তুলনামূলক শান্ত একটি রাত কাটালেন ইউক্রেনের বাসিন্দারা
Published: 9th, May 2025 GMT
ইউক্রেনে রাশিয়ার ঘোষিত তিন দিনের যুদ্ধবিরতি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শুরু হয়েছে। এতে দীর্ঘদিন পর তুলনামূলক শান্ত একটি রাত কাটান ইউক্রেনের বড় শহরগুলোর বাসিন্দারা। তবে যুদ্ধ এখনও থামেনি বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। কিয়েভের দাবি, দেশটির পূর্বাঞ্চলে এখনও আক্রমণ চালাচ্ছে রুশ বাহিনী।
এ ছাড়া ইউক্রেনের উত্তরের সুমি অঞ্চলে রাশিয়ার ফেলা বোমায় এক নারী নিহত এবং দু’জন আহত হয়েছেন বলে দেশটি দাবি করেছে। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ইউক্রেনের আকাশে কোনো রুশ ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে দেশটির বিমানবাহিনী।
রাশিয়া বলছে, নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। এই উপলক্ষে আজ মস্কোতে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ বিশ্বের আরও উল্লেখযোগ্য কয়েকজন নেতা উপস্থিত থাকবেন। দিনটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার কিয়েভ শহরের কেন্দ্রে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও।
এদিকে চলতি সপ্তাহে রাশিয়ায় বেশ কয়েকটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে কিছু সময়ের জন্য রাশিয়ার কয়েকটি বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এ বিষয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের আকাশ অশান্ত করায় তাদের আকাশও শান্ত নেই। এটা ন্যায্য।’ ক্রেমলিন জানিয়েছে, ইউক্রেনের ১৪টি ড্রোন ধ্বংস করেছে তারা। তবে বৃহস্পতিবার ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় নতুন কোনো হামলার খবর পাওয়া যায়নি। পূর্ব ইউক্রেনে থাকা রয়টার্সের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, কিছু গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও অন্য সময়ের তুলনায় পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্মের মর্মবাণী মানব কল্যাণ, শান্তি ও দেশপ্রেম: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সকল ধর্মের মর্মবাণী মানব কল্যাণ, শান্তি ও দেশপ্রেম।
রবিবার ( ২১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন কর্তৃক শুভ মহালয়া ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সকল ধর্মই আমাদের অন্যায়, অবিচার ও অনাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রেরণা যোগায়। আমাদের আত্মশুদ্ধির সুযোগ করে দেয়। মানবসেবা ও দেশাত্মবোধের চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করে।’’
শারদীয় দুর্গোৎসবকে বাংলাদেশের সার্বজনীন উৎসব উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আবহমানকাল ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়ে আসছে। এটি শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, বাংলাদেশের সকলের উৎসব। এ উৎসব উদযাপনের মাধ্যমে মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচিত হয়, সমাজের সকল মানবসৃষ্ট ভেদাভেদ, বৈষম্য দূরীভূত হয় এবং সকলের মধ্যে সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়।’’
দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে নৌপরিবহন উপদেষ্টা এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসব আনন্দমুখর পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। একইসঙ্গে দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে যেন কোনো স্বার্থান্বেষী মহল অপচেষ্টা চালাতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম//