জম্মুসহ ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী কয়েকটি জায়গায় মিসাইল হামলা চালানোর পর গতকাল রাতে ধর্মশালায় নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ করে দেওয়া হয় আইপিএলের পাঞ্জাব কিংস-দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ। দর্শকদের তাৎক্ষণিকভাবে মাঠ ছাড়তেও বলা হয়। এমনকি নিভিয়ে দেওয়া হয় স্টেডিয়ামের তিনটি টাওয়ারের বাতিও।

এর আগে বৃষ্টির কারণে ম্যাচটা শুরুই হয়েছিল দেরিতে। ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাঞ্জাব। ম্যাচ যখন বন্ধ হয়, তখন পাঞ্জাবের রান ১০.

১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১২২।

আকস্মিকভাবে ম্যাচ বন্ধ হওয়ার কারণে পুরো স্টেডিয়াম এলাকায় সৃষ্টি হয় ভীতিকর পরিস্থিতি। ধর্মশালার এইচপিসিএ স্টেডিয়ামের পরিবেশ সেই সময় কেমন ছিল, তা উঠে এসেছে আইপিএলের এক চিয়ারলিডারের ভিডিও বার্তায়।

আরও পড়ুনভারত–পাকিস্তান সংঘাত: পিএসএল সরিয়ে নেওয়া হলো আরব আমিরাতে৪ ঘণ্টা আগে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বাউন্ডারি লাইনের বাইরে হাঁটতে হাঁটতে পরিস্থিতি বর্ণনা করছেন সেই চিয়ারলিডার। কথা বলার শুরুতে আলো থাকলেও কিছুক্ষণের মধ্যে আলো নিভে যাওয়ায় স্টেডিয়ামের পুরো এলাকা প্রায় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।

৩৭ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে গোটা পরিস্থিতিকে ‘খুবই ভীতিকর’ উল্লেখ করেন সেই চিয়ারলিডার। এ সময় তিনি বলেন, ‘ম্যাচের মাঝেই পুরো স্টেডিয়াম খালি করা হয়। পরিস্থিতি খুবই ভীতিকর ছিল। সবাই বোমা আসছে বলে চিৎকার করছিল।’

আতঙ্কিত এই চিয়ারলিডার আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি এখনো খুবই ভীতিকর। আমরা ধর্মশালা থেকে বেরোতে উন্মুখ হয়ে আছি। আমি আশা করব, আইপিএল কর্তৃপক্ষ আমাদের দিকটা দেখবে। পরিস্থিতি সত্যিই খুব ভীতিকর। জানি না কেন আমি এখনো কাঁদছি না। আমার ধারণা, এখনো স্তব্ধ অবস্থায় আছি।’

আরও পড়ুনজম্মুতে পাকিস্তানের হামলা, ধর্মশালায় বন্ধ হলো আইপিএলের ম্যাচ১৫ ঘণ্টা আগে

হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় আগামী রোববার আইপিএলের আরেকটি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। তবে সেটি গতকাল বিকেলে আহমেদাবাদে সরিয়ে নেওয়া হয়। শ্রেয়াস আইয়ার-লোকেশ রাহুলদেরও ধর্মশালা থেকে নিরাপদে দিল্লিতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এখন অবশ্য শুধু ম্যাচ নয়, আইপিএলই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

বিসিসিআইয়ের সহসভাপতি রাজীব শুক্লা বলেন, ‘বিশেষ ট্রেনে আমরা সবাইকে বের করে আনার ব্যবস্থা নিয়েছি। ধর্মশালার ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর স থ ত ভ ত কর

এছাড়াও পড়ুন:

দলের দুই পক্ষের বিরোধ মেটাতে যাচ্ছিলেন সালিস বৈঠকে, পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু বিএনপি নেতার

দলের দুটি পক্ষের মধ্যে হাতিহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনায় বিরোধ মীমাংসায় ডাকা হয়েছিল সালিস বৈঠক। সে বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ফেনীর পরশুরামের বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার (৫৮)। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর এক সহযোগী।

পারভেজ মজুমদার ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের নিজকালিকাপুর গ্রামের সাদেক মজুমদারের ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার দুপুরে নিজকালিকাপুর গ্রামে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের চারজন আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরশুরাম উপজেলা সদরে সন্ধ্যায় একটি সালিস বৈঠকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। সালিসে যোগ দিতে স্থানীয় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার ও তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ হারুন মোটরসাইকেলে নিজকালিকাপুর থেকে পরশুরাম যাচ্ছিলেন। তাঁদের বহন করা মোটরসাইকেলটি সুবার বাজার-পরশুরাম সড়কের কাউতলী রাস্তার মাথায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী দুজন গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পারভেজের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে পরিবারের সদস্যরা রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদারের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ বাড়ি নিয়ে যায় স্বজনরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ