Samakal:
2025-05-09@16:11:37 GMT

আইপিএল স্থগিতের ঘোষণা

Published: 9th, May 2025 GMT

আইপিএল স্থগিতের ঘোষণা

চলমান আইপিএল এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনায় ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফসহ আইপিএলের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের তাগিদে টুর্নামেন্টটি স্থগিত করা হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সেক্রেটারি এক বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানিয়েছেন।

এর আগে বোর্ডের সূত্র হিন্দুস্তান টাইমস অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতের কথা বলেছিল, ‘আমরা  অনির্দিষ্টকালের জন্য আইপিএল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা আমাদের কাছে সবকিছুর আগে। যে কারণে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা টুর্নামেন্ট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কবে, কখন পুনরায় আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো শেষ করব ওই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমাদের জাতীয় স্বার্থ সবকিছুর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

এর পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম সংলগ্ন ফুডকোর্টে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করায় পিএসএল স্থগিত করা হয়। পরে তা সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নিয়েছে পিসিবি।

ওই হামলার জবাবে জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে হামলা চালায় পাকিস্তান। এতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পাঞ্জাব ও দিল্লির ম্যাচ স্থগিত করা হয়। ওই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। আইপিএলের চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল বলেন, ‘আইপিএল এখন পর্যন্ত চলমান আছে। তবে আমরা সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।’ পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটায় স্থগিতের মতো সিদ্ধান্ত আসতে পারে এমন ইঙ্গিত করেন তিনি। 

সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, বিসিসিআই চেষ্টা করছে নতুন করে আইপিএলের সূচি ঠিক করার। সীমান্ত থেকে নিরাপদ এমন শহরগুলোতে আইপিএলের বাকি অংশ শেষ করার প্রস্তাব আছে টেবিলে। আবার নিরপেক্ষ কোন ভেন্যুতেও সরিয়ে নেওয়া হতে পারে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ। 

ধর্মশালার ম্যাচ পরিত্যক্ত করা হলেও পাঞ্জাব ও দিল্লির ক্রিকেটার, স্টাফ ও সম্প্রচার মাধ্যমের সঙ্গে কাজ করা ব্যক্তিগন এখনো নিরাপদে ফিরতে পারেননি। তাদের দিল্লি সরিয়ে নেওয়ার তোড়জোড় চলছে। তবে চন্ডিগড় বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় আকাশপথে দ্রুত তাদের সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আকাশপথে রেড অ্যালার্ট থাকায় এবং ক্রমাগত সাইরেন বাজায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও তাদের স্থানান্তর সম্ভব হচ্ছে না।

সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, সড়ক পথে ধর্মশালা থেকে ৮৫ কিলোমিটার দূরে পাঠানকোর্ট রেলস্টেশনে নেওয়া হবে ক্রিকেটারদের। সেখান থেকে বিশেষ ট্রেনে আনা হবে দিল্লিতে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ক্রিকেটার হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ভয় বিরাজ করছে। বিশেষ করে বিদেশি ক্রিকেটাররা উদ্বিগ্ন। এর আগে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, তারা ক্রিকেটার ফিরিয়ে নিতে প্রস্তত।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ ত কর

এছাড়াও পড়ুন:

আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত দ্রুত না এলে আবারও ‘মার্চ টু ঢাকা’: নাহিদ ইসলাম

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে আবারও ‘মার্চ টু ঢাকা’র মতো কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

শুক্রবার (৯ মে) চলমান ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচির মধ্যেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা ফেসবুক পোস্টে বলেন, শাহবাগের অবস্থান চলমান থাকবে। দলমত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগ ও দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে জুলাইয়ের সকল শক্তি এক থাকবে এটাই প্রত্যাশা। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্লকেড চালু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না এলে সমগ্র বাংলাদেশ আবারও ঢাকা শহরে মার্চ করবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী, জুলাই বিরোধী, গণতন্ত্র বিরোধী, ইসলাম বিরোধী, নারী বিরোধী, মানবতা বিরোধী ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী মুজিববাদী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণে বাংলাদেশপন্থি সকল শক্তি ঐক্যবদ্ধ হই।

২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির মধ্য দিয়েই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত পতন হয়েছিল।

৮ মে রাত থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন। রাত পেরিয়ে শুক্রবার দুপুরেও এনসিপির নেতাকর্মীরা যমুনার প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে শুক্রবার বিকেলে থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে রাজধানীর শাহবাগ মোড়। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চলছে ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ