বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘মহামতি গৌতম বুদ্ধের মৈত্রীময় শান্তির বাণী এখন বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য। এ দেশের মানুষ বিগত ১৫ বছর অশান্তির মধ্যে ছিল। সমাজ ভেঙে গেছে। আর অশান্তি চাই না বাংলাদেশে। এবার একটি সুন্দর সমাজ, সুন্দর রাষ্ট্র উপহার দিতে চাই।’

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আজ রোববার সকালে নগরের ডিসি হিল চত্বরে সম্মিলিত বুদ্ধপূর্ণিমা উদ্‌যাপন পরিষদ আয়োজিত বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে শান্তি শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘এ দেশে কোনো সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজত্ব চলবে না। বাংলাদেশ পরিচালিত হবে প্রতিটি নাগরিকের অংশগ্রহণের মাধ্যমে। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। সুতরাং এই রাষ্ট্রে, এই সমাজে বিভক্তির আর কোনো রকম সুযোগ থাকবে না। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সমাজ গড়ব, রাষ্ট্র গড়ব। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে গড়তে হবে।’

শান্তি শোভাযাত্রার উদ্বোধনের সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম সব ধর্মের মানুষের মিলনস্থল। এই চট্টগ্রামকে ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি সিটির পাশাপাশি একটি নিরাপদ বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বের করা হয় শোভাযাত্রা। আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রাম নগরের জামালখান এলাকায়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে ঢাবিতে শান্তি শোভাযাত্রা

বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোগে সম্প্রীতি উৎসব উদযাপিত হয়েছে। 

রবিবার (১১ মে) সকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে জাতীয় সম্মিলিত শান্তি শোভাযাত্রা বের করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসবের উদ্বোধন করেন।

আরো পড়ুন:

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

ঢাবিতে গবেষণা পদ্ধতিবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মি. মাইকেল মিলার।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, জাতীয় সম্মিলিত শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শান্টু বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজল বড়ুয়া, মহাসচিব অ্যাডভোকেট রিপন কুমার বড়ুয়া প্রমুখ। উৎসবের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রিটন কুমার বড়ুয়া স্বাগত বক্তব্য দেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “গৌতম বুদ্ধ শান্তির কথা, লোভ-লালসা থেকে দূরে থাকার কথা এবং বর্তমানকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার কথা বলেছেন। এই মুহূর্তে তার এসব বাণী ও শিক্ষা খুবই প্রাসঙ্গিক। তার এসব শান্তির বাণী আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে হবে।”

উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে সকল জাতিগোষ্ঠী ও ধর্ম-বর্ণের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে। আমরা প্রথমবারের মতো ঢাকাসহ পাঁচটি জেলায় বুদ্ধ পূর্ণিমার সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ভবিষ্যতে দেশব্যাপী এ উৎসব উদযাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

আলোচনা পর্ব শেষে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শান্তি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি টিএসসি হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মা যখন শিক্ষিকা
  • বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে ঢাবিতে শান্তি শোভাযাত্রা
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মরণে সঞ্চিতা রাখির ‘প্রাণের মানুষ’
  • মা দিবস : ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার একটি বিশেষ দিন
  • আজ শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের সাক্ষাৎ
  • ভালো বইয়ের সুবাস পাঠকের হৃদয়ে বহু বছর থেকে যায়: ইফতেখারুল ইসলাম
  • সাংবাদিকতার স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা না গেলে আইনের শাসন থাকবে না
  • ঈদুল আজহা: ১১ ও ১২ জুন বন্ধ থাকবে ফাইন্যান্স কোম্পানি