চলতি আইপিএল আসরের বাকি ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজন করতে চেয়েছিল ভারত। তবে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে আমিরাত। কারণ, একই সময় পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) আয়োজনের জন্য আগে থেকেই দুবাইয়ের ভেন্যু বুকিং দিয়ে রেখেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ফলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পিএসএলের বাকি ম্যাচগুলোই আয়োজন করবে তারা।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিসিসিআই আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজনের অনুরোধ জানিয়ে। কিন্তু ইসিবি সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেয়, তারা ইতিমধ্যেই দুবাইয়ের মাঠ বরাদ্দ দিয়েছে পিএসএল’র জন্য।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে পিসিবি পিএসএলের বাকি ম্যাচগুলো আমিরাতে আয়োজনের বিষয়টি চূড়ান্ত করে এবং এর কিছুক্ষণ পরেই বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে। ইসিবি জানায়, যেহেতু নির্ধারিত সময় ও ভেন্যু আগে থেকেই পিএসএলের জন্য বুকিং রয়েছে, তাই আইপিএলের জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ করা সম্ভব নয়। এতে করে আইপিএলের বাকি অংশ কোথায় হবে, তা এখন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

আরো পড়ুন:

ব্ল্যাকআউট: মাঝপথে হঠাৎ বন্ধ ধর্মশালার আইপিএল ম্যাচ

রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে ড্রোন হামলা, পিএসএলের ভেন্যু বদল

এমন পরিস্থিতিতে ভারত বিকল্প ভাবছে। সেপ্টেম্বর মাসে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো আয়োজনের চেষ্টা করতে পারে তারা। তবে সে সময় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে এশিয়া কাপ-২০২৫। ফলে দুই বড় টুর্নামেন্টের সময় ও লজিস্টিক মেলানো নিয়ে সৃষ্টি হতে পারে জটিলতা।

এদিকে পিসিবি নিশ্চিত করেছে, পিএসএল এর বাকি ম্যাচগুলো (প্লে-অফ ও ফাইনালসহ) স্থানীয় পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তান থেকে সরিয়ে আনা হচ্ছে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতেই হবে। দর্শকদের আশ্বস্ত করে তারা জানিয়েছে, খুব শিগগিরই নতুন সময়সূচি ও ভেন্যুর ঘোষণা দেওয়া হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডিতে পেশাওয়ার জালমি ও করাচি কিংসের মধ্যকার ম্যাচটি শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে টস বাতিল করে ম্যাচ স্থগিত করা হয় নিরাপত্তাজনিত কারণে। আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তাকেই তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।

পিএসএলের এবারের আসরের চূড়ান্ত পর্ব চলছে। লিগ পর্বে বাকি মাত্র চারটি ম্যাচ। এরপর শুরু হবে চারটি প্লে’অফ ম্যাচ। উত্তেজনা, অনিশ্চয়তা ও নাটকীয়তায় মোড়ানো এক জমজমাট সমাপ্তির দিকে এগোচ্ছে পিএসএলের এবারের আসর।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প এসএল র এল র ব ক র জন য আম র ত

এছাড়াও পড়ুন:

দলের দুই পক্ষের বিরোধ মেটাতে যাচ্ছিলেন সালিস বৈঠকে, পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু বিএনপি নেতার

দলের দুটি পক্ষের মধ্যে হাতিহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনায় বিরোধ মীমাংসায় ডাকা হয়েছিল সালিস বৈঠক। সে বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ফেনীর পরশুরামের বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার (৫৮)। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর এক সহযোগী।

পারভেজ মজুমদার ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের নিজকালিকাপুর গ্রামের সাদেক মজুমদারের ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার দুপুরে নিজকালিকাপুর গ্রামে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের চারজন আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরশুরাম উপজেলা সদরে সন্ধ্যায় একটি সালিস বৈঠকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। সালিসে যোগ দিতে স্থানীয় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার ও তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ হারুন মোটরসাইকেলে নিজকালিকাপুর থেকে পরশুরাম যাচ্ছিলেন। তাঁদের বহন করা মোটরসাইকেলটি সুবার বাজার-পরশুরাম সড়কের কাউতলী রাস্তার মাথায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী দুজন গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পারভেজের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে পরিবারের সদস্যরা রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদারের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ বাড়ি নিয়ে যায় স্বজনরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ