ইউক্রেনে রাশিয়ার ঘোষিত তিন দিনের যুদ্ধবিরতি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শুরু হয়েছে। এতে দীর্ঘদিন পর তুলনামূলক শান্ত একটি রাত কাটান ইউক্রেনের বড় শহরগুলোর বাসিন্দারা। তবে যুদ্ধ এখনও থামেনি বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। কিয়েভের দাবি, দেশটির পূর্বাঞ্চলে এখনও আক্রমণ চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। 

এ ছাড়া ইউক্রেনের উত্তরের সুমি অঞ্চলে রাশিয়ার ফেলা বোমায় এক নারী নিহত এবং দু’জন আহত হয়েছেন বলে দেশটি দাবি করেছে। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ইউক্রেনের আকাশে কোনো রুশ ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে দেশটির বিমানবাহিনী। 

রাশিয়া বলছে, নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। এই উপলক্ষে আজ মস্কোতে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ বিশ্বের আরও উল্লেখযোগ্য কয়েকজন নেতা উপস্থিত থাকবেন। দিনটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার কিয়েভ শহরের কেন্দ্রে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও।

এদিকে চলতি সপ্তাহে রাশিয়ায় বেশ কয়েকটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে কিছু সময়ের জন্য রাশিয়ার কয়েকটি বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

এ বিষয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের আকাশ অশান্ত করায় তাদের আকাশও শান্ত নেই। এটা ন্যায্য।’ ক্রেমলিন জানিয়েছে, ইউক্রেনের ১৪টি ড্রোন ধ্বংস করেছে তারা। তবে বৃহস্পতিবার ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় নতুন কোনো হামলার খবর পাওয়া যায়নি। পূর্ব ইউক্রেনে থাকা রয়টার্সের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, কিছু গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও অন্য সময়ের তুলনায় পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

আন্তর্জাতিক ফ্লাইট থেকে আয় হলেও চালু হচ্ছে না অভ্যন্তরীণ রুট

কুমিল্লা বিমানবন্দর দেখলে বোঝার উপায় নেই, এক সময় এখানে বিমান ওঠানামা করত। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় সুবিশাল রানওয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ভেঙে গেছে পিচ ঢালাই ও ব্লক। এখন সেখানে উড়ছে ধুলাবালি। বিমানবন্দরের সংরক্ষিত অধিকাংশ এলাকায় ঘাস ও ফসলের চাষাবাদ হচ্ছে। অনেক জমি বেদখল হয়ে গেছে। তবে এখানকার সিগন্যাল যন্ত্র ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক রুটের ৩৫ থেকে ৪০টি ফ্লাইট থেকে প্রতি মাসে সরকার আয় করছে প্রায় আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব।

কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, বিমানবন্দরে এখনও ২৪ জনশক্তি কাজ করেন। বিমাবন্দরের দায়িত্বরত প্রকৌশলী মনে করেন, সরকারের সদিচ্ছা থাকলে অল্প জনবল নিয়োগ ও রানওয়ে মেরামত করলেই বিমানবন্দরটি চালু করা সম্ভব। এই বিমানবন্দরের সিগন্যাল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে ভারত, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের উড়োজাহাজ।

সম্প্রতি দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচলের জন্য পরিত্যক্ত সাতটি বিমানবন্দর চালু করার কথা জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। বিমানবন্দরগুলো হলো– বগুড়া, লালমনিরহাট, শমশেরনগর, ঈশ্বরদী, ঠাকুরগাঁও, কুমিল্লা ও রাজধানীর তেজগাঁও  বিমানবন্দর। এগুলো চালু হলে পর্যটন শিল্পের বিকাশসহ দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে মনে করেন বেবিচক চেয়ার‌ম্যান।

জানা যায়, কুমিল্লা শহরতলির দক্ষিণে তিন কিলোমিটার দূরে নেউরা, ঢুলিপাড়া, রাজাপাড়া, দিশাবন্দসহ কয়েকটি এলাকার ৭৭ একর জমিতে বিমানবন্দরটি স্থাপন করে যুক্তরাজ্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে (১৯৪১-৪২) অনেকটা তড়িঘড়ি করেই এটি নির্মাণ করা হয়। তবে বিমানবন্দরটি ১৯৯৪ সালে যাত্রী সংকটে বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে কুমিল্লার সঙ্গে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচলের জন্য বেশ কয়েকটি বেসরকারি এয়ারলাইন্স আগ্রহী। ইউএস-বাংলার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, দেশের অন্যতম প্রবাসী অধ্যুষিত জেলা কুমিল্লা। এখানকার ইপিজেড, বিসিক, কয়েকশ শিল্পকারখানার সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ রাখতে হয়। এ ছাড়া কক্সবাজারের কাছে হওয়ায় পর্যটক যাতায়াতের সম্ভাবনাও রয়েছে। বিমানবন্দরটি চালু চলে ২৫ মিনিটে ঢাকা ও ৪০ মিনিটে কক্সবাজার যাতায়াত সম্ভব। বিমানবন্দরটি চালু করতে তারা বেশ কয়েক বছর যাবৎ সরকারের সঙ্গে কাজ করছেন বলে জানালেন তিনি।

কুমিল্লা বিমানবন্দরের সিএনএস প্রকৌশলী নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে এখানে নেভিগেশন ফ্যাসিলিটিজ, ডিভিওআর, ডিএমই, ভিসেট, এয়ার কমিউনিকেশন যন্ত্রপাতি, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর, যাত্রীদের জন্য আলাদা কক্ষও আছে। শুধু উদ্যোগ নিয়ে রানওয়ে মেরামত ও কিছু যন্ত্রপাতি আনা হলেই অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল শুরু করা যাবে।

কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ডা. আজম খান নোমান জানান, বিমানবন্দরটি চালু হলে কুমিল্লার অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সব ক্ষেত্রে যোগ হবে নতুন মাত্রা। কুমিল্লা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহবুব সমকালকে জানান, প্রাচীন জেলা কুমিল্লায় ক্রমেই ব্যবসা-বাণিজ্যের সমৃদ্ধি ঘটছে। বিমানবন্দর চালু হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী আসবে।

একটি সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের পুরো জমি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের। তাই বিমানবন্দর চালু করতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বেবিচককে যৌথ উদ্যোগ নিতে হবে। কুমিল্লা বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, এ বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে সরকারিভাবে কোনো চিঠি এখনও আসেনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সন্দেহপ্রবণ নারী চরিত্রে এই প্রথম অভিনয়
  • প্রতিযোগীদের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
  • অভ্যন্তরীণ সুবিধা পেতে পাক-ভারত ‘যুদ্ধ’
  • বিএনপির ‘রিকনসিলিয়েশন’ তত্ত্বের ব্যবহারিক তাৎপর্য
  • পাকিস্তান যেভাবে ভূপাতিত করল ভারতের ৫ যুদ্ধবিমান
  • যেভাবে ভূপাতিত ভারতের ৫ যুদ্ধবিমান
  • কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট থেকে আয় হলেও চালু হচ্ছে না অভ্যন্তরীণ রুট
  • ঢাকায় আসছে ‘বায়ান’
  • আন্তর্জাতিক ফ্লাইট থেকে আয় হলেও চালু হচ্ছে না অভ্যন্তরীণ রুট