আগস্টে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ভারতের। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রোহিত শর্মা–বিরাট কোহলিদের সফরটি আটকে যেতে পারে। স্থগিত হয়ে যেতে পারে সেপ্টেম্বর সূচিতে থাকা এশিয়া কাপও।

ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বাংলাদেশ সফর ও এশিয়া কাপের বিষয়ে নেতিবাচক অবস্থান নিয়েছে বিসিসিআই। ওই সময়ে স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএলের বাকি ম্যাচ আয়োজন করা হতে পারে।

ভারত ও পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে আইপিএলের ১৮তম আসর স্থগিত করা হয়েছে আজ। ভারতের ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, এই স্থগিতাদেশ এক সপ্তাহের জন্য। তবে শিগগিরই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি চালুর সম্ভাবনা ক্ষীণ। বৃহস্পতিবার রাতে ধর্মশালায় পাঞ্জাব–দিল্লি ম্যাচের সময়ের ঘটনায় ক্রিকেটাররা অস্বস্তির মধ্যে আছেন।

গত মাসে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলার জেরে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তান প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে—এমন শঙ্কার মধ্যে বৃহস্পতিবার ধর্মশালায় আইপিএলের ম্যাচ খেলতে নামে পাঞ্জাব কিংস–দিল্লি ক্যাপিটালস।

আরও পড়ুনআইপিএল আয়োজন করতে রাজি হয়নি আরব আমিরাত২ ঘণ্টা আগে

ম্যাচের মাঝপথে স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট নিভিয়ে দেওয়া হয়। পরে জানানো হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে ম্যাচ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, ওই একই সময়ে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তে একাধিক হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ধর্মশালায় আকস্মিক খেলা বন্ধের পর পাঞ্জাব ও দিল্লির খেলোয়াড়েরা স্তম্ভিত অবস্থায় ছিলেন। আজ ভোরে তাঁরা ধর্মশালা ছেড়ে যান। এমন পরিস্থিতিতে এবারের আসরে আইপিএলের বাকি ১৬ ম্যাচ পিছিয়ে যেতে পারে কয়েক মাস।

আরও পড়ুননরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের পর এবার অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি৪৬ মিনিট আগে

সূচি অনুসারে চলতি মাসেই আইপিএল শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। এরপর ভারত ক্রিকেট দল ইংল্যান্ডে রওনা হবে জুনের প্রথম সপ্তাহে। সেখানে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলার পর ভারতের পরবর্তী সফর ছিল বাংলাদেশে। এখন আইপিএলের বাকি ম্যাচ আয়োজনের জন্য সময় বের করতে হলে বাংলাদেশ সফরের ওই সময়েই নজর দিতে হবে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, এমনকি যদি আইপিএলের বাকি অংশ ভারতের বাংলাদেশ সফর এবং এশিয়া কাপের আগে শেষও হয়ে যায়, তবু এই সফর এবং এশিয়া কাপ বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বিসিসিআই এই অবস্থানে কোনোভাবে নমনীয় হওয়ার মনোভাব দেখাবে না বলেই টাইমস অব ইন্ডিয়ার সূত্রের খবর।

ভারত ক্রিকেট বোর্ডের এই মুহূর্তের লক্ষ্য হচ্ছে সব খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের নিরাপদ ও আতঙ্কমুক্ত রাখা, বিশেষ করে বৃহস্পতিবার রাতে ধর্মশালার ঘটনার পর।

আরও পড়ুনবাংলাদেশের পাকিস্তান সফর তাহলে কি পিছিয়েই যাচ্ছে১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল দ শ সফর

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়র হওয়ার দৌড়ে আরও এগোলেন মামদানি 

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে নির্বাচনে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন কুইন্স কাউন্টির জনপ্রিয় ডেমোক্রেটিক নেতা জোহরান মামদানি। তিনি প্রার্থিতার দৌড়ে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাথমিক নির্বাচনেও জিতেছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোকে ৭০ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন। আগামী ৪ নভেম্বর মেয়র পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। 

নিউইয়র্কের দুটি শক্তিশালী শ্রমিক ইউনিয়ন ও নার্সদের বৃহৎ সংগঠন মামদানিকে সমর্থন দিয়েছে। সংগঠনগুলো হলো– হোটেল অ্যান্ড গেমিং ট্রেডস কাউন্সিল (এইচটিসি), সার্ভিস এমপ্লয়িজ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন (এসইআইইউ, ৩২বিজে) এবং নিউইয়র্ক স্টেট নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (এনওয়াইএসএনএ)। নিউইয়র্ক শহরে ৩২ বিজে এসইআইইউর ৮০ হাজার, এইচটিসির ৪০ হাজার ও এনওয়াইএসএনএর ৩০ হাজার সদস্য রয়েছে।   

এসব সংগঠনের নেতারা বলছেন, ভোটে তারা গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক নেতা মামদানির পক্ষে কাজ করবেন, যিনি প্রচারণায় শ্রমিকদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। নভেম্বরের নির্বাচনে বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামসের বিপরীতে তারা মামদানিকে বেছে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।   

হোটেল অ্যান্ড গেমিং ট্রেডস কাউন্সিলের সভাপতি রিচ মারোকো বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে, সদস্যদের যে কোনো সমস্যায় মামদানি আমাদের পাশে থাকবেন। এ জন্যই আমরা তাঁকে নিউইউয়র্কের মেয়র হিসেবে দেখতে চাই।’ অ্যান্ড্রু কুওমোকে সমর্থনকারী কিছু শ্রমিক নেতাও বলেছেন, শ্রমিকদের স্বার্থের পক্ষে মামদানির যেসব প্রচেষ্টা রয়েছে, তাতে আমরা কুওমোর শিবির ত্যাগ করতে রাজি আছি। 

সংগঠনগুলোর সমর্থন পাওয়ার পর মামদানি বলেন, ‘শ্রমজীবী মানুষ প্রতিদিন লড়াই করে। আমি তাদের সমর্থন পেয়ে সম্মানিত। শ্রমজীবীরা সামর্থ্য অনুযায়ী চাকরি পাওয়ার যোগ্য। তাদের মর্যাদা ধরে রাখাই লড়াইয়ে আমার সমর্থন ঘোষণা করছি।’ 

ডেমোক্রেটিক নেতা ক্যাথি হোচুল, সিনেটর চাক শুমার, প্রতিনিধি হাতিক জেফ্রিসসহ রাজ্যের বেশির ভাগ নেতা মামদানিকে প্রকাশ্যে সমর্থন না দিলেও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। অবশ্য প্রাইমারিতে বিজয়ের পর মেয়র অ্যাডামসের তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছেন মামদানি। ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস শোতে তিনি মামদানিকে ‘সাপের তেল বিক্রেতা’ বলে নিন্দা করেন। সিএনএন উপস্থাপক ডন লেমন মেয়রকে জিজ্ঞাসা করেন, মামদানিকে তিনি ইসরায়েলবিরোধী বলে মনে করেন কিনা। মেয়র জবাবে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি তা মনে করি।’ গত বছরের অক্টোবরে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন মামদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ