যে কারণে ‘আলোকিত নারী সম্মাননা’ পেলেন বুবলী
Published: 20th, April 2025 GMT
ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘জংলি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রশংসায় ভাসছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। এরইমধ্যে এক বিশেষ সম্মাননাতেও ভূষিত হলেন তিনি। চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে আলোকিত নারী সম্মাননা পেলেন এই অভিনেত্রী।
শনিবার একটি অনুষ্ঠানে বুবলীর হাতে ‘আলোকিত নারী সম্মাননা স্মারক ২০২৫’ তুলে দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশ বরেণ্য অভিনেত্রী দিলারা জামান।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন বুবলী। সম্মান জানানোর জন্য ‘আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশন’কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘পৃথিবীর সকল নারীর প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা।’
পরে বুবলী বলেন, ‘কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা প্রাপ্তি সবসময়ই অনেক ভালোলাগার এবং সামনের। এটা আরও ভালো কাজের জন্য উৎসাহ যোগায়। তবে সফল সব নারীদের নিয়ে কোনো আয়োজনে যখন আলাদা করে সম্মাননা জানানো হয় তখন একটু বেশিই আনন্দ দেয়। কারণ, একজন নারী হিসেবে এটি ভীষণ গর্বের এবং সম্মানের। আর এই সম্মাননাটি গ্রহণ করি আমি আমাদের জীবন্ত কিংবদন্তী অভিনেত্রী শ্রদ্ধেয় দিলারা জামান ম্যামের হাত থেকে। এটাও অনেক অনেক ভালোলাগার বিষয়ও বটে।’
ঈদে মুক্তি পেয়েছে বুবলী অভিনীত ‘জংলি সিনেমা। এ সিনেমা প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, ‘প্রথম দিন থেকে এখন পর্যন্ত ভালোবাসা পাচ্ছে ‘জংলি’। পরিবারসহ সবাই দেখছেন- এটা একজন শিল্পী হিসেবে সত্যিই ভীষণ ভালোলাগার। আমার বিশ্বাস এই ভালোলাগার রেশ থেকে যাবে বহুদিন।’
এদিকে বুবলীর প্রযোজনা সংস্থা ‘বিগ প্রোডাকশনস’ থেকে শিগগিরই কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এরইমধ্যে তিব্বত লাক্সারি সোপ’র বিজ্ঞাপনেও মডেল হয়েছেন তিনি। এটি নির্মাণ করেছেন সনক মিত্র।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব বল অভ ন ত র আল ক ত ন র
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।গত মঙ্গলবার এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দিুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।
এছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দু’জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগনি। দোলার বাবা সৈয়দ গোলাম দস্তগীর পেশায় ব্যবসায়ী।
সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
এ বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজে এর একটা ব্যাখ্যা রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আমি ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। নো মেট্রো অন ডিইউ মুভমেন্ট, রামপাল বিরোধী আন্দোলন, ডিএসএ বাতিলের আন্দোলন, সুফিয়া কামাল হলকে ছাত্রলীগ মুক্ত করাসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে আমি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায়? এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে-বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার এনসিপি কমিটি গঠনে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি, গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুড়েছিল। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের অজানা নয়।’
সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হলে ভাল হতো। যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’