দিল্লি স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিতে তোলপাড়
Published: 9th, May 2025 GMT
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার আঁচ এবার পৌঁছে গেল দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম পর্যন্ত। ঠিক সেই সময়েই, যখন নিরাপত্তাজনিত কারণে আইপিএল-২০২৫ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। দিল্লির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম ঘিরে ছড়িয়ে পড়ল বিস্ফোরক আতঙ্ক।
শুক্রবার (০৯ মে) সকালবেলায় ডিডিসিএ (দিল্লি ও জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন) উড়ো চিঠির মতো এক ই-মেইল পায়। যেখানে স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়। মেইলটি পাওয়ার পরই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দিল্লি পুলিশকে অবহিত করা হয় এবং স্টেডিয়ামে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
ডিডিসিএর এক সিনিয়র কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, “এটা কোনো সাধারণ হুমকি নয়। আমরা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিয়েছি এবং পুলিশ ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় তল্লাশি ও নিরাপত্তা জোরদার করেছে।”
আরো পড়ুন:
আজীবন সম্মাননা পেয়ে শচীন: কখনো অ্যালকোহল বা তামাকের বিজ্ঞাপন করিনি
পাকিস্তানে যাবে না ভারত, নিরপেক্ষ ভেন্যুর দাবি
ইমেইলটির ভাষা ছিল বেশ ভয়াবহ ও পরিকল্পিত। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ভারতজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানপন্থী ঘুমন্ত ‘স্লিপার সেল’ সক্রিয় রয়েছে এবং তারা ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামের একটি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভারতীয় স্থাপনায় আঘাত হানতে প্রস্তুত।
এই স্টেডিয়ামটি দিল্লি ক্যাপিটালসের হোম ভেন্যু এবং আগামী ১১ মে গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এখানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই এমন হুমকির ঘটনায় ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে পুরো পরিস্থিতিতে।
এর আগের দিন ধর্মশালায় দিল্লি ও পাঞ্জাবের মধ্যকার ম্যাচ চলাকালীন আকস্মিক বিমান হুমকির সংকেত পাওয়া যায়। যার কারণে খেলা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আসলো দিল্লি স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়ার বার্তা।
বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি দেবজিত সাইকিয়া বলেন, “এই মুহূর্তে দেশের স্বার্থই সবার আগে। জাতীয় নিরাপত্তা ও সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা থেকেই আইপিএল স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, বাকি থাকা ১৬টি ম্যাচ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে, তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে আলোচনা করে পরে জানানো হবে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দলের দুই পক্ষের বিরোধ মেটাতে যাচ্ছিলেন সালিস বৈঠকে, পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু বিএনপি নেতার
দলের দুটি পক্ষের মধ্যে হাতিহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনায় বিরোধ মীমাংসায় ডাকা হয়েছিল সালিস বৈঠক। সে বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ফেনীর পরশুরামের বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার (৫৮)। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর এক সহযোগী।
পারভেজ মজুমদার ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের নিজকালিকাপুর গ্রামের সাদেক মজুমদারের ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার দুপুরে নিজকালিকাপুর গ্রামে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের চারজন আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরশুরাম উপজেলা সদরে সন্ধ্যায় একটি সালিস বৈঠকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। সালিসে যোগ দিতে স্থানীয় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার ও তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ হারুন মোটরসাইকেলে নিজকালিকাপুর থেকে পরশুরাম যাচ্ছিলেন। তাঁদের বহন করা মোটরসাইকেলটি সুবার বাজার-পরশুরাম সড়কের কাউতলী রাস্তার মাথায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী দুজন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পারভেজের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে পরিবারের সদস্যরা রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদারের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ বাড়ি নিয়ে যায় স্বজনরা।