রাজস্থান ও পাঞ্জাবে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে
Published: 8th, May 2025 GMT
পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একদিন পর সীমান্তবর্তী রাজ্য রাজস্থান ও পাঞ্জাবে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে। পাকিস্তানের দিক থেকে যেকোনো উত্তেজনার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত থাকায় সবপুলিশ সদস্যের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এনডিটিভি অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের সাথে এক হাজার ৩৭ কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া রাজস্থানে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সীমান্ত সম্পূর্ণরূপে সিল করে দেওয়া হয়েছে এবং কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতীয় বিমান বাহিনী উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় সেক্টরে আকাশে যুদ্ধবিমান টহল দেওয়ার কারণে যোধপুর, কিষাণগড় এবং বিকানের বিমানবন্দর থেকে ৯ মে পর্যন্ত বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে। সুখোই-৩০ এমকেআই জেট বিমান গঙ্গানগর থেকে কচ্ছের রণ পর্যন্ত বিমান টহল দিচ্ছে। বিকানের, শ্রী গঙ্গানগর, জয়সলমীর এবং বারমের জেলার স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং চলমান পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পুলিশ এবং রেল কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
সীমান্ত গ্রামগুলোতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং জরুরি প্রতিক্রিয়ার জন্য সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সীমান্তের কাছে ড্রোনবিরোধী ব্যবস্থাও সক্রিয় করা হয়েছে। জয়সলমীর এবং যোধপুরে, মধ্যরাত থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ব্ল্যাকআউটের নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ব্ল্যাকআউট উন্নত উচ্চগতির বিমানের জন্য সমস্যা তৈরি করে, যার ফলে শত্রু পাইলটদের আক্রমণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
পাঞ্জাবে সব পুলিশ কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং জনসমাবেশ সীমিত করা হয়েছে। সীমান্তে উত্তেজনার কারণে মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও সব সরকারি কর্মসূচি বাতিল করেছেন।
প্রসঙ্গত, পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার বদলা নিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ৯ সন্ত্রাসী আস্তানায় ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হামলায় পাকিস্তানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১-এ পৌঁছেছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ত ল কর ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
খাওয়ার পরপরই পানি খেলে কি ওজন বাড়ে?
অনেকেই খাওয়ার পর পর পানি খেতে চান না ওজন বাড়ার ভয়ে। যারা ওজন কমাতে চান তারা এই অভ্যাসটি উন্নত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। কিন্তু খাওয়ার পরপরই পানি পান করলে আসলেই কি স্থূলতা বৃদ্ধি পায় নাকি এটিও কেবল একটি মিথ? আয়ুর্বেদ এবং আধুনিক বিজ্ঞানে এ নিয়ে আছে আলাদা ব্যাখ্যা।
ভারতীয় গণমাধ্যম ‘হিন্দুস্তান টাইমসে’র এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, খাওয়ার পরপরই পানি পান করলে ওজন বাড়ে না। বৈজ্ঞানিকভাবে দেখলে, পানির নিজস্ব কোনও ক্যালোরি থাকে না, যার ফলে এটি সরাসরি ওজন বৃদ্ধি করে না। তবে, খাওয়ার পরপরই যদি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা হয় তাহলে এটি হজম রসকে পাতলা করে দেয়, যার কারণে খাবার সঠিকভাবে হজম হয় না। এর ফলে, কখনও কখনও পেটে ভারী ভাব এবং ফোলাভাব দেখা দেয়, যা ওজন বাড়ার সাথে যুক্ত। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা অনুযায়ী,খাওয়ার পরপরই পানি পান করা এড়িয়ে চলা উচিত। এক বা দুই চুমুকের বেশি পানি পান করলে পেটের স্বাস্থ্য দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। পাশাপাশি শরীরে বিষাক্ত পদার্থও তৈরি হতে শুরু করে। এ কারণে আয়ুর্বেদে খাওয়ার পরপরই এক বা দুই চুমুকের বেশি পানি পান না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বরং খাওয়ার পর পর হালকা গরম পানি বা জিরা পানি পান করা ভালো, কারণ এগুলো হজমে সাহায্য করে।
সব মিলিয়ে খাওয়ার পরপরই পানি পান করলে সরাসরি ওজন বাড়ে না বরং আরও অনেক সমস্যা হতে পারে। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা খাওয়ার অন্তত আধা ঘন্টা পর সঠিক পরিমাণে পানি পান করার পরাশর্শ দেন। ওজন নিয়ন্ত্রণের কথা বলতে গেলে, বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে খাওয়ার প্রায় আধা ঘন্টা আগে এক গ্লাস পানি পান করা উচিত। এটি আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে। সেই সঙ্গে আপনার হজমশক্তিও উন্নত করে।