ইয়েমেনে আবারো বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হুতি-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির রাজধানী সানার একটি জনপ্রিয় বাজারে মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। খবর সিনহুয়ার।

হুতি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টিভির মতে, রবিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সানার অন্যতম ব্যস্ততম বাজার শু’উব এলাকার ফারওয়াহ বাজারে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবিত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের খুঁজে বের করার জন্য দলগুলো কাজ করছে।

হুতি মিডিয়া আউটলেটটি আরো জানিয়েছে, রোববার রাতভর দেশটির অন্যান্য অঞ্চলেও হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরো পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে নদীতে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৩

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, হাজারো মানুষের অংশগ্রহণ

বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিম ইয়েমেনের রাস ইসা জ্বালানি বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ৮০ জন নিহত, ১৭০ জন আহত এবং জ্বালানি সংরক্ষণের অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার দুইদিন পরে নতুন এই হামলার ঘটনা ঘটলো। 

স্থানীয় হুতি স্বাস্থ্য কর্তকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের হামলায় ঘটনায় জ্বালানি তেল লোহিত সাগরে ছড়িয়ে পড়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বাহিনী গত ১৫ মার্চ থেকে হুতিদের ওপর বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করেছে। লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে হুতিদের আক্রমণ বন্ধ করার লক্ষ্যে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে এই অভিযান বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এদিকে হুতি গোষ্ঠী বলেছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা লোহিত সাগরের জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে এবং তাদের বাহিনী হামলার জবাব দেবে।

এক দশকের বেশি সময় ধরে ইয়েমেনে সশস্ত্র সংগ্রাম করছে ইরান সমর্থিত হুতিরা। উত্তর ইয়েমেনের অধিকাংশ অঞ্চলই এখন তাদের দখলে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হলে এর প্রতিবাদে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে তারা ১০০ এর বেশি হামলা চালিয়েছে।

এরপর হুতিদের থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে হামলা শুরু হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। তাই নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে আবারো হুতিদের ওপর হামলা জোরদার করার নির্দেশ দেন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

কচুরিপানা ও দূষণে ধুঁকছে শাখা ধনাগোদা, পরিষ্কারের উদ্যোগ নেই

একসময় নদীটি ছিল খরস্রোতা। নৌপথে স্থানীয় লোকজন সহজেই রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে চলাচল করত। আর নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন হাজারো জেলে। এখন সেসব কেবলই অতীত। ’৭৯ সালে বেড়িবাঁধ হওয়ার পর পাল্টে যায় শাখা ধনাগোদা নদীর এই দৃশ্যপট।

শাখা ধনাগোদা নদী ধীরে ধীরে কচুরিপানা ও শেওলার দখল–দূষণে মৃতপ্রায়। নদীটি বাঁচাতে প্রশাসন বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তেমন উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার লোকজন।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধের ভেতরে গাজীপুর থেকে কালীপুর পর্যন্ত শাখা ধনাগোদা নদীর অবস্থান। এটি প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও আনুমানিক ৪০০ থেকে ৫০০ ফুট প্রশস্ত। স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে এটি শাখা ধনাগোদা নামে পরিচিত।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওই নদীর গাজীপুর, নবুরকান্দি, নয়াকান্দি, লুধুয়া, রসুলপুর, শাহাবাজকান্দি ও কালীপুরসহ কয়েকটি এলাকায় দেখা যায়, নদীটির অধিকাংশই কচুরিপানার দখলে। এখানে-সেখানে কচুরিপানার স্তূপ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে উঠেছে শেওলা। শেওলা ও কচুরিপানার দাপটে নদী থমকে আছে। অনেক স্থানে শেওলা ও কচুরিপানা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ ছাড়া স্থানীয় লোকজন ময়লা-আবর্জনা ফেলে কয়েকটি স্থানকে ভাগাড় বানিয়ে ফেলেছেন। নদীর তীরে বেড়ে গেছে মশা–মাছির উপদ্রব।

শাখা ধনাগোদা নদীর তীরে জমেছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। আজ সকালে উপজেলার গাজীপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ