আইপিএল ফিরলেও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা ভারতে ফিরতে চান না
Published: 12th, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গত শনিবার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ভারত–পাকিস্তান। এরপরই আইপিএল আবারও মাঠে ফেরাতে তোড়জোড় শুরু করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সব ঠিক থাকলে থাকলে আগামী শুক্র বা শনিবার থেকে আইপিএলের বাকি অংশ মাঠে গড়ানোর কথা।
যদিও বেশির ভাগ বিদেশি খেলোয়াড় আতঙ্কে ভারত ছেড়েছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো অবশ্য তাঁদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফিরে আসতে বলেছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বার্তা সংস্থা এএপির দাবি, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা আইপিএল খেলতে এ বছর আর ভারতে যেতে চান না।
২০২৫ আইপিএল খেলতে মোট ১৫ জন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ভারতে গিয়েছিলেন—মিচেল স্টার্ক, জেইক ফ্রেজার–ম্যাগার্ক (দিল্লি ক্যাপিটালস), জশ হ্যাজলউড, টিম ডেভিড (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, জশ ইংলিস, অ্যারন হার্ডি, জাভিয়ের বার্টলেট (পাঞ্জাব কিংস), প্যাট কামিন্স, ট্রাভিস হেড, অ্যাডাম জাম্পা (সানরাইজার্স হায়দরাবাদ), স্পেন্সার জনসন (কলকাতা নাইট রাইডার্স), মিচেল মার্শ (লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস) ও নাথান এলিস (চেন্নাই সুপার কিংস)।
চোটের কারণে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আগেই ভারত ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গেছেন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘হারানো দিন’ থেকে ‘আম্মাজান’—শবনমের পূর্ণতার যাত্রা
মাত্র ১৫ বছর বয়সে অভিনয় শুরু শবনমের। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মিলিয়ে টানা চার দশকের অভিনয়জীবন তাঁর। ২৬ বছর ধরে অভিনয়ে নেই তিনি। এরপরও চলচ্চিত্রের বিভিন্ন আড্ডায় প্রাসঙ্গিক। আজ তাঁর জন্মদিন। শবনমকে নিয়ে লিখেছেন মনজুর কাদের
‘হারানো দিন’ সিনেমা দিয়েই শবনম সাড়া ফেলেন। এ সিনেমার ‘আমি রূপনগরের রাজকন্যা রূপের জাদু এনেছি, ইরান-তুরান পার হয়ে আজ তোমার দেশে এসেছি’ গানটি আজও যেন দর্শকের মুখে মুখে। গানটিতে পর্দায় ঠোঁট মিলিয়েছিলেন শবনম। অভিষেক সিনেমাই সুপারহিট। এরপর শুধুই এগিয়ে যাওয়া। মুস্তাফিজ পরিচালিত সিনেমাটি ১৯৬১ সালে মুক্তি পায়।
ষাট থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত বাংলাদেশ আর পাকিস্তান মিলিয়ে প্রায় ১৮৫টি সিনেমায় অভিনয় করেন শবনম। তিনিই একমাত্র অভিনেত্রী, যিনি পাকিস্তানি সিনেমার সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘নিগার অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন মোট ১৬ বার। তাঁর এ রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারেনি। এক বছর আগে পাকিস্তান সরকার দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার সিতারা-ই-ইমতিয়াজ দেন শবনমকে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মিলিয়ে বহু সম্মাননায় সমৃদ্ধ হয় তাঁর অর্জনের ঝুলি।
বরেণ্য অভিনয়শিল্পী শবনমের আসল নাম ঝর্ণা বসাক। ১৯৪৬ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার নবাবপুরে জন্ম। পরিচালক এহতেশামের ‘চান্দা’ সিনেমায় ১৯৬২ সালে অভিনয় করেন তিনি। এই নির্মাতা ‘হারানো দিন’ সিনেমায় তাঁকে শবনম নামটি দেন। ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে স্থায়ীভাবে বাস করতে থাকেন শবনম।
সত্তর দশকের শুরুতে শবনম পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা হিসেবে নিজের স্থান পাকাপোক্ত করেন। ১৯৮৮ সালে শবনম ঢাকা ও লাহোরের সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করতে থাকেন। নব্বই দশকের শেষভাগে ঢাকায় এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সর্বশেষ তিনি অভিনয় করেন ‘আম্মাজান’ সিনেমায়। এ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করে সব বয়সী দর্শকের কাছে ‘আম্মাজান’ হিসেবে নতুন করে পরিচিতি পান।
শবনম বলেন, ‘ভাগ্য আমার এতটাই ভালো, আমার অভিনীত প্রথম ও শেষ সিনেমা ছিল আমার ক্যারিয়ারের সেরা ও হিট সিনেমা।’
শবনম