বিমান থেকে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে পাল্টা হামলার প্রস্তুতি হিসেবে ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাব প্রদেশের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান।

বিবিসি লিখেছে, এর আগে বুধবার গভীর রাতে ভারত সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে মোট ৯টি স্থানে হামলা চালিয়েছে। এই হামলা ছিল গত মাসে পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার জবাব। 

হামলার পর ভারতের সামরিক বাহিনীর এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে বলা হয়, ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার কয়েক মুহূর্ত পরই ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিন্দুত্ববাদী নেতা যোগী আদিত্যনাথ সেনাবাহিনী প্রসংশা করে এক্সে পোস্ট দেন।

আরো পড়ুন:

ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ও ১টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের

পাকিস্তানে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করেছে দিল্লি

 পহেলগাম হামলার জন্য দিল্লি দায়ী করছে ইসলামাবাদকে; যদিও তারা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

গত কয়েক দিনে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও সরকার সাংবাদিকদের ভাওয়ালপুর ও মুজাফফরাবাদ-সংলগ্ন এলাকায় ঘুরিয়ে দেখিয়েছে, যেগুলো পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী ভারতীয় হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।

পাকিস্তান এই সফরের মাধ্যমে ভারতের দাবিকে খণ্ডন করতে চেয়েছিল, দেখাতে চেয়েছিল এগুলো জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির নয়।

এদিকে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার জানান, হামলায় ৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে দুজন শিশু রয়েছে।

ভারত এখনো পাকিস্তানের এই দাবি সম্পর্কে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

পাকিস্তান আরো দাবি করেছে, হামলার সময় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। অবশ্য, এই দাবির বিষয়ে ভারতও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। 

ভারতের হামলার জবাবে শিগগির প্রতিক্রিয়া দেখানোর হুমকি দিলেও পাকিস্তানের তরফে পাল্টা হামলার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। 

এই অবস্থায় ভারতজুড়ে আজ মঙ্গলবার (৭ মে) বেসামরিক পর্যায়ে যুদ্ধকালীন নিরাপত্তা মহড়া হওয়ার কথা রয়েছে। 

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫

ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের একাডেমি এলাকার ফারুক হোটেলের সামনে পক্ষ দুইটি সংঘর্ষে জড়ায়।

আহতরা হলেন- একাডেমি এলাকার নুর আমিনের ছেলে রিফাত (২০), ফুলগাজীর পশ্চিম ঘনিয়া মোড়া এলাকার আবদুল্লাহ আল নোমান (২০), মকবুল আহমদ সড়কের ওমর ফারুকের ছেলে জোনায়েদ হোসেন নাহিদ (১৭), একাডেমি এলাকার মো. ইব্রাহিমের ছেলে অলি উল্লাহ নোমান (১৭) এবং মিদ্দা বাড়ির নুরুল আমিনের ছেলে নুর করিম (২৮)। গুরুতর আহত আবদুল্লাহ আল নোমানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুরোনো বিরোধের জেরে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় পাঁচজন আহত হন। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ১০

চাটমোহরে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, মোটরসাইকেল ভাঙচুর

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফয়জুল কবীর বলেন, “আহত অবস্থায় পাঁচজন এসেছেন। চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নোমানের বুকের বাম পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত থাকায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামজুজ্জামান বলেন, ‘পূর্ববিরোধের জেরে কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।”

ঢাকা/সাহাব/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ