বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. শুচিতা শারমিনের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১১টায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনিক ভবন-১ এর গ্রাউন্ড ফ্লোরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে কর্মকর্তাদের ভবনের বাইরে বের করে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন তারা।

বেলা ১টার দিকে আরেকটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিকী কফিন নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে রেখে দেন শিক্ষার্থীরা। তাদের তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রব্বানী এবং কোষাধ্যক্ষ মো.

মামুন অর রশিদ ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।

আরো পড়ুন:

ববি উপাচার্যের পদত্যাগের ১ দফা দাবি শিক্ষার্থীদের

৫ মে আদালতে ভিড় না করার জন্য ফয়জুল করিমের নির্দেশনা

শিক্ষার্থীরা জানান, এর আগে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে হওয়া আন্দোলন হুমকি, মামলার কারণে কিছুদিন চলার পর থেমে গেছিল। কিন্তু এবারের আন্দোলন উপাচার্যের পদত্যাগ ছাড়া কোনোভাবেই থামবে না। নতুন নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা আমাদের আন্দোলন অব্যহত রাখব।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আজমাইন সাকিব বলেন, “বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুচিতা শরমিন বিভিন্ন কায়দায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন হামলা মামলা দিয়ে দমিয়ে রেখেছেন। তিনি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নব্য ফ্যাসিবাদ কায়েম করার চেষ্টা করছে।”

তিনি বলেন, “বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় চব্বিশের প্রথম স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা স্বাধীন শিক্ষার্থী হিসেবে কোনোভাবেই পরাধীনতা গ্রহণ করতে পারি না। তাই শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনের সব সেক্টরকে শাটডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।”

ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে নানা দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু উপাচার্য কোনো কিছুর প্রতি কর্ণপাত করেননি। তিনি স্বৈরাচারী মনোভাব পোষণ করছেন। আমাদের এক দফা বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”

ঢাকা/সাইফুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বর শ ল উপ চ র য র পদত য গ র পদত য গ র দ ব ত ক ভবন

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলায় আহত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা

প্রতীকী ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ