ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে ধারে রিয়াল বেটিসে আসা ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার অ্যান্তোনির দুর্দান্ত শো চলছেই। ইউরোপা কনফারেন্স কাপের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ভলিতে দুর্দান্ত এক গোল করেন তিনি। ইতালির ক্লাব ফিওরেন্টিনার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পায় বেটিস। 

বৃহস্পতিবার রাতে দ্বিতীয় লেগে ২-২ গোলে সমতার ম্যাচে দুর্দান্ত এক ফ্রি কিকে গোল করেছেন অ্যান্তোনি। তার শট কেবল তাকিয়ে দেখতে হয়ে ম্যানইউ’তে অ্যান্তোনির সাবেক সতীর্থ ডেভিড ডি গিয়ার। 

ম্যাচে ফিওরেন্টিনার মাঠে প্রথম লিড নেয় বেটিস। ৩০ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে গোল করেন অ্যান্তোনি। ওই গোল শোধ করে প্রথমার্ধেই লিডে ফেরে ফিওরেন্টিনা। ৩৪ ও ৪২ মিনিটে গোল করেন রবিন গোসেন্স। ৯৭ মিনিটে আব্দেল ইজালজৌলি গোল করে বেটিসকে সমতায় ফিরিয়ে ফাইনালে তোলেন। 

ইউরোপা কনফারেন্স লিগের অন্য সেমিফাইনালে দুই লেগ মিলিয়ে সুইডিশ ক্লাব জুরগার্ডেনকে ৫-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পা রেখেছে চেলসি। বৃহস্পতিবার রাতে ব্লুজরা ১-০ গোলের জয় পেয়েছে। অবশ্য প্রথম লেগে জুরগার্ডেনের মাঠে গিয়ে ৪-১ গোলে জিতেছিল মারেস্কার দল। আগামী ২৮ মে রাতে চেলসি ও বেটিস ফাইনালে মুখোমুখি হবে। ম্যাচটি পোল্যান্ডের ব্রেসলাভিয়া স্টেডিয়ামে হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউর প কনফ র ন স ল গ ফ ইন ল গ ল কর প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

সাহাবিরা যেভাবে মহানবী (সা.)-কে মানতেন

নবীজি (সা.) র আনুগত্য প্রদর্শনে সাহাবিগণ অনন্য সব দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন। প্রথমত তাঁর আনুগত্য মানে আল্লাহর আদেশ পালন। দ্বিতীয়ত তাদের অন্তরে নবীজির প্রতি যে ভালোবাসা ছিল, সেই ভালোবাসার আহ্বানে তারা সাড়া দিয়েছেন। মানুষ তার সহজে মানে, যাকে সে ভালোবাসে। আমরা মাত্র তিনটি উদাহরণ উপস্থাপন করছি।

১. জুমার দিন মসজিদের মিম্বরে উঠে নবীজি (সা.) বললেন, ‘বসো তোমরা।’ আবদুলাহ ইবনে মাসউদ (রা.) শোনামাত্র মসজিদের দরজায় বসে গেলেন। তিনি ‘বসো’ শব্দটি শুনে নিজেকে আর এক পা এগোনোর অনুমতি দেননি; যেখানে ছিলেন, সেখানেই বসে গেলেন। নবীজি তাকে দেখলেন যে, তিনি দরজার মুখে বসে গেছেন। বললেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, এগিয়ে এসো।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১,০৯১)

২. আবু আবদুর রহমান ফাহরি (রা.) বলেন, নবীজির (সা.) সঙ্গে আমি হোনাইনের যুদ্ধে উপস্থিত ছিলাম। গ্রীষ্মের দিনে আমরা প্রচণ্ড রোদের মধ্য দিয়ে চলছিলাম। একসময় সকলে গাছের ছায়ায় বসলাম। সূর্য হেলে পড়লে আমার বর্মটি পরলাম এবং ঘোড়ায় চড়ে নবীজির কাছে এলাম। তিনি তার তাঁবুতে ছিলেন। তাকে সালাম দিয়ে বললাম, আল্লাহর রাসুল, ‘আমাদের যাওয়ার সময় হয়েছে কি?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ এরপর তিনি ‘বেলাল’ বলে ডাক দিলেন। বেলাল (রা.) সামুরা গাছের নীচ থেকে ছুটে এলেন। তার ছায়া দেখে মনে হচ্ছিল যেন পাখির ছায়া। তিনি বললেন, ‘আমি হাজির।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৫,২৩৩)

আরও পড়ুনঅতিথিপরায়ণ সাহাবি উম্মু শুরাইক (রা.)০১ এপ্রিল ২০২৫

পাখির ছায়া’ বলার কারণ হলো, নবীজির আওয়াজ শোনামাত্র বেলাল (রা.) এত দ্রুত এসেছেন, যেন তার দু’পা মাটিতে ছিল না, ছায়া দেখে মনে হচ্ছিল পাখির ছায়া।

৩. উসাইদ ইবনে জহির (রা.) বলেন, রাফে ইবনে খাদিজ (রা.) আমাদের কাছে এসে বললেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) তোমাদের একটি বিষয় নিষেধ করেছেন, যা তোমাদের জন্য উপকারী। তবে মনে রেখো, আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য করা আরও বেশি উপকারী। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ৩,৮৯৭)

অর্থাৎ, আল্লাহর রাসুল যা বলেছেন, তাতে বাহ্যিক দৃষ্টিতে উপকারী বিষয় গ্রহণে নিষেধ করেছেন বোঝা গেলেও তাতে দ্বিধায় পড়েননি সাহাবিরা। বরং বুঝে নিয়েছেন যে, নিশ্চয় রাসুলের কথা মেনে নিলে আল্লাহ এর চেয়ে বেশি উপকার দেবেন।

আরও পড়ুনমহানবী (সা.) কীভাবে বিবাদ মেটাতেন২০ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ