নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে, আহত ২০
Published: 11th, May 2025 GMT
হাটহাজারীতে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ২নং গেইটের পরে ১১ মাইল নামক এলাকায় হাটহাজারী-অক্সিজেন আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালের দিকে চট্টগ্রামের অক্সিজেন বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রী নিয়ে ফটিকছড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। বাসটি দুর্ঘটনাস্থল অতিক্রম করার সময় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের অন্তত বিশ জন যাত্রী আহত হন৷ পরে আশপাশের লোকজন ও পরে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠান।
হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মাসুমা আকতার জানান, বাস দুর্ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় এবং অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
রাউজান হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুল্লাহ হাওলাদার আসাদ জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এ দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কি কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে জানানো হবে। আর দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি জব্দ করে এ ব্যাপারে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন আহত দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
সাবধান! ভুয়া চাকরির প্রলোভনে ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে হ্যাকাররা
লিংকডইনসহ পেশাদার কর্মীদের বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ভুয়া চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নতুন করে কম্পিউটারে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে উত্তর কোরিয়ার একদল হ্যাকার। ‘বিভারটেইল’ ও ‘ইনভিজিবলফেরেট’ নামের ম্যালওয়্যারগুলো কাজে লাগিয়ে দূর থেকে সুপরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কম্পিউটার থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করছে তারা।
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সকেট থ্রেট রিসার্চ জানিয়েছে, ভুয়া চাকরির প্রলোভনে এ ম্যালওয়্যার ছড়ানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে হ্যাকাররা প্রথমে নিজেদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তা পরিচয় দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা সফটওয়্যার নির্মাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর ‘টেস্ট প্রজেক্ট’ বা ‘কোডিং অ্যাসাইনমেন্ট’–এর নামে একটি গুগল ডক ফাইল পাঠায়। ফাইলটিতে ওপেন সোর্স মাধ্যম এনপিএমে (নোড প্যাকেজ ম্যানেজার) ৩৫টি ক্ষতিকর প্যাকেজ যুক্ত থাকায় নামালেই কম্পিউটারে বিভারটেইল ও ইনভিজিবলফেরেট ম্যালওয়্যার ইনস্টল হয়ে যায়। এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটারে থাকা সব তথ্য সংগ্রহ করে হ্যাকারদের কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সার্ভারে পাঠাতে থাকে ম্যালওয়্যারগুলো।
বিভারটেইল ম্যালওয়্যার মূলত ব্রাউজারে সংরক্ষিত কুকি, পাসওয়ার্ড ও ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটের তথ্য চুরি করার পাশাপাশি নতুন ম্যালওয়্যার ইনস্টলের সুযোগ তৈরি করে। ফলে সহজেই দূর থেকে কম্পিউটারে থাকা ফাইল সংগ্রহ, পর্দার ছবি তোলা, কি-বোর্ডের ব্যবহার নজরদারি করাসহ পুরো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, হ্যাকাররা ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা না করেই বড় পরিসরে আক্রমণ চালাচ্ছে। তাই এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। ম্যালওয়্যার হামলা থেকে নিরাপদে থাকতে অচেনা উৎস থেকে পাওয়া কোনো কোড বা সফটওয়্যার সরাসরি নিজেদের কম্পিউটারে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার