ভারত-পাকিস্তানের সামরিক উত্তেজনা এবার বড় ধাক্কা দিয়েছে ক্রিকেটে। যুদ্ধাবস্থার কারণে এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত হয়েছে আইপিএল। এই পরিস্থিতিতে বাতিল হয়ে যেতে পারে ভারতের বাংলাদেশ সফর ও এশিয়া কাপ। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগস্ট-সেপ্টেম্বরে এই দুই সিরিজের সময়টিকে আইপিএলের বাকি অংশ শেষ করতে ব্যবহার করতে চায় বিসিসিআই।

এফটিপির সূচি অনুযায়ী, আগস্টে বাংলাদেশ সফরে তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল ভারতের। সেপ্টেম্বরে ভারতের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এশিয়া কাপও। যদিও চুক্তি অনুযায়ী হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তানের খেলা শ্রীলঙ্কার মাটিতে হওয়ার কথা। কিন্তু যুদ্ধের কারণে দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় এশিয়া কাপের আয়োজন নিয়ে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন পড়ে যাচ্ছে। বিসিসিআই এই সিরিজগুলো নিয়ে অনাগ্রহী।

এদিকে, পাকিস্তান সফর নিয়েও অনিশ্চয়তায় রয়েছে বাংলাদেশ। চলতি মাসেই পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যাওয়ার কথা ছিল টাইগারদের। কিন্তু নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে তা নিয়ে চিন্তিত বিসিবি। শারজাহতে দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচের কথাও ছিল, তবে পিএসএল সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়ায় সেই পরিকল্পনাও অনিশ্চিত। ১৭ ও ১৯ মে আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ খেলার কথা বাংলাদেশের।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আ.লীগকে নিষিদ্ধ করে গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করতে হবে

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে গণহত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। শুক্রবার বগুড়ায় এক গণসমাবেশে এ দাবি জানান তিনি।

ইসলামবিরোধী নারী নীতি বাতিল, শাপলা ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, দুর্নীতিবাজদের বিচার এবং নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বগুড়া জেলা শাখা এ গণসমাবেশের আয়োজন করে।

ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘গত জুলাই-আগস্টসহ বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের অপরাধের ব্যাপকতা ও মাত্রা এত বেশি যে আওয়ামী লীগকে আর রাজনৈতিক দল বলা যায় না। এটা বরং ভয়ংকর অপরাধীদের একটি চক্র। তাই এদের রাজনীতি করতে দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। এদের রাজনীতি করতে দেওয়ার মানে একটি ভয়ংকর অপরাধী চক্রকে আবারও নির্মমতা চালানোর সুযোগ করে দেওয়া।’

মুফতি রেজাউল করীম বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই জরুরি। তবে মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন অর্থবহ কোনো কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারবে না।

এ সময় ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব কোরআন-হাদিস ও এ দেশের মানুষের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। এই কমিশন বাতিল করতেই হবে।  

মুফতি রেজাউল করীম আরও বলেন, ‘মিয়ানমারকে মানবিক করিডরের প্রস্তাব আমাদের সন্দিহান করে তুলেছে। কারণ, জাতিসংঘ ১৩ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ