আগামী ১১ জুন লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি হবে। ওই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে দুই দলই। অস্ট্রেলিয়া দলে বেশ কিছু চমক রেখেছে। যেমন- পেস অলরাউন্ডার ক্যামেরুন গ্রিন ফিরেছেন লাল বলের ক্রিকেটে।

আবার শ্রীলঙ্কা সফরের মধ্যে দল ছাড়া ওপেনার স্যাম কনস্টাস ১৫ জনের দলে জায়গা পেয়েছেন। আছেন অলরাউন্ডার বাও ওয়েবস্টার। বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দিয়ে পাস করা ম্যাথু কুনিহম্যান জায়গা পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার দলে। ইনজুরি কাটিয়ে টেস্ট দলে ফিরেছেন পেসার জস হ্যালজউড।

অন্য দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দলে লুঙ্গি এনগিডিকে রেখেছে। তবে পেসার এনরিখ নরকিয়া, নান্দ্রি বার্গার ও গের্হাল্ড কোয়েটজে দলে জায়গা পাননি। এক মাসের নিষেধাজ্ঞা ভোগ করা কাগিসু রাবাদা আছেন প্রোটিয়াদের দলে। তিনি ড্রাগের বিনোদনমূলক ব্যবহারের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। 

দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারদের অনেকে ১৭ মে থেকে পুনরায় শুরু হওয়া আইপিএল আর নাও ফিরতে পারেন। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা জানিয়েছে, ফাইনালের আগে তারা ৩১ মে থেকে অনুশীলন শুরু করবে এবং ৩ জুন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি গা গরমের ম্যাচ খেলবে।  তবে দলের ৮ জন থাকতে পারেন আইপিএলে।

দক্ষিণ আফ্রিকা এবারই প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলবে। অন্য দিকে অস্ট্রেলিয়া নামবে শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়ে। এর আগের চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড শিরোপা ধরে রাখতে পারেনি। আসরের প্রথম দু’বার ফাইনাল খেললেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ভারত।

অস্ট্রেলিয়ার দল: প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), স্কট বোল্যান্ড,, অ্যালেক্স কেরি, ক্যামেরুন গ্রিন, জস হ্যালজউড, ট্রাভিস হেড, জস ইংলিশ, উসমান খাজা, স্যাম কনস্টাস, ম্যাথু কুনিহম্যান, মার্নাস লাবুশানে, নাথান লায়ন, স্টিভ স্মিথ, মিশেল স্টার্ক, বিও ওয়েবস্টার। ট্রাভেলিং রিজার্ভ: ব্রেন্ডন ডগেট।

দক্ষিণ আফ্রিকার দল: টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), ডেভিড বেডিংহাম, করবিন বোচ, টনি ডে জর্জি, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, এইডেন মার্করাম, ওয়ান মুলডার, সেনুরান মুত্তুসামি, লুঙ্গি এনগিডি, ডিন পিটারসন, কাগিসু রাবাদা, রায়ান রিকেলটন, ত্রিস্তান স্টাবস, কাইল ভারায়েনে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের হাইফা বন্দরে হুতিদের হামলা

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হাইফা বন্দর, নেগেভ, উম্ম আল-রশরাশ ও বিরসেবায় এ হামলা চালানো হয়েছে।

হুতির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস কর্মকান্ডের জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় ছয়টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। ড্রোনগুলো সফলভাবে লক্ষবস্তুতে আঘাত হেনেছে।

গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ না করলে এবং অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এ ধরনের হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে হুতি।

তবে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৮৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩১ জন ছিলেন ত্রাণপ্রত্যাশী। এ সময় ৫১৩ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, অনাহারের কারণে গাজায় আরও পাঁচ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে। এ নিয়ে উপত্যকাটিতে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা ২২৭–এ পৌঁছাল, যাদের মধ্যে ১০৩টি শিশু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ