ভারত-পাকিস্তান বিরোধের জেরে এবার স্থগিতই হয়ে গেল পিএসএল। এর আগে গতকাল পিএসএলের একটি ম্যাচ স্থগিত করার পর টুর্নামেন্টটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জানিয়েছে, পিএসএলের বাকি থাকা ৮ ম্যাচ আর হচ্ছেই না। নির্দিষ্ট কোনো সময়ের জন্য নয়, পিএসএল স্থগিত করা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। এর আগে পাকিস্তান-ভারত রাজনৈতিক উত্তেজনার জেরে এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয় ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ আইপিএল।
পিসিবির দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণ রেখায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ভারতে থেকে ছোড়া ৭৮টি ড্রোন সীমান্ত অতিক্রম করেছে এবং ভূমি থেকে ভূমিতে আঘাত হানার ক্ষেপণাস্ত্রও ছোড়া হয়েছে।’
পিসিবির বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহবাজ শরিফের পরামর্শ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতের এই বেপরোয়া আগ্রাসন এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে পুরো জাতির দৃষ্টি ও আবেগ এখন দেশের সাহসী সশস্ত্র বাহিনীর দিকে, যারা নির্ভীকভাবে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় লড়ছেন। পিসিবি এবং খেলোয়াড়রা শহীদ পরিবারের সদস্যদের এবং জাতির সুরক্ষায় নিয়োজিত নিরাপত্তাকর্মীদের প্রতি দৃঢ় সংহতি প্রকাশ করছে।’
বিবৃতিতে পিএসএলের সঙ্গে জড়িত সকল পার্টনার, ফ্র্যাঞ্চাইজি, খেলোয়াড়, ব্রডকাস্টার, স্পন্সর এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়েছে পিসিবি। খুব দ্রুতই খেলাধুলা আবার মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে এমন আশ্বাসও দেয়া হয়েছে। বিদেশি খেলোয়াড়দের তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারেও সংকল্পের কথা জানিয়েছে পিসিবি।
পিএসএলে বাংলাদেশ থেকে খেলতে গিয়েছিলেন নাহিদ রানা এবং রিশাদ হোসেন। এছাড়া নাহিদ-রিশাদদের খেলা কভার করতে সেখানে ছিলেন ২ জন বাংলাদেশি ক্রীড়া সাংবাদিকও। তাদের সবাইকে একসঙ্গে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে আজ। পাকিস্তান থেকে দুবাই হয়ে দেশে ফিরছেন তারা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানকে ভেন্যু দিয়ে ভারতকে 'না' বলল আরব আমিরাত
পাকিস্তানকে ভেন্যু দিয়ে ভারতকে ‘না’ করে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ফলে আপাতত বন্ধ হয়ে গেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) আইপিএল আয়োজনের বিকল্প পরিকল্পনা।
ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই পিএসএল-এর বাকি অংশ পাকিস্তান থেকে সরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পিসিবি। শুরুতে করাচিতে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চাইলেও বিদেশি ক্রিকেটারদের আপত্তিতে সেই পরিকল্পনা বাতিল হয়। নিরাপত্তার শঙ্কা দূর করতে দ্রুত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেয়া হয় পিএসএল।
বিপরীতে, নিরাপত্তা হুমকির কারণে ধর্মশালায় মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ। এরপর বিসিসিআইও চেয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন করতে। কিন্তু এরই মধ্যে পিএসএলের জন্য আমিরাতের মাঠ বরাদ্দ হয়ে যাওয়ায় ভারতকে ‘না’ বলে দেয় ইসিবি (ইমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড)।
জিও সুপারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইপিএল আয়োজনে আগ্রহী ভারত আরব আমিরাতকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে পূর্বে হওয়া চুক্তি দেখিয়ে আমিরাত জানিয়ে দেয়, তারা আর আইপিএল আয়োজন করতে পারবে না।
ফলে আরব আমিরাতে মাঠ না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে এক সপ্তাহের জন্য আইপিএল স্থগিত করেছে বিসিসিআই। বিসিসিআই এখন সেপ্টেম্বরের ফাঁকা উইন্ডোতে আইপিএল আয়োজন করতে চাইলেও তখন এশিয়া কাপ থাকায় সেটাও অনিশ্চিত। বিকল্প হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আলোচনা করছে ভারত। সবকিছু ঠিক থাকলে সেখানেই গড়াতে পারে বাকি ম্যাচগুলো।