আইপিএল এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি বলছে, এটি আসলে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই ও আইপিএল কর্তৃপক্ষ টুর্নামেন্ট শুরু করতে প্লান বি প্রস্তুত করছে। তবে সেই প্লান বি আলোর মুখ দেখার আগেই আইপিএলে অংশ নেওয়া বিদেশি ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফরা ভারত ছাড়তে শুরু করেছেন। 

বিসিসিআই এক সপ্তাহ পরই আইপিএল শুরুর চেষ্টা করছে বলে জানানো হয়েছে। দেশটির দক্ষিণের তিন শহর চেন্নাই, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদে বাকি ম্যাচগুলো খেলাতে চায় তারা। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকারা এই পরিস্থিতিতে এখনই আইপিএল পুনরায় মে’র মধ্যে শুরু সম্ভব নয় ধরে নিয়েছে। ক্রিকেটারদের তেমনই বার্তা দেওয়া হয়েছে। 

মে’র মধ্যে আইপিএল শেষ করা না গেলে বাকি অংশ আগস্ট-সেপ্টেম্বরে হতে পারে। সংবাদ মাধ্যম ক্রিকইনফো এমনই দাবি করেছে। তারা জানিয়েছে, ১১ জুন ওর্য়াল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল থাকায় মে’র মধ্যে টুর্নামেন্ট শেষ না করা গেলে তারা আসবেন না। আবার জুনে ভারতের ইংল্যান্ড সফর আছে। 

ফ্র্যাঞ্জাইজি মালিকরা এখনই আইপিএল শুরু হচ্ছে না ধরে নিলেও এটাও জানিয়েছেন, আইপিএল মে’র তৃতীয় সপ্তাহের পর পরই শুরু করা গেলে বিদেশি ক্রিকেটাররা ফিরে আসবেন। তারা এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েই ভারত ছাড়ছেন।  

আইপিএলে ১২টি লিগ ম্যাচ বাকি আছে। প্লে অফ ও ফাইনাল মিলিয়ে আছে ১৬ ম্যাচ। ইএসপিএন দাবি করেছে, বাকি ম্যাচগুলো ভারত নিজ দেশেই আয়োজনের চেষ্টা করছে। সেক্ষেত্রে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরকে সম্ভাব্য সময় ধরে রাখা হয়েছে। আগস্টে ভারতের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা আছে। নিরাপত্তা অজুহাতে ওই সফর ভারত বাতিল করতে পারে বলে এরই মধ্যে খবর এসেছে। পাকিস্তানকে নিয়ে সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপও আয়োজন করতে রাজি নয়। ওই সময়টা আইপিএল শেষ করতে চায় ভারত। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব স স আই

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর এখনই স্থগিত নয়

কাল রাতে পাকিস্তানের ছয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। জবাবে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের। কাল দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে নিজেদের বিচার-বিবেচনা অনুযায়ী ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্ণ অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে।

তবে কি দুই দেশের যুদ্ধটা শেষ পর্যন্ত লেগেই গেল? বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) এ ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। আমিরাতের সঙ্গে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলতে ১৪ মে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। সেখান থেকেই তাদের পাকিস্তানে যাওয়ার কথা লাহোর ও ফয়সালাবাদে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে। কিন্তু বর্তমান যুদ্ধাবস্থায় বিসিবি পাকিস্তানে দল পাঠাবে কি না, সেই প্রশ্নটাই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ এবং আরও তিন-চারজন পরিচালক আজ সন্ধ্যায় এ নিয়েই জরুরি সভায় বসেছিলেন মিরপুরের বোর্ড কার্যালয়ে। তবে সভায় পাকিস্তান সফর এখনই স্থগিত করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিসিবি চাইছে আরও কয়েক দিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে।

সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানে ভারতের আক্রমণকে এখন পর্যন্ত বিসিবি দেখছে পেহেলগামে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২৬ পর্যটক হত্যার ঘটনার ‘একমাত্র’ প্রতিশোধ হিসেবে। এটি শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত যুদ্ধে রূপ নেবে না এবং পরিস্থিতি বাংলাদেশ দলের পাকিস্তানে যাওয়ার আগেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে তাদের আশা। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানে খেলতে যেতে কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করে বোর্ড। তবে পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ থাকলে বিসিবি হয়তো পাকিস্তানে দল না পাঠানোরই সিদ্ধান্ত নেবে।

পাকিস্তানে আপাতত দল না পাঠানো হলে আমিরাত সফরটি হবে কি না, সেটিও একটি প্রশ্ন। দুই টি-টোয়েন্টির এই সিরিজের সূচিই যে করা হয়েছিল বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর মাথায় রেখে! পাকিস্তানে দল যাবে দুবাই হয়ে, কাজেই যাওয়ার পথে সেখানে দুটি ম্যাচ খেলাই যায়—এই ছিল ভাবনা। তবে যদি পাকিস্তান সফরই না হয়, সে ক্ষেত্রে দুবাইয়ে মে মাসের প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সিরিজ না খেলে পরে কোনো এক সময়েও খেলা যেতে পারে বলে মনে করেন কেউ কেউ।

পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে বিসিবির সর্বশেষ অবস্থান জানতে চাইলে আজ রাতে ফারুক আহমেদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ১০ মে পর্যন্ত পাকিস্তানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব। এরপর আবার বসব এবং পাকিস্তানে দল পাঠানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’ বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সঙ্গে বিসিবি যোগাযোগ রাখছে বলেও জানান তিনি।

পিএসএলে খেলতে বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থান করা বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন আর নাহিদ রানার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে সভায়। তাঁদের নিরাপত্তার ব্যাপারে ফারুক আহমেদ নিজে পিএসএলের প্রধান নির্বাহী সালমান নাসিরের সঙ্গে কথা বলেছেন, কথা বলেছেন লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলতে যাওয়া রিশাদ এবং পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলতে যাওয়া নাহিদ রানার সঙ্গেও।

বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, রিশাদ ও নাহিদ দুজনই তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, তাঁদের এখন পর্যন্ত সেখানে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। ‘দুজনই আমাকে বলেছে তারা ভালো আছে এবং সেখানে থাকতে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হচ্ছে না’— বলেছেন ফারুক। জানা গেছে, যেহেতু কোনো দেশের বোর্ডই এখনো পিএসএল থেকে তাদের খেলোয়াড়দের ফিরিয়ে নেয়নি, পরিস্থিতি খুব বেশি খারাপ না হলে বিসিবি আগ বাড়িয়ে সে রকম সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না।

আজ এক বিবৃতিতে পিসিবি জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতেও পিএসএল নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চলবে। পরশু রাওয়ালপিন্ডিতে মুখোমুখি হবে রিশাদ ও নাহিদ রানার দল। এই ম্যাচে হেরে যাওয়া দল ছিটকে যেতে পারে টুর্নামেন্ট থেকেও। সে ক্ষেত্রে ফ্লাইট পেলে ম্যাচটির পরই দেশে ফিরতে পারবেন দুজনের একজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এখনই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা ভাবছে না পাকিস্তান: খাজা আসিফ
  • প্ল্যান বি’র প্রস্তুতি নিলেও আইপিএল ছাড়ছেন বিদেশিরা 
  • বালাম বললেন, কী করেছি, এখনই কিছু বলতে চাই না...
  • বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর এখনই স্থগিত নয়