে ভরিয়ে দিয়েছিলেন? সেই মানুষ কতজন, যারা পরিত্যক্ত অবস্থায় আপনার বরাভয় পেয়েছিল? কতজন বঞ্চিত আপনার সাহায্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল? কতজন অত্যাচরিতের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন আপনি? পরিবারের সদস্যরা কি আপনার না-থাকা টের পাবে শুধু খালি বিছানা দেখে, নাকি তাদের হৃদয়ে গভীর শূন্যতাও অনুভব করবে তারা? তারা কি শুধু আপনার খরচের অভাব অনুভব করবে, নাকি আপনার হাসিও মিস করবে? তারা আপনার সেবা ও ত্যাগের অভাব বোধ করবে?

ইমাম জাইনুল আবিদিন (র.) চাইতেন না যে, প্রাপকেরা তার কথা জানুক। কারণ তিনি জানতেন, দানের প্রকৃত উৎস আল্লাহ। তিনি পার্থিব কৃতজ্ঞতা চাননি, চেয়েছেন শুধু পরকালে। তিনি এ-জগতের ক্ষণকালীন প্রশংসা নয়, পর জগতের চিরন্তন পুরস্কার চেয়েছিলেন। বুঝতে পেরেছিলেন, যদি পৃথিবীর মোহে বিভ্রান্ত হন, তাহলে অস্থায়ী পৃথিবীর একটি অংশ হবেন মাত্র। তার চেয়ে চিরায়ত ভবিষ্যতের দিকে মনোযোগ দেওয়া ভালো। অস্থায়ী পৃথিবীর একটি অংশ হবেন মাত্র। তার চেয়ে চিরায়ত ভবিষ্যতের দিকে মনোযোগ দেওয়া ভালো। দোয়া করুন, ‘আল্লাহ, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় যেন শেষ সময় হয়, আমার সবচেয়ে ভালো কাজ যেন শেষ জীবনের কাজ, এবং সেরা দিন যেন হয় তোমার সঙ্গে সাক্ষাতের দিন (আল্লাহুম্মাজ‘আল খইরা যামানি আখিরহু, ওয়া খইরা আমালি খওয়াতিমাহু, ওয়া খাইরা আইয়্যামি ইয়াওমা আলক-কা)।

আরও পড়ুনমহানবী (সা.)-কে ভালোবাসার ৭টি নিদর্শন০৬ মার্চ ২০২৫

অনেক মানুষের মৃত্যুর পরে আমরা অযথা প্রশংসাবাক্যও শুনতে পাই। তিরমিজির এক বর্ণনায় নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘কেউ মারা গেলে যদি লোকজন তার সম্পর্কে প্রশংসার বৃষ্টি ঝরায় এবং বলে, ‘কী মহান ব্যক্তি ছিল, কী সম্মানিত ছিলেন তিনি’ তাহলে তার জন্য দুজন ফেরেশতা নিয়োজিত হন, যারা তাকে তীব্র আঘাত করতে করতে বলেন, এটা কি সত্যিই তুমি?’

মানুষের প্রশংসার অপেক্ষা করবেন না। বরং যদি আপনি জীবনভর আল্লাহর প্রশংসা খোঁজেন, তাহলে প্রতিশ্রুত আমলগুলো কবরে আকাশের জ্বলজ্বলে তারার মতো আপনার অপেক্ষা করবে। হতে পারে সেই আমলগুলোর কথা কেউ জানে না, অথবা কয়েক জন মাত্র জানে, শুধু আল্লাহ আর আপনিই জানেন সবটা।

আল্লাহ আমাদের সকলের জীবনের সুন্দর সমাপ্তি এবং সর্বোত্তম পরিণতি দান করুন।

সূত্র: মুসলিম ম্যাটার্স

অনুবাদ: মনযূরুল হক

আরও পড়ুনযেভাবে ইস্তিগফার করা যায়০৬ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আল ল হ জ বন র আম দ র আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

মিরাজে দুর্দান্ত জয় বাংলাদেশের

এমন পারফরম্যান্সই তো চাওয়ার থাকে ভালো দলের কাছে। মেহেদী হাসান মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্য, সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরি, তাইজুল ইসলামের ৯ উইকেট শিকারে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস ও ১০৬ রানের বিশাল জয় এনে দেয় বাংলাদেশকে। প্রথম টেস্ট হারের পর যে সমালোচনা হয়েছিল, তার জবাবটা বোধ হয় দ্বিতীয় টেস্ট তিন দিনে জিতে দিয়ে দিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। ‘বাউন্স ব্যাক’ করে সিরিজ ড্র ১-১-এ।

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে বীরোচিত পারফরম্যান্স ছিল টাইগারদের। এটি সম্ভব হয়েছে পছন্দের উইকেটে খেলা হওয়ায়। স্পিন ভুবনে উইকেট উৎসব করেছেন তাইজুল, মিরাজ গাঁটছড়া বেঁধে। সিরিজ নির্ধারণী টেস্টে দুটি সেঞ্চুরি দারুণ অর্জন অধারাবাহিক ব্যাটিং লাইনআপের। এই টেস্টে ওপেনিং জুটি ভালো করেছে। লম্বা সময় পর টেস্ট খেলার সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয় ভালোই সঙ্গ দেন সাদমানকে। লোয়ার মিডলঅর্ডারে মিরাজের লড়াই ছিল দেখার মতো।

টেলএন্ডারদের নিয়ে রীতিমতো বাজিমাত করেছেন তিনি। শেষ ৩ উইকেটে তৃতীয় দিন ১৫৩ রান যোগ করেন। বাংলাদেশকে পৌঁছে দেন ৪৪৪ রানে। ২১৭ রানের লিড থাকায় ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বপ্ন দেখায়। মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সে স্বপ্ন পূরণ হয়। সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পর তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার তাঁর। 

গত বছর দেশের মাটিতে টেস্টে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। ২০২৫ সালের শুরুটাও ভালো ছিল না। সিলেটে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে। সিরিজ বাঁচাতে চট্টগ্রামে জিততেই হতো। লক্ষ্যে পৌঁছাতে কন্ডিশনেও পরিবর্তন আনা হয়। চট্টগ্রামের উইকেটে খেলা হয় দ্বিতীয় টেস্ট। যেখানে শাসন ছিল স্পিনারদের। পছন্দের উইকেট পাওয়ায় তিন স্পিনার নিয়ে খেলে বাংলাদেশ। তিনজনই দারুণ বোলিং করেন প্রথম থেকে।

দীর্ঘ বিরতির পর টেস্ট খেলার সুযোগ পাওয়া অফস্পিনার নাঈম হাসান চ্যালেঞ্জ নিয়ে বোলিং করে গেছেন। বেশি উইকেট না পেলেও এক প্রান্তে ব্যাটারদের চাপে ফেলেছেন। যার সুফল তাইজুল ও মিরাজ পেয়েছেন অন্য প্রান্তে। প্রথম দিন শেষ সেশনে ব্রেক থ্রু দেন তিনি। বাঁহাতি স্পিনার পরে পিক করে ৬ উইকেট শিকার করেন। জিম্বাবুয়ে ৯ উইকেটে ২২৭ রানে প্রথম দিন শেষ করে। পরের দিন এক বল খেলে ওই রানেই অলআউট হয়। বাংলাদেশ ব্যাটিং শুরু করে বড় লক্ষ্য নিয়ে। সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় ১১৮ রানের ওপেনিং জুটি করায় প্রতিপক্ষকে ছাড়িয়ে যাওয়া সহজ হয়। সাদমানের সেঞ্চুরি ও মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম কিছু রান করায় ৭ উইকেটে ২৯১ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করে বাংলাদেশ।

সেদিন সংবাদ সম্মেলনে সাদমান আশা প্রকাশ করেন, মিরাজ ও তাইজুল জুটি করবেন। অষ্টম উইকেটে ৬৪ রানের জুটি দু’জনের। বেশি ভালো করেছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। মিরাজের সঙ্গে ১৫৬ বলে ৯৬ রানের জুটি। অভিষেক টেস্টে সাকিবের ব্যাটিং দারুণ লেগেছে অধিনায়ক শান্তর কাছে। ৮০ বলে ৪১ রান করেন তিনি। সবচেয়ে বড় কথা, মাথায় বল লাগার পরও বিচলিত হননি তিনি। মিরাজ ছাড়া চট্টগ্রাম টেস্টের প্রাপ্তি হিসেবে ওপেনিং জুটির ভালো খেলা, সাদমানের সেঞ্চুরি, তাইজুলের ৫ উইকেট শিকার ও সাকিবের রান করাকে মনে করেন শান্ত। 

শেষের তিন উইকেটে তৃতীয় দিন প্রায় দুই সেশন ব্যাট করে বাংলাদেশ। তাইজুল, সাকিব ও হাসানকে নিয়ে ১৫৩ রান যোগ করে। মিরাজ ১০৪ রান করে ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে উইকেট দেন। নার্ভাস নাইটির ঘরে প্রবেশ করে কিছুটা ঝুঁকির মুখে ছিলেন মিরাজ। ৯৮ রানে পৌঁছানোর পর সেঞ্চুরি ছুঁতে দুই রান নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ফিল্ডারের কাছে বল চলে যাওয়ায় এক রানে থামতে হয়। তখন স্ট্রাইকে হাসান থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল সবাই। ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের সবাই দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। কখন হাসান আউট হয়ে যায়, সে ভয় কাজ করছিল হয়তো। কিন্তু হাসান ছিলেন দৃঢ়চেতা। মাসাকাদজাকে ডিফেন্স করে স্বস্তি দেন।

মিরাজ স্ট্রাইকে এসে মেদেভেরের প্রথম দুই বলে ঝুঁকি নেননি। তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ ও দ্বিতীয় টেস্টের সেরা খেলোয়াড় মিরাজ। প্রথম ম্যাচের উভয় ইনিংসে ৫ উইকেট করে ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে অতীতের সব পারফরম্যান্স ছাড়িয়ে গেছেন। সেঞ্চুরির সঙ্গে ৫ উইকেটপ্রাপ্তি, দুই হাজার রানের মাইলফলক পেয়েছেন। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ২১৭ রানে পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১১১ রানে। ফ্লাডলাইটের আলো জ্বেলে নির্ধারিত সময়ের বেশি খেলান আম্পায়াররা। প্রায় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খেলা হয়। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটাররা তাতে আপত্তি করেননি। তাইজুল ৩, নাঈম ১ ও মিরাজ ৫ উইকেট নিলে ম্যাচ শেষ হয়।  

সিলেটে প্রথম টেস্ট হারের পর চট্টগ্রামে প্রভাব বিস্তার করে খেলে ম্যাচ জেতার পরও খুশি নন অধিনায়ক শান্ত, ‘আমি টেস্ট সিরিজ ড্র করে খুশি না। কারণ, প্রথম টেস্টে আমরা একেবারেই ভালো খেলিনি। এই টেস্টে একপেশে খেলে জিতলেও সিরিজে আরও ভালো খেলা উচিত ছিল। সিরিজটি জিততে হতো।’ টাইগার দলপতি জানান, এই পারফরম্যান্স শ্রীলঙ্কা সফরে কাজে দেবে। দেশের মাটিতে স্পোর্টিং উইকেট বানিয়ে বিদেশে খেলার পরিবেশ তৈরি করছিল বিসিবি। ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে স্পোর্টিং উইকেটে খেলা হচ্ছে। কিউইদের বিপক্ষে সিলেটে ঐতিহাসিক জয় পেলেও মিরপুর থেকে হারতে শুরু করে। দেশের মাটিতে টানা ছয় হারের পর জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ