Prothomalo:
2025-08-08@22:36:05 GMT

আইপিএলের পর পিএসএলও স্থগিত

Published: 9th, May 2025 GMT

স্থগিত হয়ে গেল পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) পিএসএলের বাকি থাকা আট ম্যাচ স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে।

যদিও এর আগে আজই পিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, পিএসএলের বাকি ম্যাচগুলো সংযুক্ত-আরব-আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে। তবে এখন ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় কারণ দেখিয়ে বাকি আট ম্যাচ স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে পিসিবি। ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগ আইপিএলও এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।

পিসিবির দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণ রেখায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ভারতে থেকে ছোড়া ৭৮টি ড্রোন সীমান্ত অতিক্রম করেছে এবং ভূমি থেকে ভূমিতে আঘাত হানার ক্ষেপণাস্ত্রও ছোড়া হয়েছে।’

পিবিবির বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহবাজ শরিফের পরামর্শ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতের এই বেপরোয়া আগ্রাসন এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে পুরো জাতির দৃষ্টি ও আবেগ এখন দেশের সাহসী সশস্ত্র বাহিনীর দিকে—যাঁরা নির্ভীকভাবে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় লড়ছেন। পিসিবি এবং খেলোয়াড়রা শহীদ পরিবারের সদস্যদের এবং জাতির সুরক্ষায় নিয়োজিত নিরাপত্তাকর্মীদের প্রতি দৃঢ় সংহতি প্রকাশ করছে।’

গতকাল রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে করাচি কিংস ও পেশোয়ার জালমির মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ড্রোন হামলায় স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর জরুরি বৈঠক শেষে ম্যাচটি আর হয়নি। এরপরই আসে আরব-আমিরাতে সূচি পুনঃ নির্ধারণ করে খেলার কথা। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি আপাতত হচ্ছে না।

আইপিএল স্থগিতের সিদ্ধান্তও এসেছে আজ। আইপিএল আপাতত স্থগিত থাকছে এক সপ্তাহ।  বিসিসিআই তাদের অফিশিয়াল বিবৃতিতে বলেছে, ‘ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) আইপিএল ২০২৫ তাৎক্ষণিকভাবে এক সপ্তাহ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের পরামর্শ নিয়ে নতুন সূচি ও ভেন্যুর বিষয়ে পরবর্তীতে জানানো হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তীব্র অপুষ্টিতে ১২ হাজার শিশু

ফিলিস্তিনের গাজায় খাদ্যসংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী শিশুরা। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে খাবার না পেয়ে শিশুমৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে, গাজায় এখন পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। আর চলতি বছরের শুরু থেকে অনাহারে মৃত্যু হয়েছে ৯৯ ফিলিস্তিনির। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জনই শিশু।

শিশুদের দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টি নিয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় পাঁচ বছরের নিচের ২ লাখ ৯০ হাজার শিশুর মধ্যে মাত্র ৮ হাজার ৭০০ শিশুকে প্রয়োজনীয় খাবার ও পুষ্টি উপকরণ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে ডব্লিউএইচওর সদর দপ্তরে মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, জুলাই মাসে গাজায় পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশুকে শনাক্ত করা হয়েছে, যারা তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করা তথ্য অনুযায়ী, এটিই এক মাসে সর্বোচ্চসংখ্যক শিশুর অনাহারে থাকার ঘটনা।

তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস

সম্পর্কিত নিবন্ধ