‘বোমা আসছে...’—ধর্মশালার ভীতিকর পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত আইপিএলের চিয়ারলিডার
Published: 9th, May 2025 GMT
জম্মুসহ ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী কয়েকটি জায়গায় মিসাইল হামলা চালানোর পর গতকাল রাতে ধর্মশালায় নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ করে দেওয়া হয় আইপিএলের পাঞ্জাব কিংস-দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ। দর্শকদের তাৎক্ষণিকভাবে মাঠ ছাড়তেও বলা হয়। এমনকি নিভিয়ে দেওয়া হয় স্টেডিয়ামের তিনটি টাওয়ারের বাতিও।
এর আগে বৃষ্টির কারণে ম্যাচটা শুরুই হয়েছিল দেরিতে। ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাঞ্জাব। ম্যাচ যখন বন্ধ হয়, তখন পাঞ্জাবের রান ১০.
আকস্মিকভাবে ম্যাচ বন্ধ হওয়ার কারণে পুরো স্টেডিয়াম এলাকায় সৃষ্টি হয় ভীতিকর পরিস্থিতি। ধর্মশালার এইচপিসিএ স্টেডিয়ামের পরিবেশ সেই সময় কেমন ছিল, তা উঠে এসেছে আইপিএলের এক চিয়ারলিডারের ভিডিও বার্তায়।
আরও পড়ুনভারত–পাকিস্তান সংঘাত: পিএসএল সরিয়ে নেওয়া হলো আরব আমিরাতে৪ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বাউন্ডারি লাইনের বাইরে হাঁটতে হাঁটতে পরিস্থিতি বর্ণনা করছেন সেই চিয়ারলিডার। কথা বলার শুরুতে আলো থাকলেও কিছুক্ষণের মধ্যে আলো নিভে যাওয়ায় স্টেডিয়ামের পুরো এলাকা প্রায় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
৩৭ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে গোটা পরিস্থিতিকে ‘খুবই ভীতিকর’ উল্লেখ করেন সেই চিয়ারলিডার। এ সময় তিনি বলেন, ‘ম্যাচের মাঝেই পুরো স্টেডিয়াম খালি করা হয়। পরিস্থিতি খুবই ভীতিকর ছিল। সবাই বোমা আসছে বলে চিৎকার করছিল।’
আতঙ্কিত এই চিয়ারলিডার আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি এখনো খুবই ভীতিকর। আমরা ধর্মশালা থেকে বেরোতে উন্মুখ হয়ে আছি। আমি আশা করব, আইপিএল কর্তৃপক্ষ আমাদের দিকটা দেখবে। পরিস্থিতি সত্যিই খুব ভীতিকর। জানি না কেন আমি এখনো কাঁদছি না। আমার ধারণা, এখনো স্তব্ধ অবস্থায় আছি।’
আরও পড়ুনজম্মুতে পাকিস্তানের হামলা, ধর্মশালায় বন্ধ হলো আইপিএলের ম্যাচ১৫ ঘণ্টা আগেহিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় আগামী রোববার আইপিএলের আরেকটি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। তবে সেটি গতকাল বিকেলে আহমেদাবাদে সরিয়ে নেওয়া হয়। শ্রেয়াস আইয়ার-লোকেশ রাহুলদেরও ধর্মশালা থেকে নিরাপদে দিল্লিতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এখন অবশ্য শুধু ম্যাচ নয়, আইপিএলই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বিসিসিআইয়ের সহসভাপতি রাজীব শুক্লা বলেন, ‘বিশেষ ট্রেনে আমরা সবাইকে বের করে আনার ব্যবস্থা নিয়েছি। ধর্মশালার ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে