শাপলা চত্বরের মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ৩ মাস বাড়ল
Published: 12th, May 2025 GMT
২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরসহ সারা দেশে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের হত্যা-নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হওয়ায় মামলায় (মিস কেস) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ নয় আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ৩ মাস বেড়েছে।
আগামী ১২ আগস্ট এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি মো.
এই মামলার ৯ আসামির মধ্যে চারজন গ্রেপ্তার আছেন। পাঁচজন পলাতক। তাঁরা হলেন শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।
আর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান ও পুলিশের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোল্যা নজরুল ইসলাম অন্যান্য মামলায় গ্রেপ্তার ছিলেন। আজ তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
টাকা সরিয়ে ধরা পড়ায় দুই খালাকে খুন করে কিশোর: ডিবি
পুরোনো বাইসাইকেল কিনতে ৩ হাজার টাকা দরকার ছিল ১৫ বছর বয়সী কিশোরের। এ জন্য রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে মিরপুরে খালার বাসায় টাকা চাইতে যায় সে। ভাগনের জন্য শরবত বানাতে ডাইনিংরুমে যান খালা মরিয়ম বেগম। এ সময় খালার মানিব্যাগ থেকে টাকা চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে কিশোরটি। খালা তার মাকে বলে দেবেন বলে ভয় দেখান। তখন তাকে ছুরিকাঘাত করে সে। চিৎকার শুনে অন্য কক্ষ থেকে আরেক খালা সুফিয়া বেগম এগিয়ে এলে তাঁকেও ছুরিকাঘাত করে ওই কিশোর।
আজ সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ছুরিকাঘাতের পর ওই কিশোর বাসার রান্নাঘরে গিয়ে পাটা এনে দুই খালার মাথায় আঘাত করে।
গত শুক্রবার রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়ার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সাবেক কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম (৬০) ও তাঁর ছোট বোন সুফিয়া বেগমকে (৫২) ছুরিকাঘাত, শিলনোড়ার আঘাতে হত্যা করা হয়। সেদিন রাত ১১টার দিকে পুলিশ তাঁদের লাশ উদ্ধার করে।
ওই কিশোরকে আইনের সংস্পর্শে আনা হয়েছে বলে জানান ডিবি কর্মকর্তা নাসিরুল ইসলাম। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার বেলা ১২টা ৪৭ মিনিটে খালার বাসায় যায় ওই কিশোর। দুই খালাকে হত্যার পর বেলা ১টা ৫৭ মিনিটে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় সে। বাসায় যখন যায়, তখন তার পরনে ছিল লাল টি–শার্ট, মাথায় ক্যাপ ও জিনস প্যান্ট। হত্যার পর পরনের টি–শার্ট পরিবর্তন করে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় ওই কিশোর।
ডিবি কর্মকর্তা নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণে ওই কিশোরকে শনাক্ত করা হয়। গতকাল গভীর রাতে ঝালকাঠির সদর উপজেলার আছিয়ার গ্রাম থেকে তাকে পরিবারসহ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর এই হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করে।’
আরও পড়ুনশেওড়াপাড়ায় দুই বোনকে হত্যায় সিসিটিভিতে দেখতে পাওয়া ব্যক্তি গ্রেপ্তার: পুলিশ৩ ঘণ্টা আগেডিবি জানায়, এই কিশোর শুরু থেকেই পুলিশের তৎপরতার ওপর নজর রাখছিল। তদন্তের কাজে পুলিশ যেখানে যায়, সেখানে গিয়ে পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে কথা শুনছিল। পুলিশকে সে নানা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছিল।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ঘটনার পেছনে জমি-সম্পদ নিয়ে কোনো বিরোধ ছিল কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।