ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি বাসায় গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের তিন জন দগ্ধ হয়েছেন।  

বুধবার (৭ মে) ভোর ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। 

দগ্ধরা হলেন, ফাতেমা বেগম (৪০) ও তার বোন সাদিয়া এবং সাদিয়ার মেয়ে  ইসরাত (১১)। 

দগ্ধ ফাতেমার বোন জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, রাতে আমার দুই বোন ও ভাগ্নি ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ ভোরের দিকে রান্নাঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ হয়।  এতে আমার দুই  বোন ও ভাগ্নি দগ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়। 

ফাতেমাদের গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন থানা এলাকায়। মোহাম্মদপুরে একটি বাসায় ভাড়া থাকেন তারা। 

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, মোহাম্মদপুর থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারে দুই নারী ও এক শিশুকে এখানে আনা হয়েছে। আগুনে ফাতেমার শরীরের ৭ শতাংশ, সাদিয়ায় ৭ শতাংশ ও শিশু ইসরাতের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তিন জনকে ভর্তি রাখা হয়েছে। তবে ইসরাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের আগুনে প্রায়ই দগ্ধ হচ্ছে মানুষ। তাদের অনেকে চিকিৎসা নিতে ঢাকায় আসছেন। কিন্তু সবাইকে বাঁচানো যাচ্ছে না বলে জানান চিকিৎসকরা। 

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হিসাবে, শুধু ২০২৪ সালে আগুনে দগ্ধ হয়ে ১২ হাজার ৮১১ জন রোগী জরুরি বিভাগে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হন ৪৬৮০ জন রোগী। ভর্তি রোগীদের মধ্যে মারা যান ১০০২ জন। অর্থাৎ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদপ র

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের হামলা অমার্জনীয়, এই মুহূর্তে আলাপের দুয়ার বন্ধ

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর এখনো কি কূটনীতির সুযোগ আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, “এই মুহূর্তে নয়।”

তিনি আরো বলেছেন, “কূটনীতির দরজা সবসময় খোলা থাকা উচিত কিন্তু এই মুহূর্তে তা খোলা নেই। আমার দেশ আক্রমণের শিকার হয়েছে, আগ্রাসনের মুখে পড়েছে এবং আমাদের অবশ্যই আমাদের বৈধ আত্মরক্ষার অধিকারের ভিত্তিতে জবাব দিতে হবে।”

আরাগচি যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের এক ‘অমার্জনীয় লঙ্ঘন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আরো পড়ুন:

আলজাজিরার বিশ্লেষণ
ইরানের ফোরদো কী? যুক্তরাষ্ট্রের বোমায় এটি কি ধ্বংস হয়ে গেছে?

‘সর্বশক্তি’ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিহতের ঘোষণা ইরানের

ইরানে মার্কিন হামলার পর যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে ইরানকে আবারো আলোচনার টেবিলে ফেরার আহ্বান জানানো হয়েছে। এমন আহ্বানের পর কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া দেখান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগচি। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “যে আলোচনার টেবিল ইরান কখনো ছাড়েনি, সেখানে কীভাবে ফিরে আসবে?”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি লেখেন, “গত সপ্তাহে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ছিলাম, আর ঠিক তখনই ইসরায়েল সেই কূটনীতি উড়িয়ে দিল। এবার আমরা ইইউর সঙ্গে বৈঠকে বসেছি, তখন আবার যুক্তরাষ্ট্র তা উড়িয়ে দিল। এবার আপনি বলুন, এই পরিস্থিতিতে দায়টা কার?”

তিনি আরো লেখেন, “ব্রিটেন ও ইইউর উচ্চ প্রতিনিধিরা বলছেন, ইরানকে আলোচনায় ফিরতে হবে। কিন্তু ইরান তো কখনো আলোচনার টেবিল ছাড়েইনি।”

ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ