পয়েন্টম্যানের ভুল সিগন্যাল দেওয়ার কারণে ঢাকা থেকে খুলনাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি কোচ ভাঙ্গা বামনকান্দা জংশন এলাকায় লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বেনাপোল ও ঢাকা-রাজবাড়ী রুটে ট্রেন চলাচল ১২ ঘণ্টা ধরে বন্ধ রয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টা ১০ মিনিটের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে দুর্ঘটনার সময় ৬০০-৭০০ যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

আজ শনিবার সকাল থেকেই লাইনচ্যুত কোচ দুটি উদ্ধারে ঈশ্বরদী ও খুলনা থেকে দুটি রিলিফ ট্রেন ও ক্রেনসহ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা হাচিনা খাতুন বলেন, গতকাল রাত থেকে লাইনচ্যুত কোচ দুটি উদ্ধারে রাজবাড়ী ও খুলনা থেকে দুটি ক্রেন এনে লাইন সচল করতে কাজ করছি। পয়েন্টম্যানের ভুলের কারণে তাকে (নজরুল ইসলাম) বরখাস্ত করা হয়েছে। সে কতৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমতি না নিয়েই সিগনাল বা পয়েন্ট চেন্স করেছে। ভুল করার বিষয় সত্যতা পেয়েছি। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তবে আশা করছি, দুপুর নাগাদ লাইনটি সচল করা সম্ভব হবে।

ভাঙ্গা জংশনের সহকারী রেল স্টেশন মাস্টার সুমন বাড়ৈ বলেন, ঢাকা থেকে খুলনাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসটি ভাঙ্গা রেল জংশন থেকে বের হওয়ার কিছুদূর পরে গিয়ে ইঞ্জিনসহ একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। সামনের ইঞ্জিন এবং লাগেজ ভ্যান দুইটি এক লাইন থেকে অন্য লাইনের ওপর চলে যায়। পয়েন্ট ম্যান নজরুল ইসলামের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গতকাল রাত ৯টা ১০ মিনিট থেকে এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাজবাড়ী ও খুলনা থেকে উদ্ধারকারী ক্রেনসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজ করছেন। দুপুরের মধ্যে লাইনটি সচল করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

ভাঙ্গা বামনকান্দা রেল জংশনের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খায়রুজ্জামান সিকদার জানান, ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়াতে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাতে সকল যাত্রী বিভিন্ন পরিবহনে চলে গিয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট র ন ল ইনচ য ত ল ইনচ য ত র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

পশ্চিমবঙ্গে আরো ২৬ বাংলাদেশি জেলে গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের অভিযোগে আরো ২৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে তাদের মাছ ধরার ট্রলারটিও। 

রবিবার গভীর রাতে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ার অভিযোগে তাদের আটক করে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য রবিবার রাতে তাদের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন

সৌদিতে বাস-ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষে ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী নিহত

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মাঝ সমুদ্রে মাছ ধরতে এসে পথ হারিয়ে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ে ওই বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা। 

এর আগে, শনিবার রাতে, ২৯ জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হয়েছিল এবং তাদের সোমবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। এখন, আবারও, রবিবার ভোরে, আরো ২৬ জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হলো।

যদিও বাংলাদেশ সরকার বারবার অভিযোগ করেছে যে, ভারতীয় জেলেরা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো দেখায় যে বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করছে এবং ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করছে। ফলে উপকূলীয় সীমান্ত এলাকায় নজরদারি জোরদার করেছে কোস্টগার্ড এবং পুলিশ প্রশাসন।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ