পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন, ভারতের হামলার মুখে পাকিস্তান সংযম দেখিয়েছে। প্রায় ৭৫-৮০টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান হামলায় অংশ নিয়েছিল। বুধবার পার্লামেন্টের বাইরে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার বদলা নিতে মঙ্গলবার গভীল রাতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ৯ সন্ত্রাসী আস্তানায় ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। এতে অন্তত ৭০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে দাবি ভারতের। তবে পাকিস্তান এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, ২৬ জন নিহত হয়েছে এবং এরা সবাই বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলায় অংশ নেওয়া পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে অত্যাধুনিক রাফায়েল যুদ্ধবিমানও ছিল। অবশ্য এ ব্যাপারে ভারত এখনো কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি বা বিবৃতি দেয়নি।

বুধবার পাকিস্তাানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, “প্রায় ৭৫-৮০টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান আক্রমণে অংশ নিয়েছিল। এগুলৈার মধ্যে পাকিস্তান কেবল পাঁচটি বিমান ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে দুটি ভারতীয় ড্রোনও রয়েছে।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জবির আবাসিক হল ও ২ বিভাগের নাম পরিবর্তন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী আবাসিক হল ও দুইটি বিভাগের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, গত ২ জুন অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০১তম সভায় (সিদ্ধান্ত নম্বর–১২) হলের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। হলটির পূর্বের নাম ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ পরিবর্তন করে নতুন নাম রাখা হয়েছে ‘নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল’।

আরো পড়ুন:

খাতা জমা দিতে দেরি করায় ১৬ শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত, হাসপাতালে ২

শাবিপ্রবি ছাত্রী ধর্ষণ: অভিযুক্ত ২ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারকে কেন্দ্র করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে রাতের আঁধারে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এরই রেশ ধরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল থেকে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ লেখা নেমপ্লেটটি খুলে ফেলেন উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকেই হলের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে জোর আলোচনা চলছিল।

নতুন নামকরণে যুক্ত হওয়া নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছিলেন ব্রিটিশ ভারতে প্রথম নারী নওয়াব এবং নারী শিক্ষা ও সমাজসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী একজন কিংবদন্তী ব্যক্তিত্ব। অনেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক মনে করছেন, এই নামকরণ ইতিহাসচর্চা ও নারী নেতৃত্বের ধারাবাহিকতাকে নতুনভাবে মূল্যায়নের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত অপর দুইটি অফিস আদেশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মে ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ৭৪তম সভায় দুটি বিভাগের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে এটি ২ জুন অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০১তম সভায় অনুমোদন হয়।

একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত-১৩(২) অনুযায়ী ‘ভাস্কর্য’ বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘ত্রিমাত্রিক শিল্প ও নকশা’ করা হয়।

এছাড়া ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন’ বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘আইন ও ভূমি প্রশাসন’ করার প্রক্রিয়াটি আসে শিক্ষার্থীদের আবেদন, স্মারকলিপি এবং বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি ও আইন অনুষদের নির্বাহী কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে। একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত-১৮ অনুযায়ী পরিবর্তনটি চূড়ান্ত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মনে করছে, এই পরিবর্তন বিভাগ দুইটির ভবিষ্যৎ পাঠক্রম, গবেষণা এবং পেশাগত প্রয়োগের ক্ষেত্রগুলো আরো স্পষ্ট ও সময়োপযোগীভাবে উপস্থাপন করতে সহায়ক হবে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ