Samakal:
2025-06-21@08:14:08 GMT

মায়ের সঙ্গে...

Published: 6th, May 2025 GMT

মায়ের সঙ্গে...

প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার মা দিবস উদযাপন করা হয়। সে হিসেবে এ বছর ১১ মে উদযাপিত হবে মা দিবস। এ দিনটি মাকে বিশেষভাবে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানানোর দিন।  মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক নিয়ে লিখেছেন তানজিনা আকতারী

মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক শুধু রক্তের বন্ধনে গাঁথা নয়, এটি পুরোপুরি আত্মার বন্ধন। মা ও শিশুর সম্পর্ক পৃথিবীর সবচেয়ে কোমল, গভীর ও মূল্যবান সম্পর্কগুলোর একটি। মা মানেই স্নেহ ও আদরের অনুভূতি, নিরাপদ আশ্রয়, নির্ভরতার প্রতীক। এ সম্পর্ক নিঃস্বার্থ, গভীর এবং চিরন্তন। শিশু গর্ভাবস্থায় থাকতেই মায়ের সঙ্গে অদৃশ্য বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। বেড়ে ওঠার প্রতিটি ধাপে এ সম্পর্ক নতুন করে রচিত হয়। মায়ের ভালোবাসা, স্নেহ ও মমতা শিশুর জীবনের প্রথম ও সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়। মা শিশুর প্রথম ও সেরা শিক্ষক। শিশুর মুখে প্রথম বুলি ফোটে মায়ের ভাষায়। 
সন্তানের সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম লিভিং উইথ ওয়েলনেসের মনোবিজ্ঞানী সোনিয়া জান্নাত বাঁশরীর কাছে। তিনি জানান, ‘জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও গভীর সম্পর্কগুলোর অন্যতম মা ও সন্তানের সম্পর্ক। মাতৃগর্ভ থেকে সন্তানের সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জন্মের পর মায়ের বুকই সন্তানের সবচেয়ে শান্তির ও নিরাপদ স্থান। বুকের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে সন্তানের সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক গভীর থেকে গভীর হয়। সন্তানকে স্পর্শ, আদর, বুকের সংস্পর্শে থাকা, চোখে চোখে তাকানোর দ্বারা মায়ের সঙ্গে আন্তরিকতা, বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা তৈরি। মায়ের ভালোবাসায় সন্তান নিরাপত্তা বোধ করে ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।’
১২ থেকে ১৮ বছর ছেলেমেয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বয়সে সন্তান শিশু থেকে কৈশোরে পদার্পণ করে। তাদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন হয় হরমোনের প্রভাবে। ছেলেদের স্বপ্নদোষ ও মেয়েদের মাসিক চক্র এ বয়সেই শুরু হয়; বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে। নতুন এ শারীরিক পরিবর্তনের ফলে জীবনের সবচেয়ে জটিল সময়ে তারা পদার্পণ করে। তাই এ সময় মাকে আদরণীয়, স্নেহময়, বন্ধু, সংবেদনশীল ও কৌশলী হওয়া বিশেষ প্রয়োজন।
খুনসুটি, প্রশ্ন-উত্তর, ভালোবাসা ও যুক্তির মাধ্যমে সন্তানকে সঠিক ও ভুলের পার্থক্য শেখানো মায়ের দায়িত্ব। সেই শেখানোয় যেন কঠোরতা প্রকাশ না পায়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। কৈশোরেই তাদের শারীরিক, মানসিক ও ব্যক্তিত্ব তৈরি হয়। এ বয়সীদের সঙ্গে মাকে হতে হবে ভালো বন্ধু, শিক্ষক। সন্তানের যাতে কখনও মনে না হয় তার কথা বা চাওয়া মা বুঝতে পারছেন না। সন্তান এ বয়সে মায়ের কথা শুনতে চায় না, আমি নিজেই যথেষ্ট বড়, নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারি– এমন মনোভাব প্রকাশ করতে পারে। তাই বকাঝকা না করে সন্তানকে নির্ভয়ে ও অকপটে তার মনের কথা ও সিদ্ধান্ত জানানোর স্বাধীনতা দিতে হবে। এ বয়সীদের শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের ফলে সন্তান আবেগপ্রবণ, জেদি বা একা থাকতে চাইতে পারে। কোনো তারকা, গায়ককে দেখে ওরা অনুপ্রাণিত হয়, বন্ধুদের দ্বারা প্রভাবিত হয়। ফলে মাকে পরিস্থিতি বুঝে পরিবর্তনগুলোকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করে ও ধৈর্য ধরে সন্তানের আচরণ সামলাতে হবে। মায়ের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ ছেলেমেয়েকে আত্মবিশ্বাসী, সচেতন ও সুস্থ চিন্তাশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
যুবক ও তরুণ বয়সে সন্তানের সঙ্গে মায়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে সবচেয়ে ভালো। প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানকে নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকে নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। মায়েদেরও সন্তানকে আমার ছেলে বা মেয়ে ছোটই আছে বলে আঁকড়ে রাখার মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। তবে সন্তানকে যে কোনো 
সময় বা প্রয়োজনে সুন্দর ও সঠিক পরামর্শ দেওয়া উচিত ও নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করা উচিত।
সন্তানের বিয়ের পর সুন্দরভাবে পরিবার গঠনের পরামর্শ দিতে হবে মাকে। মায়েদের এমন আচরণ বা ব্যবহার করা উচিত নয়, যা তাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে। সংসারে অযাচিত জোর খাটানো থেকে বিরত থেকে সন্তানকে ধীরে ধীরে পরিবারের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে। বয়স্ক মায়েদের সেবাযত্ন, ভালোবাসা, মমতা দিয়ে আগলে রাখা দায়িত্ব তখন বর্তাবে সন্তানের কাঁধে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র সবচ য় র বন ধ এ বয়স

এছাড়াও পড়ুন:

আমরা জাতি হিসেবে অত্যন্ত বেহায়া-নির্লজ্জ: শবনম ফারিয়া

ছোট ও বড় পর্দার অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। এতদিন নাটক-টেলিফিল্মের কাজ নিয়েই অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকতেন। তবে তুলনামূলক এখন কাজ কমিয়ে দিয়েছেন। স্বভাবে অনেকটা—ঠোঁটকাটা। যার কারণে প্রায় সময়ই আলোচনায় থাকেন তিনি। 

গত বছর গণঅভ্যত্থানে ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান শবনম ফারিয়া। কিন্তু কিছু মানুষের আচরণে ভীষণভাবে আহত তিনি। কেবল তাই নয়, জাতি হিসেবে অত্যন্ত বেহায়া, নির্লজ্জ বলে উপলদ্ধি তার। বুধবার (১৮ জুন) শবনম ফারিয়া তার ফেসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে কখনো অভিমান, কখনো ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই অভিনেত্রী। 

একটি গল্প দিয়ে লেখা শুরু করেন শবনম ফারিয়া। তিনি লেখেন, “একটা গল্প আছে না, শীতের সকালে একজন ইমাম আর একজন চোরের! ইমাম ভাবে, কি ভালো একটা মানুষ এই ঠান্ডায় ফজরের নামাজ পড়তে এসেছে। চোর ভাবে, কি ভদ্রলোক দেখতে, দাড়িদুড়ি রেখে আবার চুরি করে! এই গল্প থেকে আমরা কি শিখেছিলাম? শিখেছিলাম যে যেমন, যার চিন্তাধারা যেমন, অন‍্যদেরও তাদের সেইম মনে হয়!”

আরো পড়ুন:

নরমাল ডেলিভারির ‘মিশন’ নিয়ে থাইল্যান্ডে স্বাগতা

‘মিমির মানবিক আচরণে চোখে পানি চলে এসেছিল’

শবনম ফারিয়ার দাবি, পৃথিবীর সব মানুষ টাকার জন্য নীতি বিক্রি করেন না। তার মতে, “বিশ্বাস করেন, পৃথিবীর সব মানুষ ‘টাকার’ (ডলারও পড়তে পারেন) কাছে তাদের ‘এথিক্স’ বিক্রি করে না। দুনিয়ার ‘সব মানুষের’ কাছে টাকাই ‘সব’ না। কিন্তু মানুষ নিজস্বতায় বিশ্বাস করে! স্রোতের বিপরীতেও যায়! রিস্ক নেয়!” 

গণঅভ্যত্থানের সময়ের একটি ঘটনা বর্ণনা করে শবনম ফারিয়া লেখেন, “জুন মাসে যখন আন্দোলন তুঙ্গে, ইন্টারনেট চলে যাওয়ার পরপর যেসব সেলিব্রিটিদের কাছে, মেট্রোরেল/বিটিভিতে আগুন দেয়ার প্রতিবাদ করার জন‍্য ভিডিও বানাতে বলা হয়, আমিও তাদের মধ্যে একজন। আমি প্রথমে সময় চেয়ে বলি, ভেবে জানাব! স্বাভাবিক, সে সময় ডাইরেক্ট না করার মতো সাহস যোগার করতে পারিনি। তারাও বলে সময় নেন, আপাতত এমনেতেই ইন্টারনেট নাই। যেহেতু হোয়াটসআপ বন্ধ, তাও সিয়ামকে ডাইরেক্ট মেসেজ দেই, তুমি কি ‘এস’ ভাইয়ের কল পেয়েছো? ও রিপ্লাই করে, ‘হ্যাঁ পেয়েছি এবং না বলেছি।’ তখন সাহস পাই এবং আমিও তখন না বলি।” 

এই ঘটনা প্রকাশ করার কারণ জানিয়ে শবনম ফারিয়া লেখেন, “এইসব কথা অযথা বলে বেড়ানোর কোনো ইচ্ছা আমার ছিল না! সেসময় এইটাই করার কথা, না বলেছি বলে আমি বিশেষ কোন ক্রেডিট নিতে চাইনি। যেহেতু আমি ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ কোনোভাবেই জড়িত না, অদূর ভবিষ্যতেও কোনো ইচ্ছা কিংবা পরিকল্পনা নেই তাও যখন দেখি কেউ লেখে, ‘এরা তো ডলার খাইছে’ মার্কা কল্পনিক গল্প, হাসা ছাড়া কিছু করার থাকে না। ভাই, আমি এমন অনেক মানুষকে চিনি, যারা মন থেকে আওয়ামীলীগ ভালোবাসে কিন্তু জুলাইতে লাল ডিপি দিসিলো! হয়তো জুলাইকে আমাদের সাধারণ মানুষের কাছে যেভাবে সে সময় পোট্রে করা হইছে এখন বিষয়টা তেমন নাই, কিন্তু সেসময় আপনি যদি মানুষ হয়ে থাকেন, অমানুষ না হন তাহলে আপনি কোনো মানুষকে হত‍্যা করার প্রতিবাদ না করে থাকতে পারতেন না, আপনার রাজনৈতিক পরিচয় কিংবা মতাদর্শ যাই হোক!”

আর রাজনৈতিক কোনো স্ট্যাটাস দেবেন না শবনম ফারিয়া। তার কারণ ব্যাখ্যা করে এই অভিনেত্রী লেখেন, “এই স্ট্যাটাস দিয়ে বাংলাদেশের পলিটিক্স নিয়ে স্ট্যাটাস দেয়া বন্ধ করলাম! কারণ ফাইনালি আমি বুঝে গেছি, জাতি হিসেবে আমরা অত্যন্ত বেহায়া এবং নির্লজ্জ, আমরা কক্ষনো ভালো হবো না, যত আন্দোলন হোক, সরকার পরিবর্তন হোক, যতই শান্তিতে নোবেল পাওয়া মানুষ আসুক, আমাদের কেউ দুর্নীতি এবং চুরি করা থেকে আটকাতে পারবে না! শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ যেই ক্ষমতা পাবে সেই অসৎভাবে ব্যবহার করবে। আমি আর আমার নিজ দেশের কাছে আর কোনো প্রত্যাশা রাখি না! পরিশেষে বলতে চাই, সত্যি সত্যি ডলার পেলে আসলে ভালোই লাগতো! শ্রীলঙ্কা যাওয়ার আগে ২৫ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে ২০০ ডলার পাসপোর্টে এন্ডোরর্স করতে খুবই কষ্ট হইছে।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কর্মস্থলে নেই শরীয়তপুরের ডিসি 
  • চরকির অসৌজন্যমূলক আচরণ, সাংবাদিক সমিতির নিন্দা ও প্রতিবাদ
  • ইরানের ‘লাল রেখা’ কী কী?
  • ঈশ্বরদী বিএনপিতে দুই নেতার ফের বিরোধ, এক নেতার সংবাদ সম্মেলন
  • ঈশ্বরদীর ঐক্যবদ্ধ বিএনপিতে দুই নেতার ফের বিরোধ, এক নেতার সংবাদ সম্মেলন
  • দৃঢ়তার সঙ্গে ইরানি জনগণকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান খামেনির
  • ইরানি জনগণকে শক্তির সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান খামেনির 
  • আমরা জাতি হিসেবে অত্যন্ত বেহায়া-নির্লজ্জ: শবনম ফারিয়া
  • নেতানিয়াহুকে অভিযান চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করছি: ট্রাম্প