৪০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিল জাবি শাখা ছাত্রশিবির
Published: 12th, May 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের (৫৩তম ব্যাচ) ৪০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার (১১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার দ্বিতীয় তলায় এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে এ বৃত্তি প্রদান করা হয়।
আর্থিকভাবে অসচ্ছল নবীন শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতেই এই বৃত্তি কার্যক্রম গ্রহণ করে জাবি শাখা ছাত্রশিবির। শিক্ষার্থীদের ৫ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা বৃত্তি প্রদান করে সংগঠনটি।
আরো পড়ুন:
জাবিতে বিনামূল্যে ছাত্রদলের ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম
ইয়াবা সেবনের অভিযোগে জাবি কর্মচারী আটক
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, “শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার হলেও শিক্ষা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি রাষ্ট্র। এমতাবস্থায় ছাত্রশিবিরের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।”
জাবি শাখা শিবিরের সভাপতি মহিবুর রহমান মুহিবের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা বলেন, “বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে বাজেট রয়েছে শতকরা ১.
তিনি বলেন, “একটি জাতির অমূল্য রত্ন যুবসমাজ। আবু সাইদের মতো অসংখ্য যুবক জুলাইয়ে অংশগ্রহণ করেছে। অথচ তাদের সৎ, যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার যথোপযুক্ত উদ্যোগ নেই। দিন শেষে আমাদের আত্ম-সমালোচনা করা প্রয়োজন। শিবিরের ব্যক্তিগত রিপোর্টে আত্ম-সমালোচনার একটি কলাম আছে। বিগত সময়ের প্রতিবন্ধকতাগুলো এখন অনেকটাই নিরসন হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সবার কল্যাণে কাজ করতে হবে।”
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের সততা, দক্ষতা ও নিয়মানুবর্তিতার কারনে অনেক কিছু অর্জন সম্ভব হয়েছে। সফলতার জন্য সৎ, দক্ষ, খোদাভীরু ও দেশপ্রেমিক হওয়া জরুরি। আমি চবির ছাত্র হিসেবে দেখেছি, ১৯৮৫ সালের চাকসু নির্বাচনে শিবির পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে বিজয়ী হয়েছিল। তাদের প্যানেলে একজন অমুসলিম প্রার্থীও ছিল। সমাজকল্যাণমূলক কাজের অংশ হিসেবে তারা শিক্ষাবৃত্তির আয়োজন করেছে। আমি আশা করছি তাদের এ কাজ আরো বেগবান হবে এবং শিক্ষার্থীদের সব সমস্যা সমাধানে অগ্রগামী হবে।”
উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “ইসলাম প্রচারিত হয়েছে পৃথিবীর সেরা একজন রাজনীতিবিদের মাধ্যমে। হুদায়বিয়ার সন্ধি, মদিনা সনদ ইত্যাদি তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার সাক্ষী। ইসলামে ইনক্লুসিভিটিকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সুরা হুজরাতে সামাজিকতার কথা বলা হয়েছে। একজন মানুষ প্রকৃত মুসলিম হতে চাইলে সুন্দর আচরণ ও গুণের অধিকারী হতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের শেষ গন্তব্য হলো মালিকের বিচার। সেখানে পার পেতে হলে কুরআন অনুসরণের বিকল্প নেই। যত বেশি ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা যায়, তত বেশি অমূল্য জ্ঞান আহরণ করা সম্ভব।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ধূমকেতুর জন্য রাজের প্রতীক্ষা শেষ
‘‘এত বছরের প্রতীক্ষা শেষ। 'ধূমকেতু' উদযাপন শুরু। প্রত্যেক হলে হলে উন্মাদনা চোখে পড়ার মত। দেব-শুভশ্রী, কৌশিক গাঙ্গুলী সহ গোটা টিমকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। কেউ বড়পর্দায় ধূমকেতু মিস করবেন না যেন!’’—সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বার্তাই দিয়েছেন টলিউডের জনপ্রিয় নির্মাতা রাজ চক্রবর্তী।
টলিউডে আজ মুক্তি পেয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘ধূমকেতু’। এতে অভিনয় করেছেন দেব-শুভশ্রী জুটি। এই জুটির প্রেমের কথা টলিউডে অজানা নয়। কিন্তু শুভশ্রী এখন রাজের স্ত্রী। আর দেবও পেয়েছেন নতুন প্রেমিকা। তারপরেও দেব-শুভশ্রীকে নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই। সিনেমাটি মুক্তির আগে নৈহাটির মন্দিরে আশীর্বাদ নিতে গিযেছিলেন দেব-শুভশ্রী। পাশাপাশি আসনে বসে পুজাও দেন। সেখানে তাদের পুজা দেওয়ার পাশাপাশি একসঙ্গে বাতি জ্বালাতেও দেখা যায়। মন্দিরের ছাদে উঠে ভক্তদের সঙ্গে দেখাও করেন। তাদের দেখতে অসংখ্য অনুরাগী মন্দিরের সামনে ভিড় জমান। তারা একে অপরের হাত ধরে মন্দিরের ছাদের প্রান্তে এসে দাঁড়ান। শেষে আসে বড় চমক। ভিড়ে ঠাসা জনতার মধ্যে দিয়ে, যত্ন করে শুভশ্রীকে আগলে, নায়িকার হাত ধরে তাকে গাড়িতে তুলে দেন দেব। যা ধূমকেতু নিয়ে আলোচনা একেবারে তুঙ্গে তুলে দিয়েছে।
এদিকে ধূমকেতু দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন রাজ। মৌমিতা চক্রবর্তী নামের একজন কমেন্টের ঘরে লিখেছেন ‘‘আপনি একজন ভালো স্বামী’’।
আরো পড়ুন:
এখনও হৃতিক সুজানের বন্ধুত্ব রয়ে গেছে
গান হলো কিন্তু সংসারটা ঠিকমতো হলো না অলকার
জয়িতা নাথ নামের একজন লিখেছেন, ‘‘কিসের টানে ধূমকেতু দেখবো জানেন।। দেব শুভশ্রী জুটি কে আবার একসাথে দেখবো তাই এর পিছনে আপনার অবদান অনস্বীকার্য।’’
ঢাকা/লিপি