শাপলা চত্বরে হেফাজত নেতাকর্মীদের হত্যাকে গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। শহীদদের সঠিক তালিকা তৈরি, গণহত্যার বিচারেরও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

হত্যার এক যুগপূর্তিতে সোমবার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মানবপ্রাচীর কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানিয়েছেন শিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে ইসলামবিদ্বেষী চক্রের আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.

)-এর অবমাননার বিরুদ্ধে দেশের আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মানুষ ১৩ দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে সমবেত হন। তাদের ওপর চালানো হয় নির্মম গণহত্যা। অনেক শহীদের মরদেহ গুম করা হয়।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের ৯ মাস পরও আওয়ামী লীগ আমলের বিচার দৃশ্যমান হয়নি। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, আপনারা স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় আসেননি। তাই গণহত্যার বিচারে আইনের বয়ান শোনাবেন না। হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তাদের কেউ কেউ ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। তাদের পরিণতি শেখ হাসিনার চেয়েও ভয়াবহ হবে।

সংগঠনটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় মানবপ্রাচীরে বক্তৃতা করেন শিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

শাপলা চত্বরের হত্যার বিচারের দাবিতে সোমবার চট্টগ্রামে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের উত্তর গেইটে মানবপ্রাচীর কর্মসূচি করে চট্টগ্রাম মহানগর শিবির। রংপুরে একই কর্মসূচি পালন করেন রংপুর মহানগর ছাত্রশিবির। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণহত য ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

জবিতে পরিবহন সংকট নিরসনে ছাত্র অধিকারের ৩ দাবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরিবহন সংকট নিরসনে তিন দফা দাবি জানিয়েছে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ। 

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চলমান সংকট তুলে ধরে সংগঠনটির পক্ষ থেকে পরিবহন পরিচালকের কাছে একটি লিখিত আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়।

সংগঠনটির দেওয়া আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছেড়ে যায় মাত্র দুটি শাটল বাস। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য অপ্রতুল। এই সময়ে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে শিক্ষার্থীদের ধাক্কাধাক্কি, ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত এবং মানসিক চাপে পড়তে হয়। বিষয়টি নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

আরো বলা হয়েছে, শুধু দুপুর নয়, সার্বিকভাবে জবির বর্তমান পরিবহন ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। সকাল, দুপুর কিংবা বিকেলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বাস না থাকায় শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিকল্প যানবাহন ব্যবহার করছেন। এতে অনেকের জন্য অর্থনৈতিক চাপ তৈরি হচ্ছে।

ছাত্র অধিকার পরিষদ তাদের আবেদনপত্রে তিনটি প্রধান দাবি উত্থাপন করে। দাবিগুলো হলো- দুপুর দেড়টায় অতিরিক্ত অন্তত দুটি শাটল বাস চালু করা, মোট বাস সংখ্যা শিক্ষার্থীর অনুপাতে যথাযথভাবে বাড়ানো এবং পরিবহন ব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদি একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনায় পরিবহনের সংখ্যা খুবই সীমিত। এতে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তির পাশাপাশি নিরাপত্তারও সংকট তৈরি হয়েছে। নতুন প্রশাসনের কাছে আমরা উদ্যোগের প্রত্যাশা করলেও এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”

তিনি বলেন, “আমরা আজ লিখিতভাবে আমাদের দাবি জানিয়েছি। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ আরো বাড়বে।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ
  • জবিতে পরিবহন সংকট নিরসনে ছাত্র অধিকারের ৩ দাবি
  • আইন মন্ত্রণালয়: ট্রুথ কমিশন গঠনে সরকা‌রি সিদ্ধান্ত হয়নি
  • ট্রুথ কমিশন গঠনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: আইন মন্ত্রণালয়
  • উদীচী নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রবাসী শুভাকাঙ্ক্ষীরা, মতপার্থক্য ভুলে আলোচনার আহ্বান
  • ‘পাথরের সাম্রাজ্যে’ অভিযান, ৮৭ পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
  • যবিপ্রবিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
  • গাজা ইস্যুতে বিবিসির কপটতা বিশ্বব্যবস্থারই প্রতিফলন 
  • জুলাই ঘোষণাপত্র, সনদ ও বিচারের দাবিতে কাল জেলা-উপজেলায় এনসিপির কর্মসূচি
  • গোপালগঞ্জে উচ্ছেদ করা হলো ‘জ্ঞানের আলো পাঠাগার’